ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইউনুসকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গর্বিত মিসবাহ

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৪ মে ২০১৭

ইউনুসকে সঙ্গী হিসেবে পেয়ে গর্বিত মিসবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ডমিনিকায় চলমান টেস্টই মিসবাহ উল হক এবং ইউনুস খানের শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। একসঙ্গে সমাপ্তির পথে পাকিস্তান ক্রিকেটের দুই অধ্যায়। ২০১০ সালে স্পট ফিক্সিং কলঙ্কের পর জেরবার দেশকে এ পর্যায়ে তুলে আনতে ‘অধিনায়ক’ মিসবাহর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রানের মালিক ইউনুস। মিসবাহর নেতৃত্বে দলটি যে প্রথমবারের মতো র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠেছিল সেখানে ব্যাটিংয়ের পুরোধা হয়ে ছিলেন এই ইউনুসই। মাঠে, ড্রেসিং রুমে, ভেতরে-বাইরে সমান জনপ্রিয় তিনি। পাকিস্তানের হয়ে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ১০ হাজার রান সংগ্রহকারী সতীর্থ ইউনুসকে নিয়ে মিসবাহ বলেন, ‘আমি যখন পাকিস্তানের অধিনায়ক হইনি, তখনও আমার দু’জন একসঙ্গে অনেক ক্রিকেটে খেলেছি। সেটি ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। দেখেছি কিভাবে সে দলের সেরা ব্যাটসম্যান হয়ে উঠেছে। ব্যাটসম্যান ইউনুসের পাশাপাশি মানুষ ইউনুসকেও আমি গ্রেটদের কাতারে রাখব।’ মিসবাহ আরও যোগ করেন, ‘২০১০ সালে আমি যখন অধিনায়ক নির্বাচিত হই, পাকিস্তান তখন কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। সবাই আমাদের ক্রিকেট নিয়ে শঙ্কিত ছিল। ইউনুসের সঙ্গে পরামর্শ করেছি, কিভাবে ভাল পরিবেশ ফিরিয়ে আনা যায়। আমি জানি, ওই সময় নেতৃত্ব না পাওয়ায় তার মনে কষ্ট ছিল না। সেই চাইত কিভাবে ওই অবস্থা থেকে উত্তোরণ সম্ভব।’ ইউনুসে মুগ্ধ মিসবাহ আরও বলেন, ‘কেবল পাকিস্তান নয়, টেস্টে ইউনুস বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। গত কয়েক বছরে প্রতিটি ম্যাচে, প্রতিটি ইনিংসে কিভাবে খেলা উচিত, আমরা তার কাছ থেকে পরামর্শ নিয়েছি। মাঠের বাইরেও তার আচরণ, জীবনযাপন সবার জন্য শিক্ষণীয়। ওর সঙ্গে খেলতে পেরে আমি নিজেও গর্বিত।’ মিসবাহর পর যার হাতে পাকিস্তানের টেস্ট অধিনায়কের দায়িত্ব উঠতে যাচ্ছে সেই আজহার আলি বলেন, ‘প্রথম পাকিস্তানী হিসেবে টেস্টে ১০ হাজার রান করা ইউনুসকে নিয়ে মন্তব্য করার সাহস আমার নেই। সে গ্রেটদেরও গ্রেট। এই বয়সেও যা ফিটনেস, আমি শান মাসুদ-বাবর আযমদের মতো তরুণদের সামনে সেটিকে উদাহরণ হিসেবে দেখাই।’ অধিনায়ক হিসেবে ইউনুসকে কাছ থেকে দেখেছেন সাবেক তারকা ইনজামাম-উল হক। বর্তমানে যিনি পাকিস্তান দলের প্রধান নির্বাচক। সেই গ্রেটের মূল্যায়ন, ‘ইউনুস যখন দলে এলো আমি ওর মধ্যে কেবল প্রতিভাই দেখিনি বরং একজন কঠোর পরিশ্রমী ব্যাটসম্যানকেও দেখেছিলাম। ওর বড় গুণ দলের প্রয়োজনে ঠিকই বড় ইনিংস খেলে দেয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘ড্রেসিং রুমে ওর মতো একজনকে পাওয়া তরুণদের জন্য ছিল গর্বের।’ মিসবাহর বয়স প্রায় ৪৩, ইউনুসের ৩৯।
×