ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

হৃদরোগ হাসপাতালে আরও ৫শ’ শয্যা বাড়ানো হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৬:০৬, ২৮ মে ২০১৭

হৃদরোগ হাসপাতালে আরও ৫শ’ শয্যা বাড়ানো হবে ॥ স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী বছরের জুনের মধ্যে আরও পাঁচশ শয্যা সংযোজন করে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। এখন থেকে অন্যান্য সরকারী হাসপাতালের মতো হৃদরোগ হাসপাতালেও বিনামূল্যের শয্যায় ভর্তি হওয়া রোগীদের জন্য সব ধরনের রক্ত পরীক্ষা বিনামূল্যে করার নির্দেশও দিলেন তিনি। শনিবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি একথা বলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী দুপুর পৌনে একটায় হাসপাতালে আসেন। তিনি বহির্বিভাগের চিকিৎসা কার্যক্রম সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। পরে ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রোগীদের পাশে কিছুক্ষণ অবস্থান করে তাদের সঙ্গে কথা বলে সেবা ব্যবস্থার খবর নেন। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উর্ধতন চিকিৎসকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এসসয় তিনি জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সম্প্রসারণ কাজের অগ্রগতি জানতে চান। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়ে তিনি এ সময় বলেন, সরকারী হাসপাতালগুলো দেশের গরিব ও মধ্যবিত্ত মানুষের একমাত্র আশ্রয়স্থল। সাধারণ মানুষের সেবা নিয়ে কোন গাফিলতি সরকার মেনে নেবে না। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতি আজ বিশ্বব্যাপী আলোচনার বিষয়। গত সপ্তাহে সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সম্মেলনে জড়ো হওয়া ১৯৪ দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের আলোচনায় বাংলাদেশের অর্জন প্রসঙ্গটি বারবার এসেছিল। বাংলাদেশের এই অর্জনকে এগিয়ে নিতে হলে চিকিৎসকদেরই অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সীমিত সম্পদের এই দেশে সরকারী স্বাস্থ্যসেবাকে কাক্সিক্ষত মানে নিয়ে যেতে সরকারের সব উদ্যোগ সফল হবে যদি চিকিৎসক, নার্স ও প্রয়োজনীয় জনবল পর্যাপ্ত থাকে। দেশে নার্স সঙ্কট অনেক কমে গেলেও, রোগীর চাপের তুলনায় ডাক্তার অপ্রতুলতা আজও দূর করা সম্ভব হয়নি। সরকারের দূরদর্শী কৌশলের কারণে বর্তমানে উপজেলা পর্যায়ে ডাক্তার অনুপস্থিতি নেই বললেই চলে। গ্রামের মানুষ আজ চিকিৎসা বঞ্চিত থাকছে না। জেলা, বড় বড় শহর ও রাজধানীর হাসপাতালগুলোতে শয্যার তুলনায় কয়েকগুণ রোগী ভর্তি থাকে, তবুও মানুষ সরকারী হাসপাতাল থেকে খালি হাতে ফেরত যায় না। আমাদের ডাক্তার আর নার্সরা আন্তরিকতার সঙ্গে সেবা প্রদান করছেন বলেই মানুষ তাদের ওপর আস্থা রেখে হাসপাতালে আসছে। তিনি বলেন, যদি কোন হাসপাতালের সেবা সম্পর্কে কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তবে তা দ্রুত প্রতিকারের উদ্যোগ নেয়া হয়। এবং সঙ্গে সঙ্গে অভিযুক্তের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণ করছে সরকার। মন্ত্রী পরে হাসপাতালের সিসিইউ, ক্যাথল্যাব, জরুরী বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ডসহ হাসপাতালের মেঝেতে চিকিৎসাধীন শয্যার অতিরিক্ত ভর্তি হওয়া রোগীদের সঙ্গেও কথা বলে সেখানকার সার্বিক ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত হন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ, হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আফজালুর রহমানসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×