ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফটিকছড়িতে সন্ত্রাসী গ্রুপের কবল থেকে উদ্ধার ৪৭ জন

প্রকাশিত: ০৪:১০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭

ফটিকছড়িতে সন্ত্রাসী গ্রুপের কবল থেকে উদ্ধার ৪৭ জন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস/নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি ॥ ফটিকছড়ির গহিন অরণ্যে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা যে ৭৮ জন চা বাগান শ্রমিককে জিম্মি করে রেখেছে তন্মধ্যে বিজিবির অভিযানে বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৪৭ জন উদ্ধার হয়েছে। এখনও ৩১ নারী পুরুষ ও শিশুকে জিম্মি করে রাখা হয়েছে। জানা গেছে, ত্রিপুরা উপজাতির এক যুবতী ও বাঙালী যুবকের প্রেম ও বিয়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফটিকছড়ির দাঁতমারা এলাকার নাছিয়া চা বাগানের ২১ পরিবারের ৭৮ নারী পুরুষ ও শিশুকে ডেকে নিয়ে জিম্মি করা হয় গত শুক্রবার। ঘটনাটি ফাঁস হয় বুধবার। এরপরই বিজিবির সিন্ধুকছড়ি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিজিবি উদ্ধার করেছে ১৬ জনকে। আর পালিয়ে এসেছে ৩১ জন। উদ্ধারপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছে শান্ত ত্রিপুরা, তার স্ত্রী লক্ষ্মীমালা ত্রিপুরা, কন্যা রীতা ত্রিপুরা, শিরোমতি ত্রিপুরা ও তার সন্তান জীবনা, অরুন, রুবেল, বিজয়, বিনোবালা ত্রিপুরা ও নূপুর, রদন ত্রিপুরা, মায়ালক্ষ্মী ত্রিপুরা, সত্য কুমার ত্রিপুরা, প্রতিবালা ত্রিপুরা, সুভ ত্রিপুরা, জ্যোতি ত্রিপুরা। এছাড়া সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে সুযোগ বুঝে বৃহস্পতিবার পালিয়ে এসেছে ৩১ জন। ফটিকছড়ির হেঁয়াকো বিজিবি ইউনিট সূত্রে জানা যায়, জিম্মি করে রাখা ৩১ জনকে উদ্ধারের জন্য জোরালো অভিযান চলছে। ত্রিপুরা যুবতী শব্দমালা ত্রিপুরা ও বাঙালী যুবক আরিফের মধ্যে প্রেম ও পরবর্তীতে পালিয়ে বিয়ে করার ঘটনা নিয়ে উক্ত চা বাগান শ্রমিক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করা হয়। এদের পৃথক পৃথক স্থানে রেখে সন্ত্রাসীরা শব্দমালা ত্রিপুরাকে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর না করা পর্যন্ত জিম্মিদের ছাড়া হবে না বলে জানান দেয়। ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বিজিবি অভিযানে নামে বুধবার থেকে। এদিকে শব্দমালা ত্রিপুরা ও আরিফ কোথায় রয়েছে তা কোন পক্ষই এখনও জানতে পারেনি। যে ৩১ জন এখনও জিম্মি অবস্থায় রয়েছে তাদের অবস্থান এখনও নির্দিষ্ট করা যায়নি। শিশু ছাত্রী ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ॥ চাঁদা দাবি স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা ॥ বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় লিটন সিকদার নামে এক লম্পট পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া দরিদ্র স্কুলছাত্রীকে (১০) এক নারী এনজিওকর্মীর বাসায় কৌশলে আটকে রেখে ধর্ষণ এবং ধর্ষণের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। বামনা থানা পুলিশ শিশুটিকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরগুনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির মা ধর্ষক ও নারী এনজিওকর্মীকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
×