ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

নাট্যশালায় মঞ্চস্থ সুবচনের নাটক ‘প্রণয় যমুনা’

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ এপ্রিল ২০১৭

নাট্যশালায় মঞ্চস্থ সুবচনের নাটক ‘প্রণয় যমুনা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাট্যদল সুবচন নাট্য সংসদের ৩৭তম প্রযোজনা ‘প্রণয় যমুনা’। নাটকটি রচনা করেছেন আসাদুল ইসলাম। নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। নাটকটিতে উঠে এসেছে রাধা-কৃষ্ণের প্রেমাখ্যান। সেই আখ্যানজুড়ে আছে অভিসার বিরহ-মিলন, বৃন্দাবন আর আছে যমুনা নদী। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়মনে মঞ্চস্থ হলো প্রযোজনাটি। যমুনার তীরে বাঁশি বাজিয়ে, যমুনার জলে সাঁতার কেটে, যমুনার তরঙ্গে নৌকা ভাসিয়ে বড় হয়েছে কৃষ্ণ। এই যমুনার পাড়েই একদিন কৃষ্ণ দেখা পায় অপরূপ রাধার। তারপর রাধার সঙ্গে কৃষ্ণের প্রেম হয়, হয় অভিসার, হয় হৃদয়ের লেনদেন। একদিন সান্দীপণী ঋষি এসে কৃষ্ণের বিস্মৃতি ভাঙ্গায়। রাজা কংসের কারাগারে কৃষ্ণের বাবা-মা বন্দী, তাদের উদ্ধার ও ধরনীকে পাপমুক্ত করে ভালবাসা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানায় কৃষ্ণকে। ঋষির এই আহ্বান ফেরাতে পারে না কৃষ্ণ। জীবনের এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে প্রেমিক কৃষ্ণকে প্রেমের মায়া দূরে সরিয়ে পাড়ি দিতে হয় অজানার পথে। তাই বলে ভালবাসা মরে না। ভালবাসার দীপ হাতে রাধা যমুনার তীরে এসে দাঁড়ায়। কৃষ্ণের ফিরে আসার অপেক্ষায় রাধা দিন গোনে। রাধার চোখের জলে ভেসে যায় প্রণয় যমুনা। নাটকটির কৃষ্ণ চরিত্রে ফজলুল হক রাসেল ও রাধা চরিত্রে রূপ দিয়েছেন সোনিয়া হাসান। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেনÑ আহাম্মেদ গিয়াস, মোহাম্মদ আনসার আলী, মেহেদী হাসান সোহাগ, হোসেন ইমরান, তানভীর দিপু, ইমতিয়াজ শাওন, শাহ সালাউদ্দিন, আলামিন, মারুফ, সবুজ, আরিফ, মহউদ্দিন, জাকারিয়া, নাজু, লিঠু, সোমা, ফারজানা, অনন্যা, সোহান, মনোহর চন্দ্র দাস, যোয়া আযিম, আর্য মেঘদূত প্রমুখ। নাটকটির সহযোগী নির্দেশক আহাম্মেদ গিয়াস, সঙ্গীত পরিকল্পনায় আমিরুল ইসলাম বাবুল, আলোক পরিকল্পনায় গর্গ আমিন, নৃত্য ও দেহ বিন্যাসে অমিত চৌধুরী এবং পোশাক পরিকল্পনায় কাজ করেছেন সোনিয়া হাসান। লাখো কণ্ঠে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি এবার লাখো কণ্ঠে আবৃত্তির আয়োজন করতে যাচ্ছে নজরুল চর্চা কেন্দ্র বাঁশরী। সহযোগিতায় থাকছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর (বিএনসিসি)। ১ মে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বিকেল ৪টায় লাখো কণ্ঠে ‘বিদ্রোহী’ কবিতা পাঠের আয়োজনটি শুরু হবে জানিয়েছে আয়োজকরা। কোন কারণে সেখানে অনুষ্ঠানটি করা না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠকে বিকল্প হিসেবে রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। বিদ্রোহী কবির মানবতাবোধ, বিভেদহীন সমাজ গঠনের চেতনাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এই আয়োজনটি করা হচ্ছে বলে জানান বাঁশরীর সভাপতি মোঃ খালেকুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘নজরুলের এ কবিতাটি সারা দেশের বিশ্ব সাহিত্যের একটি মাইলফলক। এ কবিতা বৈষম্যহীন মানবিক পৃথিবী গড়তে ব্যক্তি সমষ্টি গোষ্ঠী জাতি তথা বিশ্বমানবকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার দীক্ষা দেয়।’ এক লাখো মানুষের অংশগ্রহণ কিভাবে নিশ্চিত করবেন এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লিফলেট বিতরণ শুরু হয়েছে। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচারের পর গণমানুষের অংশগ্রহণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছি আমরা।’ তিনি জানান, আগামী বছর তারা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি অনূদিত করে দেশের বিভিন্ন জেলায় লাখো কণ্ঠে আবৃত্তির আয়োজনটি করবেন। পরে তারা দেশের সবগুলো জেলা, উপজেলায় এই আয়োজনটি করতে চান। কবিতাটি ইংরেজী অনুবাদের পর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এই আয়োজনটি করবেন বলেও জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেনÑ নজরুল ইনস্টিটিউটের সাবেক নির্বাহী পরিচালক ইকরাম আহমেদ, বিএনসিসির পরিচালক মোহাম্মদ নান্নু মোল্লা।
×