২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ

কোর্ট রিপোর্টার ॥ অবশেষে শেষ হলো গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ সাক্ষী তদন্ত কর্মকর্র্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আকন্দের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার মধ্য দিয়ে সাক্ষ্য নেয়ার ধাপ শেষ হয়। ঢাকার ১ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন আগামী ১২, ১৩ ও ১৪ জুন আসামিদের বক্তব্য শুনানির দিন ধার্য করেছেন। মামলার আসামি সাবেক উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুর পক্ষে সাক্ষী আব্দুল কাহার আকন্দের জেরা শেষ হওয়ার পর রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটিতে আর কেউ সাক্ষ্য দেবেন না বলে জানালে ট্রাইব্যুনাল মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন করেন। মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ রেজাউর রহমান জানিয়েছেন, মামলাটিতে মোট ৪০৮ জন তালিকাভুক্ত সাক্ষী ছিল। তাদের মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ মামলার অভিযোগ প্রমাণের জন্য যে সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা প্রয়োজনীয় শুধু সে সব সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। ২০১৬ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের সর্বশেষ এ সাক্ষীর জবানবন্দী দেয়া শুরু করেন। সাত কার্যদিবস জবানবন্দীর পর ওই বছর ৩০ অক্টোবর জবানবন্দী শেষ হয়। এরপর ওই বছর ১ নবেম্বর এ সাক্ষীকে জেরা শুরু হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্পিøন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও শ্রবণশক্তি হারান। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন ২২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রথম চার্জশীট দাখিল করে সিআইডি। ওই বছর ২৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৯ জুন পর্যন্ত ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে অধিকতর তদন্তের নির্দশ দেয় দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল। ২০১১ সালের ৩ জুলাই অধিকতর তদন্ত শেষে তারেক রহমাসসহ আরও ৩০ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশীট দাখিল করে সিআইডি। ২০১২ সালের ১৮ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সম্পূরক চার্জশীটের ৩০ আসামির অভিযোগ গঠন করে ফের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লে. কমান্ডার (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউক, সাবেক আইজিপি মোঃ আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলাটির তিন তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও সাবেক ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।