নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ২০ মে ॥ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দারিদ্র্য সীমার মধ্য থেকে মানুষকে বের করে আনার জন্য সরকার কাজ করছে। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমের মধ্য থেকে বিভিন্ন ধরনের আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমাদের সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। জনগণের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। দ্রব্যমূল্য নাগালের মধ্যে রাখতে পারাটাও আমাদের সরকারের একটি অর্জন। কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যেন কোন বিঘœ না ঘটে, এজন্য সরকার বছরের শুরুতেই তাদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়েছে। শনিবার দুপুর ২টায় পীরগঞ্জের উপজেলা পরিষদ চত্বরে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কমল কুমার ঘোষের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পীরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক তাজিমুল ইসলাম শামীম প্রমুখ। এর আগে তিনি উপজেলা সদরে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, অত্যাধুনিক উপজেলা প্রশাসন ভবন, দুটি ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্মিত পরিষদ ভবন, দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নবনির্মিত একাডেমিক ভবন, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পীরগঞ্জ উপজেলায় ২২ টি ব্রিজের উদ্বোধন করেন।
সিলেটে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মধ্যে চেক বিতরণ
ভারতীয় স্কলারশিপ
স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস ॥ মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিমের আওতায় মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের মধ্যে চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ স্মাইকা বলেছেনÑ বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত সরকার কাজ করছে।
দেশকে স্বাধীন করতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা ১৯৭১ সালে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে স্বাধীন সার্বভৌম দেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জীবন বাজি রাখা সেই সকল মুক্তিযোদ্ধার জন্য ভারত সরকারের মুক্তিযোদ্ধা স্কলারশিপ স্কিম একাত্মতা প্রদর্শনের প্রতীকী প্রকাশ। এই স্কিমের আওতায় ইতোমধ্যে ১০ হাজারেরও বেশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। যার অংশ হিসেবে সিলেটে ৪১ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। শনিবার সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট বিজয় বিশ্বাসের সঞ্চালনায় আয়োজিত বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি বলেন শীঘ্রই সিলেটে ভারতীয় হাইকমিশনের অফিস খোলা হবে।
তিনি বলেন, ভারতের বর্তমান সরকার ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য পাঁচ বছরের মাল্টিপল ভিসা চালু করেছে, প্রতিবছর বাংলাদেশের ১০০ মুক্তিযোদ্ধাকে ভারতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হবে। এছাড়াও প্রতিবছর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. আমিনুল হক ভূঁইয়া বলেন, এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশকে আরও এগিয়ে নিতে স্কলারশিপ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা কাজ করবে। চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক, সিলেট জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল।