স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় বাছাই করতে দেশের সব ফেডারেশনকে অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। সে হিসেবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে প্রায় ১০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করে তারা। তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও অর্থ বুঝে পায়নি বাংলাদেশ ভারোত্তোলন ফেডারেশন। এনএসসি কর্তাদের দাবিÑ তারা চাইলেও আন্তরিকতার অভাবে ও সঠিক সময়ে না চাওয়ায় টাকা পায়নি ভারোত্তোলন ফেডারেশন। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ফেডারেশন কর্তাদের অভিযোগÑ এনএসসির টাকা না দেয়ার বিষয়টি তাদের কাছে ধোঁয়াশাপূর্ণ।
তৃণমূল পর্যায় থেকে খেলোয়াড় তুলে আনতে ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্পের আওতায় দেশের সব ফেডারেশনকে অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দেয় এনএসসি। এর মধ্যে ভারোত্তোলন ফেডারেশনের জন্য বাজেট দেয়া হয় ৩০ লাখ টাকা। তবে এক দফায় ৬ লাখ ৫ হাজার ৭৫০ টাকা পায় ফেডারেশন। বাকি টাকা এখনও বুঝে পায়নি তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনএসসি কর্তারা দায় চাপান ফেডারেশনের ওপর। তবে এমন অভিযোগ মানতে রাজি নয় ভারোত্তোলন ফেডারেশন। তাদের ভাষ্যমতেÑ প্রথম দফায় টাকা পাওয়ার পর সেটি ব্যয়ের হিসেব দিয়ে নিয়ম মেনে পুরো টাকা চাওয়ার পরও সেটি বুঝে পাননি তারা। এনএসসির সার্বিক কার্যপরিচালনা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে এই ফেডারেশন। সন্দিহান তাদের স্বচ্ছতা নিয়েও। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
জুনে জাতীয় স্কুল ফুটবল
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশীয় ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) গত নয় বছরে তৃণমূল ফুটবলে গুরুত্ব না দেয়ায় বা অবহেলা করায় দেশের ফুটবলের যে বারোটা বেজে গেছে, তা আজ দিবালোকের মতো পরিষ্কার। এ যেন ‘দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম না বুঝা’র মতোই। তবে অনেক দেরিতে হলেও কুম্ভকর্ণের ঘুম ভেঙ্গেছে বাফুফের। তারা তৎপর হয়েছে তৃণমূল ফুটবলে জোর দিতে। তারই একটা অংশ হচ্ছে স্কুল ফুটবল। বাফুফে কিছুদিন আগে যে বর্ষপঞ্জি ঘোষণা করেছিল, তাতে স্কুল ফুটবল ছিল ফেব্রুয়ারিতে। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে ঘোষিত ওই ক্যালেন্ডার বছরের শুরুতেই ধাক্কা খায়। ফুটবলার তৈরি সূতিকাগার এ টুর্নামেন্ট কবে শুরু হবে তা এখনও ঠিক নেই। তবে ফিফার ফরোয়ার্ড প্রোগ্রামের অর্থ পাওয়ার নিশ্চিয়তার পর স্কুল ফুটবল নিয়ে নড়ে-চড়ে বসে বাফুফে।