ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কিট আন্তর্জাতিক দাবায় জিয়া সপ্তম

প্রকাশিত: ০৬:৫৬, ৪ জুন ২০১৭

কিট আন্তর্জাতিক দাবায় জিয়া সপ্তম

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ভারতের উড়িষ্যার ভুবনেশ্বরে অনুষ্ঠিত ‘টেন কিট আন্তর্জাতিক দাবা ফেস্টিভালে’ বাংলাদেশের গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়াউর রহমান সপ্তম স্থান লাভ করেছেন। আরও ৪ দাবাড়ুর সঙ্গে ১০ খেলায় সাড়ে ৭ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ স্থানের জন্য টাই করে টাইব্রেকিংয়ে জিয়া সপ্তম হন। অপর গ্র্যান্ডমাস্টার রিফাত বিন সাত্তার ৭ পয়েন্ট পেয়ে ২২তম হন। গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোরশেদ ৬ পয়েন্ট নিয়ে ৬২তম, ফিদেমাস্টার সৈয়দ মাহফুজুর রহমান সাড়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে ৯৮তম, ৫ পয়েন্ট নিয়ে ফিদেমাস্টার ফাহাদ রহমান হয়েছে ১০৪তম এবং জামালউদ্দিন ১৩৮তম, সাড়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে আনিসুজ্জামান জুয়েল ১৫৬তম, ৪ পয়েন্ট নিয়ে সিরাজুল কবীর ১৭৪তম ও মিজানুর রহমান ১৭৭তম, সাড়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে রাজু আহমেদ ২১২তম, ৩ পয়েন্ট নিয়ে সাদনান হাসান দিহান ২১৭তম, মনন রেজা নীড় ২১৯তম, আড়াই পয়েন্ট নিয়ে শাহনাজ মোঃ ফারুক ২২৩তম ও মোহাম্মদ হাসান ২২৯তম এবং কমুদিনি নার্গিস ১ পয়েন্ট নিয়ে ২৩৫তম হন। সাড়ে আট পয়েন্ট পেয়ে ভিয়েতনামের গ্র্যান্ডমাস্টার ইয়েন ডাক হোয়া চ্যাম্পিয়ন হন। ১৩ দেশের ১৫ গ্র্যান্ডমাস্টার ও ২০ আন্তর্জাতিক মাস্টারসহ ২৫১ দাবাড়ু এ টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করেন। দলকে শুভকামনা হতাশ ওকসের স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম কোন বড় টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র দুই ওভারেই শেষ হয়ে গেল তার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ঘরের মাটিতে এতবড় একটি আসর, দলও বেশ ভাল অবস্থানেÑ এমন সময় ইনজুরিটা খুবই হতাশার। ইংল্যান্ডের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকেই ছিটকে গেছেন। সাইড স্ট্রেইনে পড়ার কারণে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে উদ্বোধনী ম্যাচে মাত্র দুই ওভার বোলিংয়ের পরই মাঠ থেকে চলে যান ওকস। তবে আসরে দলের সার্বিক সাফল্য কামনা করেছেন তিনি। ম্যাচের দিন মাঠ থেকে বেরিয়ে আসলেও তখন পর্যন্ত বোঝা যায়নি ওকসের অবস্থা কতখানি নাজুক। ম্যাচের পরদিন শুক্রবার ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) নিশ্চিত করে জানায়, চলতি আসরে আর খেলার মতো অবস্থা নেই ওকসের। এরপর হতাশা ব্যক্ত করেছেন ওকস। তিনি বলেন, ‘এটা মেনে নেয়া বেশ কঠিন। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে আমরা নিজেদের দলগতভাবে গুছিয়ে তোলার দিকে বেশি বেশি মনোনিবেশ করেছিলাম। আমাদের আগে থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে অনেক বেশি মনোযোগ ছিল। আমরা দলগত নৈপুণ্যেই দারুণ কিছু করতে চাই। কারণ আমরা এই টুর্নামেন্টে ভাল ফর্ম নিয়েই খেলতে এসেছি।’ কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মতো মর্যাদার আসরে উদ্বোধনী ম্যাচেই ইনজুরিতে পড়াটা খুবই দুঃখজনক। ওকস মনে করছেন এটা জীবনে অন্য যে কোন হতাশার চাইতেও হতাশাজনক। তিনি বলেন, ‘মাত্র দুই ওভার বোলিং করে মাঠ থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হওয়া যে কোন বোলারের জন্যই অনেক কঠিন বিষয় মেনে নেয়া। দশজনের দলে পরিণত করে সতীর্থদের ছেড়ে আসা সহজভাবে নেয়ার বিষয় নয়। কিন্তু এরপরও যখন দল জিতেছে আমি পরে সন্তুষ্ট হতে পেরেছি।’ ২৮ বছর বয়সী ওকস এর আগেই দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের সময় ভেবেছিলেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলা হবে না। কারণ ওই সময় ইনজুরিতে পড়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে দলেও থাকলেন এবং প্রথম ম্যাচের একাদশে সুযোগ পেলেন। কিন্তু সাইড স্ট্রেইনের কারণে দুই ওভারের বেশি বলই করতে পারলেন না। এ বিষয়ে ওকস বলেন, ‘আমি দুই ওভার শেষ করেছি, কিন্তু সম্ভবত তৃতীয় কিংবা চতুর্থ বলেই আমি অনুভব করছিলাম যে আমার একটা পার্শ্ব অসাড় হয়ে যাচ্ছে। কোনমতে সেই ওভারটা শেষ করেছি, কিন্তু খুবই অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছিলাম। মনে হচ্ছিল কেউ আমার ওখানে ছুরি বসিয়ে দিচ্ছে। তখনই খবরটা দলের জন্য আর আমার জন্য ভাল ছিল না। আর স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর সেটা আরও খারাপ হয়ে গেল।’ তবে আইপিএল খেলে আসার পর থেকে বেশ ভালই বোধ করছিলেন ওকস। তিনি ভাবতেও পারেননি ইনজুরিটা এভাবে হানা দেবে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি আইপিএল থেকে ফেরার পর শরীরটাকে দারুণ ভাল মনে হচ্ছিল। বৃহস্পতিবারের ম্যাচটির আগে আমি কোন ধরনের সমস্যা বোধ করিনি। কিংবা অসাড়তার কোন লেশও ছিল না।’ জুলাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে এখন নিজেকে ফিট করে তোলাই লক্ষ্য ওকসের। ৬ জুলাই লর্ডসে প্রথম টেস্ট অনুষ্ঠিত হবে। যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন এ পেস অলরাউন্ডার। এ বিষয়ে ওকস বলেন, ‘যতটা পারি পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে যাব। ডাক্তারদের পরামর্শ অনুসারে কার্যক্রম চালিয়ে যাব। এর আগে কখনও আমার সাইড স্ট্রেইনে পড়তে হয়নি। এটা এমন ধরনের ইনজুরি যে ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে বলে বোলারদের গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হয়।’
×