ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যর্থতা ঢাকতে নির্বাচনী আওয়াজ তুলছে সরকার ॥ রিজভী

প্রকাশিত: ০৯:০৭, ১০ জুন ২০১৭

ব্যর্থতা ঢাকতে নির্বাচনী আওয়াজ তুলছে সরকার ॥ রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকার দেশ পরিচালনায় ব্যর্থতা ঢাকতে নির্বাচনী আওয়াজ তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী অভিযোগ করেন, সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। রোজার মধ্যেও অবৈধ সিন্ডিকেট করে ক্ষমতাসীন দলের লোকজন হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে ব্যাংকের আবগারি শুল্ক এবং গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রস্তাবিত ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট জনগণের পকেট কেটে অর্থ লুটপাটের জন্য দেয়া হয়েছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, এ বাজেটের বেশিরভাগ অংশই ধরা হয়েছে ভ্যাট ও করের ওপর নির্ভর করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো ব্যাংক লেনদেনে আবগারি শুল্ক ধরা হয়েছে যার নজির পৃথিবীর কোথাও নেই। এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামান্য জমানো টাকাতে হাত দেয়ার উদ্দেশ্যে। রুহুল কবির রিজভী বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, দলের নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, মুনির হোসেন প্রমুখ। সহায়ক সরকার না মানলে কঠোর আন্দোলন- মাহবুব একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করবে জানিয়ে দলটির ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট খন্দকার মাহাবুব হোসেন বলেছেন, এ নির্বাচনে সহায়ক সরকার না মানলে রাজপথে কঠোর আন্দোলন হবে। শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খন্দকার মাহবুব বলেন, ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে আওয়ামী লীগ বেসামাল হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের মধ্যে যায় যায় ভাব চলে এসেছে। আগামী নির্বাচনে কারও করুণায় নয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন বিএনপি আদায় করে নেবে। ২০১৪ সালের মতো দেশে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। খন্দকার মাহবুব বলেন, সরকারের অত্যাচার-নির্যাতনে জনগণের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণ একবার জেগে উঠলে কোন বাধা মানবে না। আগামীতে দেশের জনগণ অবশ্যই রুখে দাঁড়াবে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সকল ফয়সালা রাজপথে হবে। দ্রুত বিচার আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত বিচার আইন নতুন নয়। ২০০২ সালে অপরাধ সামাল দিতে বিএনপি দ্রুত বিচার আইন করে। সেই সময় আওয়ামী লীগ এই আইনকে কাল আইন আখ্যা দিয়ে সংসদ ত্যাগ করেছিল। আর আজ তারা সেই আইনের মেয়াদ বাড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ কারও কথা ভেবে নয় নিজের স্বার্থে কাজ করে থাকে। সন্ত্রাস দমনের এই আইন সরকার রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বর্তমানে ব্যবহার করছে।
×