ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

... মাওলানা আজাদ;###;অনুবাদ : সহুল আহমদ

‘পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বেই যিনি দেখেছিলেন পাকিস্তানের ভবিষ্যত!’

প্রকাশিত: ০৫:২২, ১৫ মে ২০১৭

‘পাকিস্তান সৃষ্টির পূর্বেই যিনি দেখেছিলেন পাকিস্তানের ভবিষ্যত!’

অনুবাদকের কথা : কংগ্রেসের সভাপতি এবং স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী মাওলানা আবুল কালাম আজাদের জন্ম ১৮৮৮ সালের ১১ নবেম্বর। কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ সভাপতি হিসেবে তিনি ১৯২৩ সালে নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ১৯৪০ সালে আবারও কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। মাওলানা আজাদ শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দেশভাগের বিরোধিতা করে গিয়েছেন এবং বিভিন্ন বক্তৃতা বিবৃতিতে দ্বিজাতিতত্ত্বের তীব্র সমালোচনাও করেছেন, বলেছেন, এর ভিত্তিতে দেশভাগ হলে ভারতীয় মুসলমানরা আরও সমস্যায় পড়বে। ১৯৪৬ সালের এপ্রিল মাসে উর্দু সাময়িকপত্র চাতানকে তিনি একটা সাক্ষাতকার দেন; সাক্ষাতকার গ্রহণ করেছিলেন পত্রিকাটির সম্পাদক শরিস কাশ্মীরী। পরবর্তীতে এর ইংরেজী অনুবাদ ‘কভার্ট’-এ প্রকাশিত হয়েছিল। সাক্ষাতকারে মাওলানা আজাদ দ্বিজাতিতত্ত্ব, দেশভাগ, পাকিস্তান সৃষ্টি এবং বর্তমান মুসলমান সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তিনি এখানে যেমন কথা বলেছেন মুসলমান সংখ্যালঘু প্রদেশের মুসলমানদের ভবিষ্যত নিয়ে, তেমনি কথা বলেছেন পাকিস্তান সম্পর্কে বাঙালীদের দৃষ্টিভঙ্গি কেমন হবে সেটা নিয়েও। পাকিস্তানে কিছু দিনের মধ্যেই স্বৈরশাসন আসবে এবং বাঙালীরা এক সময় বিদ্রোহ করবেÑ এমন ভবিষ্যদ্বাণীও করেছিলেন মাওলানা। পরবর্তী ইতিহাস প্রমাণ করেছে, তার ভবিষ্যত দৃষ্টি ছিল যেমন স্বচ্ছ, তেমনি অভ্রান্ত। প্রশ্ন : হিন্দু-মুসলমান দ্বন্দ্ব এতই তীব্র আকার ধারণ করেছে যে এটা সমস্যা সমাধানের সকল রাস্তাই বন্ধ করে দিয়েছে। আপনার কি মনে হয় না এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সৃষ্টি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে? উত্তর : যদি পাকিস্তান হিন্দু-মুসলমান সমস্যার সমাধান হতো, তাহলে আমি অবশ্যই তা সমর্থন করতাম। এখন তো হিন্দুদের একটা অংশের মতও পাকিস্তানের পক্ষে চলে যাচ্ছে। উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু, বেলুচিস্তান ও এক পার্শ্বে পাঞ্জাবের অর্ধেক এবং অন্য পাশে বাংলার অর্ধেক ছেড়ে দিয়ে, হিন্দুদের মতে, ভারতের বাকি অংশগুলো তারাই পাচ্ছে একটা বিশালকায় দেশ যা কিনা সকল সাম্প্রদায়িক দাবি-দাওয়া থেকে মুক্ত থাকবে। যদি আমরা মুসলিম লীগের পরিভাষায় বলি, এই নতুন ভারত কার্যত এবং প্রকৃতিগতভাবে একটা হিন্দু রাষ্ট্রই হবে। কোন সচেতন সিদ্ধান্তের কারণে এটা ঘটবে না, বরং এটা হবে তার সামাজিক বাস্তবতার যৌক্তিক পরিণাম। আপনি কিভাবে আশা করেন, যে সমাজে ৯০% হিন্দু, যারা প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই নিজেদের তত্ত্ব ও নীতির সঙ্গে এখানে বসবাস করে আসছে, তারা ভিন্নভাবে বেড়ে উঠবে? যে উপাদানগুলো ভারতীয় সমাজে ইসলাম ধর্মের ভিত্তি স্থাপন করেছিল এবং বিশাল অনুসারী সৃষ্টি করেছিল তা বর্তমানে এই দেশভাগের রাজনীতির শিকার। সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ধ্বংস করে দিচ্ছে এখানে ইসলামের প্রচার ও প্রসারের সকল সম্ভাবনা। এই সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ধর্মের সীমাহীন ক্ষতি করছে। মুসলমানরা কোরান থেকে সরে গিয়েছে। তারা যদি কোরান এবং নবীর জীবন থেকে শিক্ষা নিত এবং ধর্মের নামে সাম্প্রদায়িক রাজনীতিতে না জড়াত তাহলে ইসলামের গতি রুদ্ধ করা যেত না। মুঘল শাসনামলের শেষের দিকে ভারতে মুসলমানের সংখ্যা ছিল ২২.৫ মিলিয়ন, যা বর্তমান সংখ্যায় প্রায় ৬৫%। এরপর থেকে সংখ্যাটা বাড়ছেই। যদি মুসলমান রাজনীতিবিদরা আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার করে সাম্প্রদায়িক সম্পর্ককে তিক্ত করে না তুলতেন এবং অন্য অংশ ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে হিন্দু-মুসলমান বিরোধকে আরও ব্যাপক করে না দিতেন, তা হলে ভারতে মুসলমানদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেত। ধর্মের নামে আমরা যে রাজনৈতিক বৈরিতা তৈরি করেছি সেটা ইসলামকে রাজনীতিতে ক্ষমতার অস্ত্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে; অথচ এটা (ইসলাম) হচ্ছে মানব আত্মা পরিবর্তনের পদ্ধতি। ব্রিটিশের প্রভাবে আমরা ইসলামকে এক অবরুদ্ধ সিস্টেমে পরিণত করেছিলাম এবং অন্যান্য সম্প্রদায় যেমন, ইহুদী, পার্সি ও হিন্দুদের মতো নিজেদের পুরুষানুক্রমিক সম্প্রদায় হিসেবে চিহ্নিত করতাম। ভারতের মুসলমানরা ইসলাম ও তার বার্তাকে বদ্ধ করে রেখে নিজেদের অনেক শাখাতে বিভক্ত করে ফেলে। স্পষ্টতই উপনিবেশ শক্তি কিছু কিছু শাখার সৃষ্টি করেছে। ফলস্বরূপ, এই শাখাগুলোর গতিশীলতা ও সক্রিয়তা ব্যাহত হয় এবং তারা ইসলামিক মূল্যবোধে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। মুসলমান অস্তিত্বের মূলমন্ত্র যেখানে ক্রমাগত সংগ্রাম করে যাওয়া, সেখানে এ বিষয়টাই তাদের কাছে এখন অপরিচিত। তারা অবশ্য মুসলমান, কিন্তু তারা নিজেদের ‘খেয়াল খুশি’কেই অনুসরণ করে। কার্যত তারা রাজনৈতিক শক্তির কাছে মাথা নত করেছে, ইসলামিক মূল্যবোধের কাছে নয়। তারা রাজনীতির ধর্মকে পছন্দ করে, কোরানের ধর্মকে পছন্দ করে না। ‘পাকিস্তান’ হচ্ছে এক রাজনৈতিক মত। আসলে এটা ভারতীয় মুসলমানদের সমস্যা সমাধানের সঠিক উপায় কি না সেটা বিবেচনা না করে এটাকে ইসলামের নামে দাবি করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কখন এবং কোথায় জনসংখ্যা নিষ্পত্তির জন্য ইসলাম বিশ্বাস ও অবিশ্বাসের ভিত্তিতে অঞ্চল বিভাজনের অনুমতি দেয়। এটা কি কোরান কিংবা নবীর ঐতিহ্যের কোন অংশে আছে? ইসলামের কোন পণ্ডিত কি স্রষ্টার এই আধিপত্যকে উপরোক্ত ভিত্তিতে ভাগ করেছেন? আমরা যদি এই ‘বিভাজন’কেই নীতি হিসেবে মেনে নেই, তাহলে ইসলাম সর্বজনীন এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা করব কিভাবে? ভারতসহ বিভিন্ন অমুসলমান দেশসমূহে মুসলমানদের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি কিভাবে ব্যাখ্যা করব? তারা কি এটা বুঝে না যে, ইসলাম যদি এই নীতিকে (বিভাজনকে) অনুমতি দিত তাহলে তার অনুসারীদের কোন অমুসলিম দেশে প্রবেশের অনুমতিও সে দিত না এবং এতে অনেক পাকিস্তানী সমর্থকদের পূর্বপুরুষরা ইসলাম ধর্ম গ্রহণই করতে পারতেন না? ধর্মের ভিত্তিতে অঞ্চল বিভাজন হচ্ছে মুসলিম লীগের এক অদ্ভুত চিন্তা। তারা এটাকে রাজনৈতিক এজেন্ডা হিসেবে অনুসরণ করতে পারে কিন্তু ইসলাম ও কোরানে এর কোন বিধান নেই। একজন ধার্মিক মুসলমানের মূল লক্ষ্য কী? ইসলামের আদর্শ প্রচার করা নাকি রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ধর্মকে ব্যবহার করে অঞ্চল ভাগ করা? পাকিস্তান দাবি- কোনভাবেই মুসলমানদের উপকারে আসছে না। পাকিস্তান কিভাবে ইসলামের উপকার করবে সেটাও তর্কসাপেক্ষ প্রশ্ন এবং এটা মূলত নির্ভর করবে সেখানকার নেতৃত্বের ওপর। পাশ্চাত্য চিন্তা ও দর্শনের প্রভাব এই পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে। মুসলিম লীগের নেতৃত্ব যেভাবে চলছে তা পাকিস্তান ও ভারতের মুসলমানদের কাছে ইসলামকে দুষ্প্রাপ্য বস্তু বানিয়ে ছাড়বে। এটা অনুমান মাত্র এবং একমাত্র আল্লাহই জানেন কি আছে ভবিষ্যতে? পাকিস্তান, সৃষ্টির পরপরই, ধর্মীয় সংঘাতের মুখোমুখি হবে। আপাতদৃষ্টিতে যা দেখতে পাচ্ছি, যে সব লোকের হাতে ক্ষমতা থাকবে তারা ইসলামের বড় ক্ষতি করবে। তাদের ব্যবহারের কারণে পাকিস্তানী যুবকরা তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে এবং তারা যে কোন ধর্মনিরপেক্ষ আন্দোলনের (হড়হ-ৎবষরমরড়ঁং সড়াবসবহঃং) অংশ হয়ে যাবে। আজকাল মুসলমান সংখ্যালঘু রাষ্ট্রের মুসলমান যুবকরা সংখ্যাগুরু রাষ্ট্রের যুবকদের তুলনায় অধিকতর ধর্মভাবাপন্ন। আপনি দেখবেন, পাকিস্তানে ওলামাদের প্রভাব বৃদ্ধি সত্ত্বেও ধর্ম তার উজ্জ্বলতা সেখানে হারিয়ে ফেলবে। প্রশ্ন: কিন্তু কায়েদ-এ-আজম [জিন্নাহ] এর সঙ্গে তো অনেক ওলামাই আছেন? উত্তর: সম্রাট আকবরের সঙ্গেও তো অনেক ওলামা ছিলেন; তারা তো তার জন্য নতুন ধর্মই আবিষ্কার করেছিল। কারও ব্যক্তিগত সম্পর্কে আমরা আলোচনা না করি। আমাদের ইতিহাস তো এমন ওলামাদের কর্মকাণ্ডে ভরপুর যারা যুগে যুগে ইসলামের জন্য অপমান এবং লাঞ্ছনা এনেছে। সত্যের পতাকাবাহীরা ব্যতিক্রম। গত ১৩০০ বছরের মুসলিম ইতিহাসে কতজন উল্লেখযোগ্য ওলামার নাম পাওয়া যাচ্ছে? একজন ছিলেন ইমাম হাম্বল, অন্য জন ইবনে তাইমিয়া। ভারতে তো শাহ ওয়ালিউল্লাহ ও তার পরিবার ছাড়া আর কারও নাম মনে পড়ে না। আলফে সানির সৎসাহস সম্পর্কে কোন সন্দেহ নেই, কিন্তু যারা রাজদরবারে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল এবং তাকে কারারুদ্ধ করেছিল, তারাও তো ওলামাই ছিল। তারা কোথায় এখন? কেউ কি তাদের প্রতি কোন সম্মান প্রদর্শন করে? প্রশ্ন: মাওলানা, যদি পাকিস্তান সৃষ্টিই হয়ে যায় তাতে দোষের কী? পরিশেষে, ইসলামকে তো সম্প্রদায়ের ঐক্য রক্ষার কাজেই ব্যবহার করা হচ্ছে? উত্তর: আপনি এমন একটা কারণে ইসলামের নাম ব্যবহার করছেন যা ইসলামিক মূল্যবোধ অনুযায়ী ঠিক নয়। মুসলিম ইতিহাসে এমন অনেক নৃশংস কাজের উদাহরণ আছে। জামালের যুদ্ধে (ইমাম আলী ও নবীর বিধবা স্ত্রী হযরত আয়েশার যুদ্ধ) তলোয়ারের সম্মুখে কোরান ঝুলানো হয়েছিল। এটা কি ঠিক ছিল? কারবালায় যাদের হাতে মহানবীর পরিবারবর্গ শহীদ হয়েছিল, তারাও তো নিজেদের নবীর সাহাবি দাবি করে। এটা কি ঠিক ছিল? হাজ্জাজ একজন মুসলমান সেনাপতি ছিল এবং সে মক্কার পবিত্র মসজিদে নৃশংস হামলা চালিয়েছিল। এটা কি ঠিক ছিল? কোন পবিত্র শব্দই একটা অসৎ উদ্দেশ্যকে (ভ্রান্ত অভিপ্রায়কে) ন্যায্যতা ও পবিত্রতা দান করতে পারে না। পাকিস্তান যদি মুসলমানদের জন্য সঠিক হতো তাহলে আমি অবশ্যই সেটা সমর্থন করতাম। কিন্তু আমি পরিষ্কারভাবে এই দাবিতে অন্তর্নিহিত বিপদ দেখতে পাচ্ছি। আমি আশা করি না যে, মানুষ আমাকে অনুসরণ করবে, কিন্তু নিজের বিবেকের বিরুদ্ধে কাজ করাও আমার দ্বারা সম্ভব না। মানুষ সাধারণত বল প্রয়োগ কিংবা অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞানের কাছে আত্মসমর্পণ করে। মুসলমানরা এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কিছুই শুনবে না যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা এর অভিজ্ঞতা নেবে। আজকে তারা সাদাকে কালো বলতে পারে, কিন্তু পাকিস্তান প্রশ্নে কোন ছাড় দেবে না। এটা বন্ধ করার একমাত্র উপায় হচ্ছে, হয় সরকার এ প্রস্তাব গ্রহণ করবে না, অথবা জিন্নাহ নিজে যদি নতুন কোন প্রস্তাবে রাজি হন। ওয়ার্কিং কমিটির আমার সহকর্মীদের মনোভাব থেকে বুঝলাম, ভারত বিভাজন মোটামুটি নিশ্চিত। কিন্তু আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, দেশভাগের অশুভ পরিণতি শুধু ভারতকেই প্রভাবিত করবে না, পাকিস্তানও সমানভাবে এর শিকার হবে। ভাগটা হবে জনসংখ্যার ধর্মের ভিত্তিতে, কোন প্রাকৃতিক সীমারেখা যেমন- পাহাড়, মরুভূমি অথবা নদীÑ এর ভিত্তিতে নয়। একটা লাইন টানা হবে; সেটা কতটা টেকসই হবে বলা মুশকিল। আমাদের মনে রাখতে হবে, ঘৃণা হতে সৃষ্ট যে কোন কিছু ততদিনই টিকে থাকবে যতদিন ঘৃণা বেঁচে থাকবে। এই ঘৃণা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ককে গ্রাস করে ফেলবে। এই পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থায় বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না, যদি না আকস্মিক বিপত্তিমূলক কোন ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। দেশভাগের রাজনীতি নিজেই তাদের মধ্যে বাধাস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। ভূমি স্বল্পতার কারণে পাকিস্তান ভারতের সকল মুসলমানকে জায়গা দিতে পারবে না। অন্যদিকে হিন্দুদেরও সেখানে থাকা সম্ভব হবে না, বিশেষ করে পশ্চিম পাকিস্তানে। হয় তাদের বের করে দেয়া হবে, অথবা তারা নিজেরাই চলে আসবে। এর প্রতিক্রিয়া ভারতেও দেখা যাবে এবং ভারতীয় মুসলমানদের সামনে তিনটি পথ খোলা থাকবেÑ চলবে...
×