ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে নব্য জেএমবির দুই সদস্যসহ অনেক পরিবার নিখোঁজ

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ১০ এপ্রিল ২০১৭

দিনাজপুরে নব্য  জেএমবির দুই  সদস্যসহ অনেক পরিবার নিখোঁজ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ ঘোড়াঘাট উপজেলায় নব্য জেএমবির শীর্ষ ক্যাডার এহসার সদস্য আবুল কাহার ওরফে কাহার উদ্দীন (৪২) ও মুরশিদুল আলম মিমকে গ্রেফতার করতে তাদের (১৮) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ। ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ ইসরাইল হোসেন জানান, উপজেলার ৩নং সিংড়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের নবাব উদ্দীনের পুত্র নব্য জেএমবির এহসার সদস্য আবুল কাহার ওরফে কাহার উদ্দীন (৪২) গত ৮ বছর ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ কাহার গোপনে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে। কাহার ও তার সহযোগী ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউপির বিন্যাগাড়ী গ্রামের শাহিনুর ইসলাম ওরফে শাহিন ও সিংড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র লোকমান হোসেন (৪০) গত ২০০৪ ও ২০০৫ সালে এ এলাকায় জেএমবির নেটওয়ার্ক গড়ে তোলে। জনশ্রুতি রয়েছে, তাদের সহযোগিতায় ঘোড়াঘাট ও পীরগঞ্জ উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর চরে রাতের আঁধারে জেএমবির সদস্যদের প্রশিক্ষণ দিত তারা। ২০০৪ সালের ২০ এপ্রিল করতোয়া নদীর পাশে কৃষ্ণ রামপুর গ্রামের নদীর চরে প্রশিক্ষণ দেয়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে বিষয়টি প্রকাশ পায়। তৎকালীন ঘোড়াঘাট থানার অফিসার্স ইনচার্জ আবু বকর এ ঘটনায় জড়িত থাকা সন্দেহে ৩ যুবককে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তী সময়ে ওই ৩ যুবক আদালত থেকে বের হয়ে গা ঢাকা দেয়। সেই সময় জেএমবি সদস্য লোকমান ও কাহার উদ্দীন পালিয়ে যায়। এরপর মাঝে মধ্যে তাদের এলাকায় দেখা গেলেও ২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তাদের এলাকায় আর দেখা যায়নি। সম্প্রতি লোকমানসহ তার পরিবারের ৬ সদস্য মৌলভীবাজার নাসিরনগরে আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে নিহত হলে এলাকায় জনমনে চাঞ্চল্য দেখা দেয়। ওই ঘটনার পর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তৎপরতায় কাহার উদ্দীনের পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এদিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার নুরপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেন আকন্দ মিলনের পুত্র মোর্শেদুল আলম মিম গত ৩ বছর যাবৎ চট্টগ্রাম হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে বলে এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে। হাটহাজারী মাদ্রাসার জঙ্গী আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই ও অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার হলে মিম নব্য জেএমবির সদস্য বলে প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে মিম নিখোঁজ রয়েছে বলে তার পরিবার সূত্রে জানা যায়। মিমের পিতা মিলন গত ২ বছর যাবৎ দুবাইয়ে রয়েছে। মিলনের স্ত্রী মোর্শেদা বেগমের দাবি, তার ছেলে মিমকে উচ্চশিক্ষার জন্য হাটহাজারী মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে দেয়া হয়েছিল। গত ১ বছর ধরে ছেলের সঙ্গে তাদের কোন যোগাযোগ নেই।
×