ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ

শিরোপায় চোখ গাজী গ্রুপের

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ১৪ মে ২০১৭

শিরোপায় চোখ গাজী গ্রুপের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ এবার ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে দারুণ খেলছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। আট ম্যাচের আটটিই জিতেছে। যেভাবে খেলছে তাতে লীগপর্বের এগারো ম্যাচেই না জিতে যায়। সেই প্রত্যাশা তো দলের আছেই। সঙ্গে এবার লীগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নই দেখছে দলটি। দলটির কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন এমন আশাই করছেন। বলেছেন, ‘হ্যাঁ, চ্যাম্পিয়ন রেসে আছি। যেহেতু আমরা প্রথম আটটা ম্যাচ ভালভাবেই জিতেছি। তাই সামনের ম্যাচগুলোতে প্রথম যে লীগটা আছে সেখানে তিনটি ম্যাচ জিততে পারলে আমাদের জন্য চ্যাম্পিয়নের দৌড়ে থাকা সুবিধা হবে এবং সুপার লীগে তিন চারটা ম্যাচ জিতলে চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।’ তবে এখনই সুখী হতে রাজি নন সালাউদ্দিন, ‘পুরো টুর্নামেন্টের মাত্র অর্ধেক শেষ হয়েছে। এখনই সুখী হওয়ার কারণ নেই। সামনের ম্যাচগুলো আরও কঠিন হবে কারণ প্রতিটি দলই দিন দিন উন্নতি করছে। তারাও তাদের সীমাবদ্ধতাগুলো কাটিয়ে উঠছে। মনে হচ্ছে সামনের ম্যাচগুলো আরও কঠিন হবে। তাই অন্যদের চাইতে আমরা নিজেদের নিয়েই চিন্তিত। অনেক গরম সেই সাথে খেলোয়াড়দের ফিটনেস ধরে রাখাও কঠিন। তাই সেটি নিয়েই চিন্তিত।’ এখন পর্যন্ত গাজী গ্রুপ অপরাজিত আছে। এমনটি হওয়ার রহস্য কী? সালাউদ্দিন জানালেন, ‘রহস্য বলে কিছু নেই। আমাদের দলে যে ধরনের ছেলেরা আছে তারা বেশিরভাগই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছে, কেউ জাতীয় দলে অনেকদিন ধরে খেলেছে এবং অনেকেরই জাতীয় দলে ঢোকার সুযোগ আছে। এ ধরনের ছেলেদের মোটিভেট করাটা সহজ। তারা যদি দেখে যে সামনে তাদের জাতীয় দলে ঢোকার সুযোগ আছে তাহলে নিজেরাই মোটিভেটেড হয়। আর এখনকার যুগে ছেলেদের মোটিভেট করতেও হয় না, তারা নিজেরাই মোটিভেটেড হয়। নিজেরাই বোঝে আমরা ভাল খেললে হয়তো সামনে ভবিষ্যতটা ভাল হবে। দলের বেশিরভাগেই ঢাকা লীগে পারফর্ম করা এবং তারা নিজেরাও ভাল খেলতে চায়, তাই আমাদের কাজটিও সহজ হয়ে গেছে।’ আগেও লীগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গাজী। এবারও কাছাকাছি। গাজীর জার্নিটা কতটা উপভোগ করছেন? সালাউদ্দিনকে প্রশ্ন করতেই জানালেন, ‘গাজীর ম্যানেজমেন্ট খুবই ভাল। তারা সবসময়ই আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করে। আর খেলোয়াড় ও কোচিংয়ের পরিবেশটা যেখানে আমি কোচিং করাই আমাদের পরিবেশটা একই রকম থাকে। তাই পরিবেশ নিয়ে সমস্যা হয় না। যেহেতু অধিকাংশই আমার ছাত্র ছিল তাই তাদের কোচিং করানোটা অনেক সহজ এবং সবাইকে আমি ভাল জানি ও বুঝি। তাই আমাদের সবার মধ্যেই ভাল বোঝাপড়া হয়ে গেছে। কিন্তু একটা জিনিস আপনাকে মনে রাখতে হবে লীগ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আমরা অনেক দূরে। মাত্র ৮টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। লীগের আরও ৮টি ম্যাচ বাকি। তাই আমরা ভাবছি পরবর্তী ম্যাচগুলো কিভাবে ভাল খেলব।’দলের সীমাবদ্ধতা কি কি আছে? সালাউদ্দিন বলেন, ‘লীগ শুরু হয়ে গেলে কাজ করাটা অনেক কঠিন। তাছাড়া এখানে প্রচ- গরম। উন্নতি করার জায়গাটা কম। কারণ খুব বেশি সময়ও পাওয়া যাচ্ছে না যে আমি তাদের দীর্ঘক্ষণ প্রশিক্ষণ দিয়ে উন্নতি করাব। তারপরও আমি মনে করি আমার দলের স্পিন ও ফিল্ডিংটা ভাল হলে আমাদের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে আরও ভাল করব। কারণ ফিল্ডিংয়ে ভাল করছি না। শুধু আমার নয়, প্রতিটি দলের জন্যই আবহাওয়া একটা বিশাল প্রতিপক্ষ। কারণ প্রচ- গরম। এই গরমের মধ্যে খেলোয়াড়দের ম্যানেজ করে ব্যাটিং ও বোলিং করা কঠিন। বাইরে থেকে আমরা যতই বলি এটা সত্যিই কঠিন।’
×