ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুরু হলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৮ মে ২০১৭

শুরু হলো সিয়াম সাধনার মাস পবিত্র রমজান

শাহীন রহমান ॥ শুরু হলো পবিত্র মাহে রমজান। মাসব্যাপী সিয়াম সাধনার মাস। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি ও তীব্র দাবদাহে অস্বস্তি থাকলেও রোজা পালনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের আয়োজন ও প্রস্তুতির এতটুকু কমতি নেই। শনিবার রাতে তারাবির নামাজ ও সেহরির মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে এবারের রমজানের আনুষ্ঠানিকতা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এবারের রমজানে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতি নিয়ে রোজাদারদের মধ্যে অস্বস্তি থাকলেও রমজানের বাড়তি সুবিধাও রয়েছে অপেক্ষাকৃত কমমূল্যে মৌসুমি ফল প্রাপ্তিতে। তবে ইফতারের নিত্যপ্রয়োজনীয় আইটেমের মান নিয়ে শঙ্কাও কম নেই। এছাড়া জ্যৈষ্ঠের প্রচ- দাবদাহ উপেক্ষা করেই রোজাব্রত পালন করতে হবে। আবহাওয়া যথেষ্ট বৈরী। প্রকৃতিতে চলছে প্রচ- দাবদাহ। এছাড়াও চন্দ্র মাসের আবর্তনের কারণে রোজা এমন এক সময় শুরু হলো যখন দিনের ভাগের পরিমাণ অনেক বেশি। ১৫ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে না খেয়ে রোজাদারদের কাটাতে হবে। ফলে অন্য সময়ের চেয়ে এবারের রোজা রোজাদারদের জন্য একটু কষ্টদায়ক হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসব কারণেই রমজানের সেহরি ইফতারিতে বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। ভাজাপোড়া ও বাসি খাবার এবং অস্বাস্থ্য ও নোংরা পরিবেশ তৈরি খাবার এড়িয়ে চলতে হবে স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে। সচেতনতা অবলম্বন করে রোজা পালন করলে ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে। রোজাদাররা অবশ্য সার্বিক এসব বিষয় মাথায় নিয়ে মাসব্যাপী রোজা পালনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতিতে অস্বস্তি এবারের রমজানে অস্বস্তির বিষয় হলো নিত্যপণ্যের মূল্য নিয়ে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রোজা কেন্দ্রিক অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম এখন বেশ চড়া। বাঙালীর ইফতারে ছোলা, মুড়ি, পিয়াজু ও বেগুনী ছাড়া চলে না। সরেজমিন দেখা গেছে বাজারের এসব পণ্যের যোগান রয়েছে প্রচুর। তবে দাম বেশ চড়া। রোজা সামনে রেখেই বেড়ে গেছে বেগুনের দাম। কিছুদিন আগেও এক কেজি বেগুনের দাম ছিল ৪০ টাকার মধ্যে। শনিবার মিরপুর ১ নম্বরের বিভিন্ন কাঁচাবাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে এক কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকার মধ্যে। অপরদিকে ছোলার চাহিদা থাকায় এ পণ্যের দামও বেশ চড়া। প্রতি কেজি ছোলার দাম রাখা হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকার মধ্যে। অথচ কিছুদিন আগেও এর দাম বেশ কম ছিল। এছাড়াও ইফতারের সালাদ হিসেবে ব্যবহৃত শসার দাম ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে। ৪০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে শসা বিক্রি হচ্ছে। তবে বাজারে এসব পণ্যের যোগান রয়েছে প্রচুর। অবশ্য এর বাইরে অন্য কাঁচা শাকসবজির দাম তুলনামূলকভাবে একটু কমই রয়েছে। রমজান শুরুর সঙ্গে সঙ্গে মাছ ও মাংসের চাহিদাও বেড়ে গেছে। তবে রমজান উপলক্ষে এসবের দাম আগের মতোই কিছুটা স্থিতিশীলই দেখা গেল। কেজি প্রতি পাকিস্তানি (কক) মুরগি বিক্রি করা হচ্ছে আড়াইশ’ টাকার মধ্যে। বয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি দেড়শ’ করে বিক্রি করতে দেখা গেছে দোকানদারদের। এছাড়া গরুর মাংসের দোকানেও শনিবার সকালে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের বেঁধে দেয়া মূল্যে ৪৭৫ টাকায় প্রতি কেজি গরুর মাংস বিক্রি করা হলেও এর আগে ৪৫০ টাকার মধ্যে বিক্রি হতে দেখা গেছে। রোজার কারণে এ বর্ধিত দাম রাখা হচ্ছে। জানা গেছে গরুর গোস্তের দাম বেশি হওয়ায় মাংসের চাহিদা মেটাতে তারা নির্ভর করছে পাকিস্তান থেকে আসা মুরগির ওপর। মৌসুমি ফলের সরবরাহে স্বস্তি প্রচ- গরম এবং দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির মধ্যেও এবারের রমজানে স্বস্তির বিষয়ও রয়েছে মৌসুমি ফলে অত্যাধিক যোগান। বাজারের এসব ফলের দামও অনেক কম। এ কারণে ইফতারি ও সেহরিতে বিদেশী ফলের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না রোজাদারদের। দেশীয় মৌসুমি ফলে বাজার এখন ভরপুর। রসালো আম, লিচু, কলা, তরমুজ, বাঙ্গি, জাম, পেয়ারা, আনারস, তালে শাশের পাশাপাশি আপেল আঙ্গুরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে রমজানে। প্রতিদিন সারাদেশ থেকে রাজধানীতে আসছে এসব মৌসুমি ফল। তবে বিদেশী ফলের চেয়ে দেশীয় মৌসুমি ফলের দাম অনেকটা সস্তা। এছাড়া অন্যবারের চেয়ে এবারে মৌসুমি ফলে বিষ মেশানো এবং অপরিপক্ব ফল বিক্রির প্রবণতাও অনেকটাই কমে গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে বিদেশী আপেল আঙ্গুর ও মালটার চেয়ে দেশীয় এসব ফলের দাম প্রায় অর্ধেক। তবে তুলনামূলকভাবে লিচুর দাম বেশি। বাঙ্গির ফলে শরবত ইফতারে বেশ উপকারী। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে একটি বাঙ্গি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। একটি তাল শাশ ২০ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। আনারসের দামও অনেক কম। বৈরী আবহাওয়া এবারের আবহাওয়াটাও রোজাদারদের জন্য কম কষ্টদায়ক হবে না। ইতোমধ্যে প্রকৃতিতে চলছে জ্যৈষ্ঠের প্রচ- দাবদাহ। বিগত এক সপ্তাহ ধরে সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে ঘনঘন লোডশেডিং। গ্রামাঞ্চলে প্রায় ১৮ ঘণ্টা বিদ্যুত পাওয়া যাচ্ছে না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে জুনের প্রথম সপ্তাহে মৌসুমি বায়ু দেশের ভেতরে প্রবেশের আগে বর্তমান অবস্থার পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদিও গত শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে তাপপ্রবাহের তীব্রতা অনেকটাই কমে এসেছে। তবে রোদের তীব্রতা রয়ে গেছে আগের মতোই। তারা জানায় মৌসুমি বায়ু ইতোমধ্যে টেকনাফ উপকূলের কাছাকছি চলে এসেছে। জুনের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশের ভেতরে প্রবেশ করতে পারে মৌসুমী বায়ু। এছাড়া ১৫ জুনের মধ্যে সারাদেশে এর ব্যাপ্তি লাভ করবে। তবে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ না করা পর্যন্ত গরমের তীব্রতা সহ্য করেই রোজা পালন করতে হবে। তবে তারা জানায় এবারের জুন মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। জুনের মাঝামাঝি সময়ে দেশে শুরু হবে বর্ষাকাল। এই সময়ে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বর্ষাকালে টানা এক থেকে তিন দিন, কখনও কখনও টানা পাঁচ দিন থেকে সাত দিনও বৃষ্টি হতে পারে। তখন রোজায় বেশ স্বস্তি আসতে পারে। তাপমাত্রাও তখন অনেকটা কমে আসবে। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, জুনে দিনের ব্যাপ্তি দীর্ঘ হয়। সূর্যের তেজ থাকে প্রচ-। কিন্তু আকাশে মেঘমালা থাকায় সূর্য ঢাকা থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এতে কিরণকাল কমে আসবে, তাপমাত্রাও কমে আসবে। ফলে রোজাদারেরা গরমে কিছু স্বস্তি হয়ত পাবেন। তবে টানা বৃষ্টির পর আবার গরম বেড়ে যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ১৫ ঘণ্টার উপবাস দিন যত যাবে রোজায় দিনের পরিধি ততই বাড়বে। আজ ২৮ মে প্রথম রোজায় দিনের পরিধি থাকছে ১৫ ঘণ্টা ৪ মিনিট। প্রথম রোজায় সেহরির শেষ সময় ছিল ৩টা ৪০ মিনিট। ইফতারির সময় ধরা হয়েছে ৬টা ৪৪ মিনিটে। দিনের পরিধি বড় হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই অনেকের কাছে রোজা কষ্টের হবে। তবে এসব বিষয় মাথায় রেখেই রোজা রাখার প্রস্তুতি রয়েছে রোজাদারদের। দিনের পরিধি বড় হলে রোজা রাখার প্রতি আগ্রহের কোন কমতি নেই কারো। বরং উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়েই রোজাব্রত শুরু করেছেন তারা। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর আবর্তনের মতো চন্দ্র মাস চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। এভাবে এক বছর ঘুরে আসতে একটি চন্দ্র মাসের সময় লাগে ৩৫ বছর। রমজান মাস অন্যান্য মাসের ন্যায় চক্রাকারে ঘুরতে থাকে। প্রতিবছরই চন্দ্র মাস ৯ থকে ১০ দিন করে এগিয়ে আসে। চন্দ্র মাসের এই ঘূর্ণাবর্তের কারণে রমজানে এখন এমন এক জায়গায় অবস্থান করছে যেখানে রাতের তুলনায় দিনের ভাগের পরিধি সবচেয়ে বড়। আর দিবাভাগ বড় হওয়ায় বেশি সময় ধরে পানাহার বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ কারণে কষ্ট সহ্য করেই রমজানের প্রস্তুতি রয়েছে। চ্যালেঞ্জ ভেজাল ইফতারি আইটেম নিয়ে মাহে রমজানের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিয়েছে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া ইফতারি আইটেম দিয়ে। আজ রবিবার প্রথম রোজা থেকে প্রায় মাসব্যাপী চলবে ইফতার বাণিজ্য। এজন্য ব্যবসায়ীরা রাজধানীর ব্যস্ততম সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি বাজার ঘাট সবস্থানেই ইফতারির পসরা নিয়ে বসছেন। কিন্তু বাইরে খোলা ও অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে তৈরি হওয়া এসব ইফতার কতটা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। দুপুর থেকে বানানো হয় এই ইফতারি আইটেম। অথচ বিশেষজ্ঞরা বলছেন সঠিক প্রক্রিয়ায় খাদ্যদ্রব্য তৈরি ও তার রক্ষণাবেক্ষণ করা না হলে খাবার বিষাক্ত হয়ে পড়বে। একই তেল বারে বারে ব্যবহার করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এছাড়া খাদ্যে ভেজাল মেশানোর অভিযোগ রয়েছেই। এদিকে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও নিরাপদ খাদ্যের ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করা হয়েছে। তারা বলছে অস্বাস্থ্য ও নোংরা পরিবেশে খাদ্য দ্রব্য তৈরি করলে অণুজীবঘটিত রোগবালাই তৈরি হতে পারে। খাদ্য খোলা ও উন্মুক্ত রাখলেও তাতে রোগ জীবাণুর আক্রমণ হতে পারে। যে কোন ধরনের শরবত তৈরিতে অনিরাপদ পানি বা সুগন্ধি ব্যবহার করলে বা অনিরাপদ বরফ ব্যবহার করলে অণুজীব ও রাসায়নিক দূষণের কারণে তা অনিরাপদ হয়ে পড়বে। পোড়া বা ভেজাল মিশ্রিত তেল দিয়ে ইফতারি ভাজলে তা অনিরাপদ হতে পারে। ফল, শাকসবজি বা সালাদ জাতীয় খাবারে রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করলে তা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। একই সঙ্গে তারা খাবার পরিবহনে খবরের কাগজ বা কাগজের তৈরি ঠোঙ্গা ব্যবহার করতেও নিষেধ করেছেন। পরিবেশ সংগঠন পবা’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবদুস সোবহা বলেন, ইফতারিতে বিভিন্ন সামগ্রী ভাজার জন্য বিভিন্ন পোড়া বা ভেজাল মিশ্রিত তেল ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিনই একই তেল দিয়ে ইফতারি সামগ্রী ভাজা হয়। এর ফলে সে তেল বিষে রূপান্তরিত হয় যা কিনা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। ইফতারসহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রীতে খাদ্য রং ব্যবহারের পরিবর্তে ক্ষতিকর টেক্সটাইল ডাইং ব্যবহার করা হয়। এ সময়ে ইফতারিসহ সকল খাদ্য সামগ্রীর মান নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান তিনি। রোজায় প্রয়োজন বাড়তি সচেতনতা পুষ্টি ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যেহেতু এবারের রোজায় ১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে তাই রোজাদারদের বাড়তি সচেতনতার প্রয়োজন রয়েছে। এই সচেতনতা বজায় রেখে যেমন একজন রোগীর পক্ষে রোজাব্রত পালন করা সম্ভব আবার অন্যরা সচেতন থাকলে রোজায় অনেক রোগ এড়ানো সম্ভব হবে। এ কারণে তারা ভেজাল, বাসী-পচা ও বেশিক্ষণ আগে রান্না করা খাবার এড়িয়ে চলার পরমর্শ দিয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলামের মতে, এবারের ১৫ ঘণ্টার রোজায় স্বাভাবিকভাবেই নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসের বাইরে বাড়তি কিছু সচেতনতা দরকার। একটু নিয়ম মেনে খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব। তিনি বলেন, যেহেতু দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হবে, তাই শরীরে পানির ঘাটতি রাখা যাবে না। প্রয়োজন অনুযায়ী যথেষ্ট পানিজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্য তালিকায়। ইফতারিতে খাওয়ার সময় ভাজাপোড়া কমাতে হবে। এসব খেতে হলে প্রয়োজনে বাসায় ভাল তেল দিয়ে বানিয়ে খেতে হবে। বাইরেরটা খাওয়া উচিত নয়। শরীর ঠা-া রাখে, এমন খাবারের ওপর জোর দিতে হবে। ইফতারে তরমুজ রাখা যেতে পারে। বয়স্ক ব্যক্তিরা দই-চিড়া খেতে পারেন। বাজারে অনেক ফল এসেছে। যে ফলগুলো পাওয়া যাচ্ছে, এর বেশির ভাগই ঠিকমতো পরিপক্ব হয়নি। আরও ১৫ দিন পরে খাওয়া যেতে পারে। ভারি কিছু খাওয়া যাবে না। লেবুর শরবত ও পর্যাপ্ত ফল দিয়ে ইফতার সারতে হবে।
×