ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১০ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

শহীদ পরিবারের আর্তি ও সংগ্রাম এখনও শেষ হয়ে যায়নি

শহীদ পরিবারের আর্তি ও সংগ্রাম এখনও শেষ হয়ে যায়নি

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ২০ মে ২০১৭

শহীদ পরিবারের আর্তি ও সংগ্রাম এখনও শেষ  হয়ে যায়নি

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ ‘শহীদ পরিবারের আর্তি এবং সংগ্রাম এখনও শেষ হয়ে যায়নি’- জানিয়েছেন শহীদ পরিবারের সন্তানরা। ‘গণহত্যা, নির্যাতন ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণা কেন্দ্র’ আয়োজিত ‘১৯৭১ সালের শহীদ সন্তানদের আর্তি ও সংগ্রাম’ শীর্ষক সেমিনারে শহীদ সন্তান ও অন্য আলোচকরা এ বক্তব্য তুলে ধরেন। শুক্রবার বিকেলে বিএমএ ভবন খুলনার সভাকক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনায় প্রতিষ্ঠিত ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সভাপতি বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের অধীনে আর্কাইভ ও জাদুঘরের প্রতিষ্ঠান হিসেবে সম্প্রতি এই গবেষণা কেন্দ্রটি স্থাপিত হয়েছে। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য পঞ্চানন বিশ্বাস এবং আলোচনায় অংশ নেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর পুত্র আসিফ মুনীর, শহীদ বুদ্ধিজীবী ডাঃ আলীম চৌধুরীর কন্যা ডাঃ নুজহাত চৌধুরী, শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনের পুত্র তৌহিদ রেজা নূর, শহীদ সাংবাদিক সেলিনা পারভীনের পুত্র মোঃ সুমন জাহিদ, ড. মাহবুবর রহমান এবং ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর ট্রাস্টের সম্পাদক ডাঃ শেখ বাহারুল আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক। সভাপতির বক্তব্যে ড. মুনতাসীর মামুন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের যে মর্যাদা প্রাপ্য তা দিতে আমরা কার্পণ্য করেছি। শহীদ পরিবারের আর্তি আমরা উপেক্ষা করেছি, তাদের সংগ্রামেও যথাযথভাবে সহায়তা করতে পারিনি। শহীদ পরিবারের অনেকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন, অধিকাংশই বঞ্চিত হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সময়ই তারা যথাযথ মর্যাদা পেয়েছেন। তিনি ঘাতকদের বিচার করেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রাষ্ট্রীয় সম্মান দিয়েছেন। তাদের ভাতা বৃদ্ধি করেছেন। ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এখনও অনেক কাজ বাকি, বিশেষ করে ঘাতকদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা দিয়ে শহীদ পরিবারের জন্য তহবিল গঠনের দাবি, জামায়াত নিষিদ্ধকরণের দাবি এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। শহীদ সন্তানদের এই দাবি আদায়ের সংগ্রামে একজোট হতে হবে, তাহলে তারা তাদের পূর্ব পুরুষদের মর্যাদা দিতে পারবেন এবং আমরাও আমাদের সংগ্রামের মশাল তাদের হাতে তুলে দিতে পারব।
×