ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

অন্যসব স্বাস্থ্য ভাবনা

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ১৬ মে ২০১৭

অন্যসব স্বাস্থ্য ভাবনা

শক্ত মাসল, শক্ত ব্রেন সপ্তাহে দু’বা তিন দিন ভারোত্তলন শুধু আপনার মাংসপেশীকে শক্ত করে না, আপনার ব্রেনের গ্রে সেলকেও শক্ত করে। বিজ্ঞানীরা বছরব্যাপী মহিলাদের ওপর গবেষণা করে তো সেই ফলই পাচ্ছে। ফলটি প্রকাশ করেছে আর্কাইভ অব ইন্টারনাল মেডিসিন। ৬৫ থেকে ৭৫ বছর বয়স্ক মহিলাদের ৩ ভাগে ভাগ করা হয়। এক ভাগে সপ্তাহে একবার ভারোত্তলন প্র্যাকটিস করানো হলো। দ্বিতীয় গ্রুপে সপ্তাহে ২ দিন ভারোত্তলন করা হলো। এবং তৃতীয় গ্রুপে ব্যালান্স ও টোনিং ব্যায়াম করানো হলো। দেখা গেল, যারা সপ্তাহে ১ বার ভারোত্তলন করছে তারা দ্বন্দ্ব উত্তরণে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে এবং মনোনিবেশের ক্ষেত্রে অভিনব উন্নতি করেছে। সুতরাং মাংসপেশীর সাথে ব্রেনেরও শক্তি বাড়ান। যে খাদ্য ফ্যাট কমিয়ে দেয় ি মাছ : ওমেগা-৩ থাকে প্রচুর ি সিম : সকল প্রকার সিমে ফ্যাট কম আঁশ বেশি, প্রোটিন বেশি এবং গ্লুকোজে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ি বাদাম : বাদামও আপনার চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে ি ডিম ও চর্বি পোড়ানোর মোক্ষম খাদ্য ি ব্রকোলিতে খুব বেশি ভিটামিন সি থাকে। চর্বি পোড়ানোর খুবই ভাল খাদ্য ব্রোকোলি। ভাল ঘুমের জন্য ১০টি টিপস সম্প্রতি ক্লান্ত বোধ করছেন, ঘুমের ব্যাঘাত হচ্ছে, কাজ, সংসার আর সন্তানদের ঝামেলা; সব মিলিয়ে ঘুমকে কঠিন করে তুলছে। আবার অর্থনৈতিক কষ্ট, কাজ বন্ধ, বন্ধুত্বের ফাটল অথবা কোন কঠিন অসুখ ঘুমের নরম পেলবকে একেবারেই অসম্ভব করে তোলে। হয়ত আপনি এই ফ্যাক্টরগুলো একেবারে হাতের মুঠোয় আনতে সক্ষম হবেন না। কিন্তু ঘুমের একটা পরিবেশ সৃষ্টি করুন এবং কিছু অভ্যাস গড়ে তুলুন যা কি-না আপনাকে একটা শান্ত-বিশ্রামময় ঘুম আনতে সহায়তা করবে। ভাল ঘুমের জন্য নিচে কিছু উপায় প্রদান করা হলোÑ ০ প্রতিদিন একই সময় ঘুমাতে যান এবং একই সময় ঘুম থেকে উঠুন। ছুটির দিনগুলোতে ঘুমের একই রুটিন বজায় রাখুন। ০ তরল খাদ্য সন্ধ্যার পর থেকে কমিয়ে দিন। ঘুমের অন্তত ২ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে ফেলুন। তরল খাদ্যের আধিক্যে সারারাত আপনার ঘুম ভাঙবে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে। ০ নিকোটিন, কফি ও এ্যাকোহল সন্ধ্যা বেলাতে পরিহার করুন : এসব উত্তেজক আপনাকে জাগত রাখে। ধূমপায়ীদের প্রায়শ রাতে সিগারেট না খাওয়ার জন্য পার্শ্বপ্রক্রিয়ার জন্য ঘুমের ব্যাঘাত হয়। ০ কফি খেলেও ঘুমের ৮ ঘণ্টা আগে খেতে হবে। কারণ, কফি শরীর জমা করে রাখতে পারে না। খাওয়ার অনেকক্ষণ পর পর্যন্ত শরীর থেকে কফি নিঃসরণ হয় এবং এর প্রভাব থাকে। প্রচলিতভাবে মনে হলেও এ্যালকোহল কিন্তু ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়। ০ প্রতিদিন অল্পবিস্তর ব্যায়াম করুন : প্রতিদিনের হাল্কা অ্যারোবিক ব্যায়াম আপনাকে একটা অচ্ছেদ্য ঘুম উপহার দিতে পারে। সাধারণত রাতেই ঘুমান : দুপুরে ঘুম কিন্তু আপনার রাতের শান্ত বিশ্রামকে কেড়ে নিতে পারে। দুপুরের ভাতঘুম নিতে হয় তবে সেটি আধা ঘণ্টার বেশি নয়। ০ আপনি এক আরামদায়ক ম্যাট্রেস ও নরম বালিশ বেছে নিন। যদি কেউ আপনার সাথে শোয় তবে দেখতে হবে দু’জনার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা আছে কি-না। *বাচ্চা বা পোষা প্রাণির জন্য একই বিছানায় ঘুম কখনওবা আপনার ঘুমের ব্যাঘাতের মূল কারণ হয়ে থাকে। ০ শুরু করুন একটা শিথিল ঘুমের রুটিন সময়। একই কথা প্রতি রাতে আপনার মনকে শোনানÑ এখন সব বন্ধ করে আমি ঘুমাব, এটার পূর্বপ্রস্তুতি হতে পারে একটা সুন্দর গোছল বা একটা বইপড়া বা কোন হাল্কা গান শোনা। আলোটাও হতে হবে বন্ধ কিংবা স্নিগ্ধ। ০ যখন আপনি ক্লান্ত এবং ঘুমে ভেঙে পড়ছেন তখনই আপনি আলো বন্ধ করুন এবং ঘুমাতে যান। যদি ১৫/২০ মিনিটের মধ্যে ঘুম না আসে তাহলে আবার কাজ করতে উঠে পড়ুন এবং ক্লান্ত হলে ঘুমাতে যান । ঘুম নিয়ে অযথা কোন দুশ্চিন্তা ঠিক না। ঘুমের দুশ্চিন্তা আপনাকে ঘুমাতে দেবে না। ০ ঘুমের ওষুধ শুধু শেষ অবলম্বন হিসেবে রাখুন। ডাক্তারের পরামর্শে শুধু ঘুমের ওষুধ খেতে পারেন। আস্তে আস্তে সেটাও কমিয়ে দিন। সারাদিন ঘুম ঘুম ভাব থাকলে ডাক্তারের শরণাপন্ন হোন। ডাঃ এটিএম রফিক (উজ্জ্বল) শিশু বিভাগ, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতাল
×