ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মমতাজ লতিফ

আওয়ামী লীগের ভোট কাটছে কারা?

প্রকাশিত: ০৩:৩৮, ৫ জুন ২০১৭

আওয়ামী লীগের ভোট কাটছে কারা?

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলছেন, দলের সাধারণ সম্পাদকও বলছেন, এবারের নির্বাচন হবে কঠিন। সত্যিই, এবার আওয়ামী লীগকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারণকারী জোটকে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী নির্বাচনে জিততে হবে। আগামী নির্বাচনে পরাজিত হলে পরাজিত হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধপন্থী নতুন প্রজন্ম এবং প্রগতিশীল রাজনীতিকসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সংঘটিত হওয়া বেশ কিছু ঘটনা প্রমাণ করছে, একটি গোষ্ঠী আওয়ামী লীগে থেকে আওয়ামী লীগের সর্বনাশ করছে। ভোট কাটার জন্য কতগুলো মন্দ কাজ তারা করে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে কাজ করার ভান করছে! যেমন- ১. প্রথমেই জাতি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ্য করল, নারায়ণগঞ্জে খুন হওয়া মেধাবী ছাত্র ত্বকীর বাবার উদ্যোগে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল যেটি নারায়ণগঞ্জ শাসন করে বলে পরিচিত, ত্বকী হত্যায়, এমনকি ৭ খুন মামলায় যাদের সংশ্লিষ্টতার কথা উঠছে, তাদেরই পোষ্য ছাত্র নামধারী গু-ার দল অনুষ্ঠানস্থলে ব্যাপক ভাঙচুর করে। ফলে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে হয়, যা ছিল জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ‘গণহত্যা দিবসে’র প্রথম অনুষ্ঠান! একজন প্রগতিশীল ব্যক্তি, যার ছেলে নির্মমভাবে খুন হওয়ার এতদিন পরও সন্তান হত্যার বিচার পাননি, সেই ব্যক্তিকে সম্প্রতি এক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দিয়ে প্রকারান্তরে অন্যায়ের কাছেই অসহায় করে তুলে। পুত্রহারা পিতাকে খুনের বিচার না দিয়ে উপরন্তু রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার অপরাধী হতে হলে- সব দোষ অবশ্যই গিয়ে পরে সরকারের ওপর? কারা এর নেপথ্যে কলকাঠি নাড়ছে? তারা আর যাই হোক প্রধানমন্ত্রীর এবং তার দলের ভোট কাটছে, এসব নেতিবাচক কার্যকলাপের ফলে প্রগতিশীলরা ভোট কেন্দ্রে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে, এটি বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হতে হয় না। প্রগতিশীলরা ভোটদানে বিরত থাকলে কার লাভ? প্রগতিশীলরাই মুক্তিযুদ্ধপক্ষ শক্তির প্রধান ভোট দাতা, এটি ভুললে বড় ধরনের ভুল হবে। ২. সুপ্রীম কোর্টের ভাস্কর্য/মূর্তি সরানোর প্রতিবাদে গণজাগরণ মঞ্চ মশাল মিছিল করেছে এবং সরকারের হেফাজত তোষণ নীতির প্রতিবাদী সেøাগান দিয়েছে যা কোন সংজ্ঞাতেই অপরাধ নয়। যারা ’৭১-এ পাকিস্তানীর পক্ষে মুজাহিদ বাহিনী তৈরি করেছিল, যাদের ’৭১-এর ভূমিকার জন্য, ২০১৩-এর ৫ মের ঢাকার রাস্তায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের মহাজোট সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে খালেদার নির্দেশে ধ্বংসযজ্ঞ, তা-ব, পুলিশ হত্যা, নারী সাংবাদিক নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ করে অফিস, ব্যাংক, দোকান, বই, কোরান-হাদিস পোড়ানোর অপরাধে গ্রেফতার করে বিচার করার কথা, তাদের ইচ্ছায় মূর্তি সরানোর কাজ বাস্তবায়ন করবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারী আওয়ামী লীগ- এটি যে তরুণ প্রজন্ম ’৭১-এর যুদ্ধাপরাধীর বিচারের জন্য মহাজোটকে ক্ষমতায় আনতে ভোট দিয়েছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধের ভুলে যাওয়া চেতনাকে, জয় বাংলা সেøাগানকে ফিরিয়ে এনে সরকারকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু এবং সর্বোচ্চ দ- দিতে সহায়তা করেছে, তারা সেই হেফাজত তোষণের জন্য সরকার প্রধানকেই তো সমালোচনা করবে। কারণ তাকে, তার দলকে ওরাই নির্বাচনে বিজয়ী করেছে। তিনি আর যাই হোক, হেফাজতের পক্ষ তো হতে পারেন না। বঙ্গবন্ধুর ধর্মনিরপেক্ষ রাজনীতির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে গিয়ে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির দলের আবদার আর যাই হোক বঙ্গবন্ধুকন্যা মানতে পারেন না। উপরন্তু, তিনি জানেন, ট্রাম্প, বুশ, ব্লেয়ার, ইন্দিরা গান্ধী প্রমুখ সরকারপ্রধানদের যে কোন নাগরিক সমালোচনা, ব্যঙ্গচিত্র এঁকে কৌতুক করতে পারে, তাদের কাজের প্রতিবাদ তো করতেই পারে। এটি সব গণতান্ত্রিক সমাজের বৈশিষ্ট্য। এটি নিষিদ্ধ স্বৈরতন্ত্রে, যেমন উত্তর কোরিয়া বা সৌদি আরব ইত্যাদি নাগরিকের অধিকারহীন, বাক স্বাধীনতাহীন দেশে। প্রধানমন্ত্রী নিজে গণতন্ত্রের এ বৈশিষ্ট্যকে সম্মান করেন বলেই মনে করি। সেজন্য তিনি এখুনি এসব হয়রানিমূলক মামলা বাতিল করাবেন এবং জনগণ, বিক্ষুব্ধ তরুণ প্রজন্মের লাখ লাখ ভোট হারাবার পথ বন্ধ করবেন বলে বিশ্বাস করি। ৩. প্রধানমন্ত্রীকে আবারও বলব, হেফাজতের ১৩ দফা দাবি জানার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী তরুণ ব্লগারদের মুরতাদ, কাফের ঘোষণা করার জন্য তাদের বিচারে সোপর্দ করা হলো না কেন? কেননা, বাংলাদেশের কোন আইনে কোন সংস্থাকে দেশের মুরতাদ, কোন নাগরিককে কাফের ঘোষণার অধিকার দেয়া হয়নি। সুতরাং এ ঘোষণা পুরোপুরি বে-আইনী, নাগরিকের অধিকারে আঘাত করে এবং অসাংবিধানিক অপরাধ। তাছাড়া, তারা হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মাচারবিরোধী দাবি জানিয়ে, নিজেদের পরিচালিত মাদ্রাসার সাম্প্রদায়িক শিক্ষাক্রমে কোন আধুনিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি পাঠ, স্বাভাবিক খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকা-, আধুনিক পোশাক পরা ইত্যাদি থেকে লাখ লাখ শিশু-কিশোরকে বঞ্চিত রাখার মাধ্যমে যে অপরাধ করছে, তা কিন্তু শিশু-কিশোর নির্যাতনের, তাদের মানবাধিকার হরনের সমান অপরাধ। কেন তাদের অন্যায় দাবির জন্য তাদের জোরালোভাবে নিবৃত্ত করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলো না? উল্লেখ্য, হেফাজতের ভোট পাবার চেষ্টায় আপোসকামিতার ফলে ওদের কোন ভোট মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বদানকারী দল পাবে না- এটা নিশ্চিত। বরং গণজাগরণ মঞ্চের সদস্যদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করার মামলা রুজু করে ওই আওয়ামী লীগের হেফাজতপন্থী গোষ্ঠীটি মহাজোটের প্রাপ্য তরুণ প্রজন্মের সমর্থন হারাতে পারে বলে জনগণ শঙ্কিত। প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় জানেন, সংসদীয় গণতন্ত্রের সৌন্দর্যই হচ্ছে, সমালোচনা গ্রহণ করে এ থেকে করণীয় নির্ধারণ। সমালোচনা করা যায় না রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রপতিকে। কিন্তু সরকারপ্রধান, প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকা পোড়ানো থেকে তাঁকে নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র, কার্টুন, সেøাগান হতেই পারে এবং সেটি সব দেশের সব শিক্ষিত গণতান্ত্রিক নেতারা মেনে নেন এবং তাঁরা এ থেকে জনমানুষের মনের বার্তাটিও পেয়ে কৃত ভুল সংশোধনের পথে হাঁটেন। এর আগে হেফাজতের দাবিতে কয়েকজন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী গণজাগরণ মঞ্চের তরুণ সদস্যকে গ্রেফতার করে মামলা করা হয়েছিল। দয়া করে সেই গ্রাম্য, অর্বাচীন পন্থা-মামলা দেয়া, মামলা দিয়ে হয়রানি করার পন্থা এই তথ্যপ্রযুক্তি, বিজ্ঞান এবং ডিজিটাল যুগে কঠোর হাতে বন্ধ করুন। লাখ লাখ খুন-ধর্ষণ-প্রতারণা-ব্যাংকলুট, জমি খাল, নদী দখল, সংখ্যালঘু নির্যাতনের মামলা যেখানে জমে আছে, সেখানে এসব ব্যঙ্গ-কার্টুন, সেøাগানের জন্য, বিজ্ঞানের যুগে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার জন্যও মামলা হতে পারে? এটি একবারেই গ্রহণযোগ্য নয়। ৪. আবারও নারায়ণগঞ্জ। এবার স্কুলের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার ভক্তকে কয়েক মাস আগে সম্মানহানি করার জন্য যে সাংসদের সদস্যপদ বাতিল হওয়ার কথা ছিল, তা কিন্তু হয়নি। অবশেষে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্যোগে, সরকারের সঠিক পদক্ষেপে তাঁকে যখন চাকরিতে সসম্মানে ফিরিয়ে নেয়া হলো, তখন তাঁর বিরুদ্ধে এবার ঘুষ গ্রহণের মামলা দেয়া হলো এক মহিলা শিক্ষিকার দ্বারা! ধিক, আমাদের এই সমাজের কুৎসিত ব্যক্তিগুলোকে! এই হয়রানি করার নিহিত উদ্দেশ্য- হেফাজত-জামায়াতের গোপন উদ্দেশ্য, ‘তোমরা হিন্দুরা এখনও আছ কেন? থাকলে এমন হয়রানিতে পড়বে, চলে যাও। এদেশটাকে উদার ধর্মনিরপেক্ষদের নয়, ধর্মান্ধ সাম্প্রদায়িক মুসলমানের দেশে পরিণত করব, শেখ মুজিবের ধর্মনিরপেক্ষতা, ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এসব অমুসলিম কাজ মুজিবের মেয়েকে দিয়ে সংশোধন করছি, আমাদের আর বাধা দেবে কে’? হিন্দুদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ, অপহরণ, জমি দখল চলছেই। প্রধানমন্ত্রী আপনি নীরব থাকতে পারেন না, ওরা বারবার মুজিবের দলকেই ভোট দেয়। কেন ওরা এত নির্যাতনের পরও ভোটকেন্দ্রে যায়- এটি একটি প্রশ্ন যার উত্তর ধর্মান্ধরা জানেন না। ৫. এরই মধ্যে দুজন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদে সবসময় ছাত্রছাত্রী, সহপাঠীরা যা করে থাকে এ দুজনের সহপাঠীরাও তাই করেছিল, রাস্তা অবরোধ, বাস ভাঙচুর ইত্যাদি। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বুঝিয়ে, তদন্ত কমিটি করে এমন পরিস্থিতির সামাল দেন। এবার দেখা গেল, ছাত্রছাত্রীদের সেদিনই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে প্রশাসন একদিনে হল ত্যাগের নির্দেশ দিল, প্রায় শতাধিক প্রতিবাদী ছাত্রছাত্রীকে পুলিশ গ্রেফতার করল, যা পাকিস্তান আমলের পুলিশি নির্যাতনকেই কেবল স্মরণ করিয়ে দেয়! মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবাহী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী এমন কাজ করলে শিক্ষার্থীরা কোনদিকে মুখ ফেরাবে? নির্বাচনে এর ফল কি হবে? উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি বিএনপিপন্থী দল কর্নেল তাহেরের ভাই মুক্তিযোদ্ধা সুযোগ্য শিক্ষক ড. আনোয়ার হোসেনকে ভিসি হিসেবে অকার্যকর করে প্রায় গৃহবন্দী করে রেখেছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, তারাই কি এই মর্মান্তিক ঘটনাকে পুঁজি করে ছাত্রছাত্রীদের সরকারবিরোধী অবস্থানে ঠেলে দিতে চেয়েছিলÑ এ প্রশ্ন জনগণের মনে না জেগে পারে না। বছর দুয়েক আগে বুয়েটের একদল বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষক একটি সরকারবিরোধী আন্দোলন করেছিলেন যার কোন যৌক্তিক কারণ তারা কখনও দেখাতে পারেনি। এখন সম্ভবত তারাই অবসরে যাবার বিষয়কে ইস্যু করে আবার গ-গোল করছেন। যা হোক, জাবি ছাত্রছাত্রীদের প্রতি পুলিশের আচরণ, শিক্ষক-প্রশাসকদের আচরণের সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচার করার কোন বিকল্প নেই। এ সরকারের প্রতি তরুণ প্রজন্মের আস্থা ও সমর্থন হ্রাসে এ ঘটনাগুলো ভূমিকা রাখবে, তাতে কোন সন্দেহ নেই। বঙ্গবন্ধুকন্যা বাঙালীর হাজার বছরের সৃষ্টি শিল্প-সাহিত্য, কাব্য, পুঁথি-যাত্রাপালা, সঙ্গীতের ভা-ারকে ‘৭১-এ পাকিস্তানপন্থী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী হেফাজতের মতো কট্টর মৌলবাদীদের ধর্মান্ধতার কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেয়ার প্রক্রিয়া সমর্থন দিতে পারেন না। তিনি তাদের সব দাবি যে বাঙালীর উদার, অসাম্প্রদায়িক ধর্মনিরপেক্ষ, সব ধর্মের মানুষের মিলনে মিশ্রণে তৈরি বাঙালী জাতিসত্তার ধ্বংস সাধনের লক্ষ্যে গৃহীত, সেটি উপলব্ধি করে প্রগতি ও বাঙালীসত্তার বিরোধীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন, কেননা তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা। তিনি একবার নির্দেশ দিলে জনগণের প্রতিরোধে তারা লেজ গুটিয়ে পালাতে পথ পাবে না। এদের অতীত, বর্তমান নানা ছোট-বড় অপরাধ, দুর্নীতি তদন্ত করলেই পাওয়া যাবে। একবার অনুসন্ধান শুরু হলে এদের অপকর্ম, বিশেষত ৫ মে’র ধ্বংসযজ্ঞের হোতাদের বিচারের আওতায় আনা হলে এরা পিছু হটতে বাধ্য হবে। এই সঠিক কাজটি করতে হবে। এদের নির্দেশ মেনে প্রগতিশীল প্রবীণ ও তরুণ প্রজন্ম এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায় যাদের ভোটে পর পর দু’বার মহাজোট ক্ষমতায় এসেছিল তাদের প্রতি যেসব নির্যাতন, নিপীড়নমূলক ঘটনা পরিকল্পিতভাবে ঘটানো হচ্ছে তা নিশ্চিতভাবেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী দলের ভোট কাটবে। সবশেষে বলব, এই ডিজিটাল যুগে কে বলেছে প্রধানমন্ত্রীকে সমালোচনা করা যাবে না? যুক্তরাষ্ট্রে, ইউরোপে তাদের দেশের সরকার প্রধানদের চেহারাকে কমিক চরিত্রের মুখোশ বানিয়ে জনগণ প্রতিদিন প্রতিবাদ করছে না? ওদের বিরুদ্ধে কি মামলা হচ্ছে? আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগকে অনেকপথ পাড়ি দিয়ে আধুনিক হতে হবে, ডিজিটাল যুগের বিজ্ঞানমনষ্কতা অর্জন করতে হবে। সব যুগে, যুগের চলার পথে পিছিয়ে পড়াদের অগ্রণী মানুষেরা পেছনে ফেলে চলে যায়। এ যুগে শুধু গ্রামীণ কৃষকের ভোটে নির্বাচনে জয় হবে না। লেখক : শিক্ষাবিদ ও গবেষক
×