ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

১০ আসনে ১৯ যাত্রী!;###;মোহাম্মদ শরীফ

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ গণপরিবহন

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৭ এপ্রিল ২০১৭

সমাজ ভাবনা ॥ বিষয় ॥ গণপরিবহন

সরকার প্রধান সড়কগুলোতে তিন চাকার সিএনজি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে, বিকল্প হিসেবে চার চাকার লেগুনাগুলো রাস্তায় নামে। সত্যি বলতে, তিন চাকার সিএনজিগুলোতে আরোহণে যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত। সরকার ভাল মনে করেছে তাই সিএনজিগুলো উঠিয়ে লেগুনা এনেছে। কিন্তু লেগুনা যাত্রীদের ভালমানের সেবা দিতে পারেনি। উদাহরণ হিসেবে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার কথা বলছি। ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট হতে শাসনগাছা বা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড যেতে হলে একমাত্র ভরসা লেগুনা বা যাত্রীবাহী পুরনো জরাজীর্ণ মাইক্রো। যাত্রীদের এই পথে যেতে হলে হতে হয় চরম ভোগান্তির শিকার। ১০ আসনের গাড়িগুলোতে বসতে হয় ১৯ জন। পুরুষ বা মহিলা সেখানে কোন নিয়মনীতি নেই। এতে পুরুষরা কষ্ট করে গেলেও, মহিলারা পড়েন চরম বিপদে। মহিলাদেরও যেতে হয় পুরুষদের সঙ্গে গাদাগাদি করে। এখানে কেউ কিছু বলার সাহস পান না, কেউ কিছু বললেই তাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। আর এখানে কোন অভিযোগ কেন্দ্র বা কর্তৃপক্ষে না থাকায় যাত্রীদের নীরবে ভোগ করতে হয় এই দুর্ভোগ। এছাড়া গাড়িগুলোর মান একেবারে নিম্নমানের। ফলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের কোন দুর্ঘটনা। এ ধরনের দুর্ভোগ কেবল ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় নয়। কুমিল্লার আশপাশে দেবিদ্বার, মুরাদনগর সহ প্রায় প্রতিটি উপজেলায় লক্ষ্য করা যায়। লেগুনা চালকদের আচরণ দেখলে মনে হয় তাদের কোনো নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা নেই। যেন তারাই সর্বেসর্বা। এই ব্যাপারটি অনেকদিন যাবত চলে আসছে। এখানে সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ কাম্য। আশা করি সেরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ভিক্টোরিয়া সরকারী কলেজ, কুমিল্ল থেকে
×