ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ফিল্মী কায়দায় যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১৭ জুন ২০১৭

ফিল্মী কায়দায় যুবতীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ১৬ জুন ॥ ফিল্মী কায়দায় চার্জার যাত্রী এক যুবতীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ ও ধর্ষণ করেছে অপর ৪ চার্জার চালক। ঘটনাটি জানাজানির প্রায় ৬ ঘণ্টা পর নির্যাতিত যুবতীকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নওহাটা ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ওই যুবতীর পিতা ও ভাই এসে যুবতীকে নিয়ে যায়। অপরদিকে প্রকাশ্যে বীরদর্পে ঘুরে বেড়াচ্ছে অপহরণকারী ধর্ষকরা। এলাকায় আলোচিত ফিল্মী কায়দায় এই নারী নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যা থেকে গভীররাত পর্যন্ত মহাদেবপুর উপজেলার নওহাটা মোড় এলাকায়। জানা গেছে, বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার এলাকার ওই যুবতীর সঙ্গে নওগাঁর বলিহার এলাকার মোতালেব নামে এক ছেলে মোবাইল ফোনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ঘটনার দিন বুধবার বিকেলে মেয়েটিকে মোবাইলে প্রথমে নওহাটা মোড় বাজারে ডেকে নেয়। মেয়েটি নওহাটা বাজারে এসে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলে মোতালেব মেয়েটিকে একটি চার্জার যোগে বলিহার যেতে বলে। সে অনুযায়ী মেয়েটি একটি চার্জার ভ্যানযোগে নওহাটা মোড় থেকে বলিহার যাওযার উদ্দেশে রওনা দিয়ে শ্রীবাশের মোড় পৌঁছলে ঘটনাস্থল থেকে নওহাটা মোড় বাজার এলাকায় চলাচলকারী মোস্ত ও মিঠুসহ ৪ চার্জার (টমটম) চালক মেয়েটিকে দেশীয় অস্ত্রের (চাকুর) মুখে চার্জার ভ্যান থেকে নামিয়ে অন্য চার্জারে তুলে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়ে। ঘটনাটি ওই ভ্যানচালক এলাকার লোকজনকে জানায়। এক পর্যায়ে লোকজনের মাধ্যমে ঘটনাটির সংবাদ ফাঁড়ি পুলিশের কাছে পৌঁছলে ফাঁড়ি পুলিশ স্থানীয় চার্জার সমিতির নেতা ও ইউপি সদস্য জাহিদুল ইসলামসহ লোকজনের সহযোগিতায় বিভিন্নভাবে খোঁজ-খবর নিয়ে রাত ১১টার দিকে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের খোর্দ্দনারায়ণপুর এলাকায় সড়কের ধারে পরিত্যক্ত অবস্থায় মোস্ত ও মিঠুর দুটি চার্জার উদ্ধার করে। এ সময় ভ্যানিটি ব্যাগ উদ্ধার করেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। এর কিছু পর সড়কের ধারের এক মাছচাষী তার ক্যানেলে লোকজনের আনাগোনা বুঝতে পেরে মেয়েটি এসে নিজেকে বাঁচানোর জন্য মাছচাষীর কাছে আকুতি জানায়।
×