স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ শ্রীপুরে কন্যাসহ বাবা চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা প্ররোচনার এবং গরু চুরি অভিযোগে করা দুটি মামলার আরও এক পলাতক আসামিকে বগুড়া থেকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে শ্রীপুর মডেল থানা-পুলিশ। গ্রেফতারকৃতের নাম আঃ খালেক বেপারি (৫০)। সে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্রামের মৃত আলীম উদ্দিন বেপারির ছেলে। এনিয়ে এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে। শ্রীপুর মডেল থানা-পুলিশ জানায়, উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের কর্ণপুর (সিটপাড়া) গ্রামের হযরত আলী তার মেয়ে আয়েশা আক্তারকে নিয়ে গত ২৯ এপ্রিল শ্রীপুর রেলস্টেশনের পাশে চলন্ত তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ঘটনার পরদিন হযরত আলীর স্ত্রী হালিমা বেগম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে সাতজনের বিরুদ্ধে কমলাপুর থানায় মামলা করেন। এছাড়াও নানা হয়রানিসহ গরু চুরির অভিযোগে শ্রীপুর মডেল থানায় হালিমা বেগম আরও একটি মামলা করেন। উভয় মামলায় আঃ খালেক বেপারিকে দুই নম্বর আসামি করা হয়। এদিকে বাবা-মেয়ের আত্মহত্যার ঘটনার পরপরই মামলার অন্যতম আসামি খালেক শ্রীপুর থেকে পালিয়ে যায়।
বাউফলে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষিত
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ৩০ মে ॥ কাছিপাড়া ইউনিয়নের দরিয়াবাদ গ্রামে ১৩ বছরের এক মাদ্রাসার ছাত্রী ধর্ষিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ওই ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করেছেন। জানা গেছে, কারখানা দাখিল মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণীর ওই ছাত্রীর সঙ্গে একই গ্রামের ছালাম হাওলাদারের ছেলে ও দুই সন্তানের জনক কামাল হাওলাদারের (২৫) মোবাইল ফোনে পরিচয় হয়। এরপর দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় কামাল বাড়ির সামনে থেকে ওই ছাত্রীকে তার মোটরবাইকে তুলে একটি পরিত্যক্ত ভিটায় নিয়ে ধর্ষণ করে পরদিন শনিবার সকালে কামাল ওই ছাত্রীকে বামনির বিল ব্রিজের কাছে রেখে যায়। বিষয়টি ওই ছাত্রীর মা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও দরিয়াবাদ গ্রামের মেম্বার রিপন সিকদার ও মাছ ব্যবসায়ী মুহিতকে জানায়। তারা সালিশ ব্যবস্থার মাধ্যমে বিষয়টি ফয়সালার কথা বলে সময় ক্ষেপণ করে। তাই নিরুপায় হয়ে ওই ছাত্রীর বাবা মঙ্গলবার দুপুরে বাউফল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা করেন। ছাত্রীটিকে মেডিক্যাল টেস্টের জন্য পটুয়াখালী পাঠানো হয়েছে।