ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ পৃষ্ঠপোষকতা করার ভিশন ২০৩০ ॥ কাদের

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৪ মে ২০১৭

সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গীবাদ পৃষ্ঠপোষকতা করার ভিশন ২০৩০ ॥ কাদের

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ঘোষিত ‘ভিশন-২০৩০’ জঙ্গীবাদ ও সাম্প্রদায়িকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা করার ভিশন। এ দেশে জঙ্গীবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও উগ্রবাদীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে বিএনপি। এই ভিশন ঘোষণার মাধ্যমে এটাই তারা প্রমাণ করে দিয়েছে। শনিবার রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চের কাজী বশির উদ্দিন মিলনায়তনে চতুর্থ শ্রেণী সরকারী কর্মচারী সমিতির সম্মেলনের উদ্বোধনী ঘোষণা করে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম ব্যবহারের প্রস্তাবে বিএনপির বিরোধিতার সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি যে কোন ভাল প্রস্তাব রাখলেই মানতে রাজি না। সব কিছুতেই তারা (বিএনপি) বলে মানি না, মানব না। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে কি না সেটা দেখবে নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের মতামত জানতে চাইলে আমরা আমাদের মতামত দেব। তিনি বলেন, আমরা সরকারী দল মনে করি ইভিএম পদ্ধতিতে নারায়ণগঞ্জে সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনি। তাই এ পদ্ধতি নিঃসন্দেহে ভাল পদ্ধতি। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ভোটগ্রহণ নির্ভুল হবে। আমরা ইভিএম এ ভোটগ্রহণকে সমর্থন করি। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান প্রহসনের গণভোট দিয়েছিল। সেই ভোটে শতকরা ৯৯ ভাগ ভোট ‘হ্যাঁ’ তে পড়েছিল। ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন কোন গণতন্ত্রের ছিল। ৩০ মার্চ জনরোষে তারা ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয়েছিল। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। আর সেই নির্বাচন তো শেখ হাসিনার অধীনেই হবে। শেখ হাসিনা থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী। নির্বাচন হবে নির্বাচন কমিশনারের অধীনে। তখন সরকার নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতা করবে। ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সকল প্রশাসন থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। পুলিশ, প্রশাসন সবকিছু থাকবে নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার রুটিন ওয়ার্ক করবে মাত্র। তাই এটা মানতে অসুবিধা কোথায়? তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশগুলোতে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করে, সেভাবেই বর্তমান সরকার দায়িত্ব পালন করবে। আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সম্মেলন সেপ্টেম্বরে আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। শনিবার বিকেলে ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সংগঠনটির সম্মেলন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেন ওবায়দুল কাদের। সম্মেলন সফল করতে বৈঠক থেকে নারায়ণ চন্দ্র চন্দকে আহ্বায়ক এবং মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান, শেখ আজগার লস্কর, খন্দকার আজিজুল হক হীরা, রফিকুল ইসলাম খাঁ ও আবুল বাশারকে যুগ্ম-আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। মতবিনিময় সভায় ইতোপূর্বে গঠিত আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন ওবায়দুল কাদের। মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুকুল বোস, কেন্দ্রীয় দফতর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়–য়া উপস্থিত ছিলেন।
×