ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লড়াই করলেন মুশফিকও

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ১৬ জুন ২০১৭

লড়াই করলেন মুশফিকও

মুশফিকুর রহীম এমনই। যখন তার কাছ থেকে নৈপুণ্য দরকার হয়, তখনই যেন ভরসা হয়ে ওঠেন। নৈপুন্য দেখান। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল ম্যাচে যেমন মুশফিকের কাছ থেকে একটা ইনিংস দরকার ছিল। মুশফিক তা করে দেখালেন। হাফসেঞ্চুরি করলেন। ৮৫ বলে ৪ চারে ৬১ রানের ইনিংস খেললেন। কিন্তু উমেশ যাদবের বলে মিডউইকেটে বিরাট কোহলির হাতে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যান ধরা হয় মুশফিকুর রহীমকে। ভরসার নাম মুশফিক। তিনি ব্যাট হাতে নামলেই ধরে নেয়া হয়, একটা বড় ইনিংস দেখার মিলবে। দলও জিতবে। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানের ইনিংস খেলার পর আর যেন মুশফিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। আবার মুশফিক জ্বললেন। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বার্মিংহামের এজবাস্টনে জ্বলে উঠলেন। যখন ব্যাট হাতে নৈপুণ্য দেখানো দরকার। তখন দেখালেন। মুশফিক সবসময় এমনই খেলেন। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকেন। একজন ব্যাটসম্যান এগিয়ে যেতে থাকেন। তিনি উইকেট আঁকড়ে খেলতে থাকেন। সুযোগ পেলে বাউন্ডারি হাঁকান। ছক্কা হাঁকান। নয়ত ধৈর্য ধরে উইকেটে টিকে থাকেন। তাতে রানও আসতে থাকে। ভারতের বিপক্ষেও যেমন প্রথম ছয়টি বল শুধু ঠেকিয়ে গেলেন। সপ্তম বলে গিয়ে বাউন্ডারি হাঁকান। তার রানের খাতা খোলা হয় বাউন্ডারি দিয়েই। ভাল বল ঠেকান। খারাপ বল পেলেই বাউন্ডারি হাঁকান। মুশফিক তাই করলেন। ভুবনেশ্বর কুমারের টানা তিন বলে তিনটি বাউন্ডারি হাঁকিয়ে বসেন। এরপর আবার নিজেকে সামলে নেন। যেখানে ৬ বলে রানের খাতা খোলেননি, সেখানে ৯ বলেই ১২ রান নিয়ে নেন মুশফিক। এরপর ২৮ বলে কোন বাউন্ডারি হাঁকাননি। সুযোগ পেলেই ১ রান করে নিয়ে গেছেন। ৩৮তম বলে গিয়ে যে একটি বাউন্ডারি হাঁকান, সেটিই ম্যাচটিতে মুশফিকের শেষ বাউন্ডারি হয়ে থাকে। এরপর ধীরে ধীরে এগিয়ে গিয়ে মুশফিক ৬১ বলে হাফসেঞ্চুরি করেন। যখন ৬১ রান স্কোরবোর্ডে যোগ হয়, তখনই আউট হয়ে যান। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭৯ রানের ইনিংস খেলার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯ ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪ রান করেন মুশফিক। তখন সবাই যেন মুশফিকের কাছ থেকে একটি বড় ইনিংস চাচ্ছিল। সেই চাহিদা মুশফিক পূরণ করে দেন। তবে ইনিংসটি আরও বড় হলে ভাল হত, তা সবারই আশা ছিল। কিন্তু মুশফিক যা করেছেন তাও অনেক ভাল। ভারতের বিপক্ষে মুশফিকও ভাল খেলেন। তাই তার ওপর ভরসা ছিল। সেই ভরসার প্রতিদান মুশফিক দিয়েছেনও। ভারতের বিপক্ষে ২০০৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে জেতা ম্যাচে মুশফিক অপরাজিত ৫৬ রান করেছিলেন। ভারতের বিপক্ষে ১৯ ম্যাচ খেলে একটি সেঞ্চুরিসহ এরআগে দুটি হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন মুশফিক। তাই তার কাছ থেকে একটি ইনিংস আশা করা হয়েছিল। মুশফিক সেই আশা পূরণ করলেন।
×