ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঘাটাইলে প্রতিবন্ধী পরিবার দারিদ্র্যে জর্জরিত

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ১০ মে ২০১৭

ঘাটাইলে প্রতিবন্ধী  পরিবার দারিদ্র্যে  জর্জরিত

নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল, ৯ মে ॥ ঘাটাইল পৌর শহরের পশ্চিমপাড়ার এক দরিদ্র পরিবারে পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনই প্রতিবন্ধী হলেও ভাতা পান মাত্র একজন। এতে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে প্রতিবন্ধী এ পরিবারটি। তাচ্ছিল্য আর দারিদ্র্যের নির্মম কশাঘাতে জর্জরিত হয়ে জীবন-জীবিকা চালাচ্ছে ওই পরিবার। জানা গেছে, ঘাটাইল পৌর শহরের দেড় কিলোমিটার উত্তরে পশ্চিমপাড়া গ্রামের দিনমজুর জাহাঙ্গীর ও স্ত্রী বিনা বেগম দম্পতির তিন সন্তান মিলে পাঁচ সদস্যের পরিবারের চার সদস্যই প্রতিবন্ধী। বিনা বেগমের বয়স যখন ১০ বছর তখন প্রতিবন্ধী জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়। ২০ বছর ধরে তিনি সংসার করছেন। বিয়ের ১০ বছর পর তাদের প্রথম কন্যাসন্তান হয়। তাদের সংসারে জন্ম নেয়া তিন সন্তানের সবাই প্রতিবন্ধী। বড় সন্তান জাহানারা (১৪), মেজ সন্তান বিজয় (১০) ও ছোট সন্তান তানিয়া (৭) জন্ম থেকেই কথা বলতে পারে না। তারা তিনজনই বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। তিন ভাইবোনের মধ্যে জাহানারা স্থানীয় ঘাটাইল এসই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী, ছোট ভাই বিজয় উপজেলার চাঁন্দশী প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র এবং ছোট বোন তানিয়া একই বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও থেমে নেই পরিবারের প্রধান জাহাঙ্গীর। তিনি দিনমজুরের কাজ করে যা পান তা দিয়ে কোন রকম চলে সংসার। পরিবারের একমাত্র স্বাভাবিক সদস্য সন্তানদের মা বিনা বেগম (৩০) বলেন, ছেলেমেয়েদের বাবা নিজে একজন বাকপ্রতিবন্ধী হওয়ায় স্বাভাবিক কাজকর্ম পেতে অনেক বিড়ম্বনা পোহাতে হয়। আমার তিন সন্তানের সবাই ওর বাবার মতো বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী। পুরো সংসারটাই চলে টেনেটুনে। মাঝেমধ্যে পরিবারের সদস্যদের একমুঠো ভাতও জোটে না। আমার স্বামী একটি প্রতিবন্ধী কার্ড পেয়েছে। বছরে মাত্র তিন হাজার টাকা পায়। কিন্তু এই তিন হাজার টাকা দিয়ে কি এক বছর চলে? তাই ঋণের টাকায় চলছে আমাদের সংসার।
×