ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে খানাখন্দে ভরা ২০ কিমি সড়ক

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ৮ জুন ২০১৭

যশোরে খানাখন্দে ভরা ২০ কিমি সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ ২৫ কিলোমিটার রাস্তার ২০ কিলোমিটারই খানাখন্দে ভরা। তাই বর্ষা মৌসুমে পানি জমে হয়ে পড়ে চলাচলের অনুপযোগী। এ সময় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়ে হয় দ্বিগুণ। নিতান্তই যাদের এ সড়কে চলাচল না করে উপায় নেই, তারা সীমাহীন কষ্ট হবে- এ কথা মাথায় নিয়েই বের হন। তবে সাধারণ মানুষের এ কষ্ট লাঘব হচ্ছে না শীঘ্রই। আগামী অর্থবছরে রাস্তাটি পুরোপুরি সংস্কার হবে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তা ও স্থানীয় সংসদ সদস্য। যশোর-নড়াইল সড়কের চাড়াভিটা থেকে বাঘারপাড়া উপজেলা সদরের দূরত্ব চার কিলোমিটার। এখান থেকে (বাঘারপাড়া সদর) আরও ২১ কিলোমিটার যশোর-মাগুরা সড়কের খাজুরা বাজার হয়ে জহুরপুর ইউনিয়নের শেষ সীমানা পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের। জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষে দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা হয়। অথচ সড়কটি স্থায়ীভাবে সংস্কারে উদ্যোগী হয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, সড়কটি অসংখ্য খানাখন্দে ভরা। দুইদিন আগের বৃষ্টির পানি জমে আছে বেশ কয়েকটি স্থানে। মহিরন পীরবাড়ির সামনে, ব্র্যাক অফিসের সামনে, হাসপাতাল রোডের রাজু এন্টারপ্রাইজের সামনে, বাঘারপাড়া-খাজুরা সড়কের ভাতুড়িয়া বটতলায় বৃষ্টির পানি জমে আছে। এছাড়া ২৫ কিলোমিটারের এ সড়কের প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বাঘারপাড়া-নারিকেলবাড়িয়া সড়কের বাসচালক কাশেম আলী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘বড় বড় গর্তের কারণে আমরা ঠিকমতো বাস চালাতে পারি না। সময় লাগে বেশি। বাসে যাত্রীও ওঠে কম। যাত্রীরা বেশি ভাড়া দিয়ে ছোট যানবাহনে যাতায়াত করে।’ট্রাকচালক ইমরান হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে শত শত ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। গর্তের কারণে ঝাকুনিতে নষ্ট হচ্ছে গাড়ির যন্ত্রাংশ। ঘটছে দুর্ঘটনাও।’ বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের সামনের চা-দোকানি রায়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা স্বপন হোসেন এ ভাঙ্গা সড়কে চার কিলোমিটার বাইসাইকেলে চেপে প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসেন। তিনি জানান, অসংখ্য গর্তের কারণে এ সড়কে প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। গাড়িতে অতিরিক্ত ঝাকুনির কারণে সপ্তাহ দুয়েক আগে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে সন্তান প্রসব করেন এক প্রসূতি। এ ব্যাপারে যশোর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, চাড়াভিটা থেকে বাঘারপাড়া উপজেলা সদর পর্যন্ত চার কিলোমিটার রাস্তার কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। আর বাঘারপাড়া উপজেলা সদর থেকে খাজুরা হয়ে জহুরপুরের শেষ সীমানা পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার রাস্তা মেরামতের জন্য ৫০ কোটি টাকা চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করা হয়েছে। আগামী অর্থবছরে কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। স্থানীয় সংসদ সদস্য রনজিৎ রায় বলেন, ‘জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সংস্কার করার জন্য জোর চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
×