ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সব বিভাগের মধ্যে এপিএ সই

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৯ জুন ২০১৭

এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সব বিভাগের মধ্যে এপিএ সই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সব বিভাগের মধ্যে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর হয়েছে রবিবার। এই চুক্তির মাধ্যমে দেশের এক বছরের উন্নয়ন কর্মকা- পরিচালিত হবে। চুক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট দফতর প্রধানগণের উপর একটি দায়বদ্ধতা তৈরি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গত তিন বছর ধরে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দিক থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রণালয় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সব মন্ত্রণালয়ের উপস্থিতিতে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে সর্বোচ্চ নম্বর দিয়েছেন। এই মন্ত্রণালয় ৯৮ দশমিক ৮৩ ভাগ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে। বরিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দফতর ও সংস্থাসমূহের সঙ্গে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে সচল রাখতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বড় অংশীদার। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত দফতর ও সংস্থাসমূহের কাজের উপর দেশের উন্নয়ন অনেকাংশে নির্ভর করে। এ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সব প্রতিষ্ঠানকে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ করবে। প্রকল্প বাস্তবায়নে কর্মকর্তারা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে উৎসাহ পাবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়নে স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন এবং সমবায় বিভাগের গুরুত্ব অনেক। সারাদেশে অবকাঠামো সড়ক যোগাযোগ থেকে নানা কাজে এলজিআরডির ভূমিকা সরকারের কাজে প্রশংসিত। গত তিন বছর ধরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কাজের অগ্রগতি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বেশি। আগামী ৬ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে সব মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আরও একটি কর্মসম্পাদন চুক্তি হবে। রবিবার যে চুক্তি হয়েছে তা এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দফতরগুলোর মধ্যে হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, আমরা এক বছরে যে সব প্রকল্প হাতে নিয়েছি তা শতভাগ বাস্তবায়ন করার চেষ্টা হবে। মন্ত্রণালয়ের সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব মাফরূহা সুলতানা ও মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন অধিদফতর ও সংস্থা প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। সভায় মন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ দফতরের কাজ সুচারুভাবে সম্পন্ন করে লক্ষ্য অর্জন করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে। শুধু চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে কাজ বাস্তবায়ন করতে হবে। এপিএ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে নতুন বিষয়ের উদ্ভব বা বাধার সম্মুখীন হলে সরকার আন্তরিকভাবে তা সমাধান করবে। শুধু দায়সাড়াভাবে কাজ সম্পন্ন করলে হবে না, জনকল্যাণকে মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সরকার বিভাগ গত অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শতকরা ৯৮ দশমিক ৮৩ ভাগ সম্পন্ন করেছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব সব বিভাগ ও মন্ত্রণালয়ের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বলে ঘোষিত হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি ২০১৪-১৫ সালে চালু হওয়ার পর থেকে সরকারের কার্যক্রমে গতি এসেছে। ফলে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে কর্মচাঞ্চল্যতা বেড়েছে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এলজিআরডি মন্ত্রণালয় আগামী অর্থবছরে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির শতকরা ৯৯ ভাগের উপর লক্ষ্য অর্জন করা হবে। গত অর্থবছরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে পরিমাণ উন্নয়ন কাজ করেছে তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ চলতি অর্থবছরে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। সভায় মন্ত্রণালয়ের অধীন উভয় বিভাগের সচিব ও অধীনস্থ দফতর ও সংস্থার প্রধানগণ বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে স্ব স্ব পক্ষে স্বাক্ষর করেন। চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দফতরসমূহ হচ্ছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর (এলজিইডি), জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান (এনআইএলজি), জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর (ডিপিএইচই), সব সিটি কর্পোরেশন, সব ওয়াসা, একটি বাড়ি একটি খামার, সব পল্লী উন্নয়ন একাডেমি, বিআরডিবিসহ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠান।
×