ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিপিএলে খেলতে পারবেন এবার পাঁচ বিদেশী

প্রকাশিত: ০৬:২২, ২৬ মে ২০১৭

বিপিএলে খেলতে পারবেন এবার পাঁচ বিদেশী

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বিশ্ব ক্রিকেটে যে দেশগুলোতেই টি২০ ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট হয়, চার বিদেশী ক্রিকেটার খেলার অনুমতি পায়। বাধ্যতামূলক চারজন বিদেশী ক্রিকেটার খেলাতে হয়। একাদশে রাখতে হয়। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগেও (বিপিএল) তাই ছিল। কিন্তু এবার তা বদলে যাচ্ছে। এবার বিপিএলে পাঁচ বিদেশী ক্রিকেটারকে একাদশে রাখা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ বছর নবেম্বরেই শুরু হবে বিপিএল। ৪ নবেম্বর বিপিএলের বল মাঠে গড়াবে। তার আগে ২ নবেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে হবে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। ১৬ সেপ্টেম্বর ‘প্লেয়ার ড্রাফট’ মানে ‘প্লেয়ার বাছাই’ অনুষ্ঠিত হবে। গত আসরে সাত দল অংশ নিলেও এবার আট দল থাকছে। সিলেট আবার যুক্ত হচ্ছে। তাতে করে বাড়বে ম্যাচের সংখ্যাও। মোট ম্যাচ হবে ৬০টি। যদি কোন দল বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের নিয়মনীতি না মানে তাহলে দল কমতেও পারে। সেক্ষেত্রে ম্যাচের সংখ্যাও কমবে। এবার পঞ্চম আসরে ভেন্যুও বাড়ছে। মিরপুর ও চট্টগ্রামের সঙ্গে এবার কয়েকটি ম্যাচ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেও অনুষ্ঠিত হবে। বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের প্রধান আফজালুর রহমান সিনহা ও সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। বিদেশী ক্রিকেটার বাড়াই এবারের বিপিএলের চমক হতে যাচ্ছে। কেন বাড়ছে? তার উত্তর দিলেন বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিলের সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘চার-পাঁচটা ফ্র্যাঞ্চাইজি আবেদন করেছে। যদি একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দল এবার বাড়ে, ওই পরিমাণ স্থানীয় প্রতিভা আমাদের নেই। যারা এত বড় টুর্নামেন্টে নিজেদের মেলে ধরতে প্রস্তুত। ভারতে যে পরিমাণ প্রতিভা আছে, বাংলাদেশে এখনও সেটা খুঁজে পাইনি। আমরা যদি আটটা দল করি, তাহলে আরও সাত-আটজন স্থানীয় খেলোয়াড়ের সরবরাহ থাকতে হবে।’ ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে প্রতিটি দলে মাত্র একজন বিদেশী খেলোয়াড় সুযোগ পান। প্রিমিয়ার ক্রিকেটের মান ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও অনেক। যদিও নিচের সারির দলগুলোর জয়-হারের হিসেব দেখলে মনে হবে দলগুলো আসলে নামকাওয়াস্তে খেলছে। তারপরও সবখানে যেখানে দেশী ক্রিকেটারদেরই প্রাধান্য দেয়া হয়, সেখানে বিপিএলে পাঁচ বিদেশী ক্রিকেটার যুক্ত হওয়াতে স্থানীয় ক্রিকেটারদের সংখ্যা কমবে। মল্লিক এর ব্যাখ্যা দিলেন এভাবে, ‘একটা ৫০ ওভার, আরেকটা ২০ ওভারের খেলা। প্রিমিয়ার লীগের ১২টা দলই সমান? নিচের চারটা দল ওপরের ছয়-সাতটা দলের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই পারে না। পয়েন্ট তালিকা দেখেন, কীভাবে বলছেন, ওখানে খুব প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়?’ প্রশ্ন ওঠে। বিপিএলেও কি এই চিত্র দেখা যায় না? টানা হারতে হারতে দুই-তিন ম্যাচ বাকি থাকতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের বিদায় নিশ্চিত হওয়ার উদাহরণ যথেষ্ট আছে। বিপিএল গবর্নিং কাউন্সিল সচিবের যুক্তি, ‘বিপিএল পুরোপুরি বাণিজ্যিক উদ্যোগ। দর্শক-সমর্থক টানতে যে পরিমাণ উপাদান থাকতে হয়...আনকোরা অনুর্ধ-১৯ দলের একজন ক্রিকেটারকে খেলিয়ে তো লাভ নেই। এত বড় টুর্নামেন্টের চাপ সে নিতে পারবে না। অনেক ছেলে এভাবে খেলে ভাল করতে পারেনি। পরে তাদের ঘরোয়া অন্য টুর্নামেন্টগুলোয় সুযোগও হয়নি। আবার এটাও ঠিক, মিরাজ-আফিফ-রনির (আবু হায়দার) মতো প্রতিভা এই টুর্নামেন্টেই পেয়েছি।’ পাঁচজন বিদেশী খেলোয়াড়কে একাদশে রাখার ইতিবাচক-নেতিবাচক দুটি দিকই আসলে আছে। তবে এখনও এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সামনে ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত হবে। এটাও ঠিক। কম বয়সী ক্রিকেটাররা বিপিএলে খেলে যেমন আলোচনায় আসে, তেমনি বিপিএলে খেলে এমন অবস্থায় পড়ে, ভবিষ্যতে ঘরোয়া লীগেও দলগুলোতে সুযোগ হয় না খেলার।
×