ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে কৃষি জমির উর্বর মাটি ইটভাঁটিতে

প্রকাশিত: ০৩:৫৩, ১৩ এপ্রিল ২০১৭

লালমনিরহাটে কৃষি জমির উর্বর মাটি ইটভাঁটিতে

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট, ১২ এপ্রিল ॥ ইটভাঁটিগুলোতে কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ব্যবহার হচ্ছে। এতে করে প্রতিবছর শত শত একর কৃষি জমি উর্বর ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। দিন দিন কৃষি জমি কমে আসছে। ইটভাঁটিতে পোড়ামাটির ইট তৈরি করতে ব্যবহার হচ্ছে টপসয়েল। টপসয়েল কৃষি জমির ওপরের দেড় ফিট মাটিকে বলা হয়। নানা জৈবসার, লতাপাতা পচে টপসয়েল তৈরি হয়। জমির উর্বর অংশ তৈরি হতে শত শত বছর লাগে। টপসয়েল তুলে নিলে সেই কৃষি জমিতে ৫০ বছরে কোন ফসল ফলে না। জানা গেছে, জেলায় ২৯টি ইটভাঁটি রয়েছে। এসব ইটভাঁটিতে প্রতিবছর ইট তৈরির কাঁচামাল হিসেবে কয়েক শত একর কৃষি জমির উপরিভাগের উর্বর বা টপসয়েল প্রয়োজন হয়। এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, এক বিঘা জমির টপসয়েল দিয়ে এক লাখ ইট তৈরি হয়। ইটভাঁটির মালিক এ মাটি ১০-১৫ হাজার টাকায় ক্রয় করে থাকে। কৃষক নগদ অর্থ পেয়ে টপসয়েল বিক্রি করে দেয়। ইটখোলায় ইট পোড়ানোর সময় মাটি পুড়ে যায় ও তাপমাত্রার কারণে আশপাশের ফসল উৎপাদন হ্রাস পায়। লালমনিরহাট কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ইটভাঁটির কারণে যে পরিমাণ কৃষি জমির উর্বরতা শক্তি হ্রাস পায়। ঘরবাড়ি নির্মাণে সে পরিমাণ কৃষি জমি কমে না। পরিবেশ আইনে উল্লেখ আছে ইটভাঁটি স্থাপন হতে হবে নদীর কূলবর্তী চরাঞ্চলে। জেলায় ইটভাঁটি নির্মাণে আইন মানা হয়নি। জেলায় ২৭টি ইটভাঁটিতে পরিবেশ মন্ত্রণালয় পত্র দিয়েছে পরিবেশ সার্টিফিকেট দেখাতে কিন্তু দীর্ঘদিনেও ইটভাঁটি মালিকগণ পরিবেশ বিষয়ে সার্টিফিকেট দেখাতে পারেনি। তারপরেও রহস্যজনকভাবে ইটভাঁটিগুলো চলছে। ইটভাঁটি মালিকগণ সঠিকভাবে ট্যাক্স পরিশোধ করে না। নামমাত্র ট্যাক্স পরিশোধ করে ইটভাঁটিগুলো বছরের পর বছর ইট তৈরি করেই চলছে। বরিশালে স্কুল গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ আগৈলঝাড়া উপজেলার গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পার্শ্ববর্তী গৈলা দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করার প্রতিবাদে ও মুক্তির দাবিতে বুধবার সকালে স্কুলে তালা ঝুঁলিয়ে বিক্ষোভ করেছে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েকশ শিক্ষার্থী। বিক্ষুব্ধরা স্কুলের সকল শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গিয়াস মোল্লার বিরুদ্ধে প্লে-কার্ড সংবলিত বিভিন্ন সেøাগান দিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। প্রায় চার ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরুদ্ধতা থেকে মুক্তি পায় শিক্ষকেরা। জানা গেছে, স্থানীয় মাদকসেবী ১০ম শ্রেণীর ছাত্র শুভ হাওলাদার ও মেশকাত শিকদারকে মারধর করে পুলিশে দেয়। পুলিশ একটি মামলায় ওই দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক জহুরুল ইসলাম জানান, তিনিসহ অন্য শিক্ষকদের অবরুদ্ধ হয়ে পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে প্রধান গেটের তালা খুলে তাদের মুক্ত করেন। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের স্কুলে মূল্যায়ন পরীক্ষা চলছে। এরই মধ্যে প্রহসনের মামলায় শুভ হাওলাদার ও গৈলা দাখিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণীর ছাত্র মেশকাত শিকদারকে মুক্তি না দিলে তারা বৃহস্পতিবারের স্কুল মূল্যায়ন পরীক্ষায় অংশ নেবে না। প্রয়োজনে তারা আরও কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা করবেন।
×