ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

প্রত্যয় কস্তা

আসুন, জঞ্জালমুক্ত ঢাকা গড়ি

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৬ এপ্রিল ২০১৭

আসুন, জঞ্জালমুক্ত ঢাকা গড়ি

মানুষের বসবাসের যোগ্য এলাকাকে বলে পরিবেশ। পরিবেশের সঙ্গে মিলেমিশে মানুষ বা অপরাপর প্রাণীর জীবনের বিকাশ ঘটে। তারা নিজ নিজ পরিবেশ থেকেই বাঁচার উপকরণ সংগ্রহ করে। সে সব উপকরণ থেকে প্রয়োজনীয় অংশ ব্যবহারের পর যে পরিত্যক্ত অংশ পরিবেশে ফিরে যায় তা আমরা ময়লা-আবর্জনা বলে স্বীকার করি। যা ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে থাকে। যার কারণে রাজধানী ঢাকা আজ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। মানব সভ্যতার দ্রুত বিকাশে শহরায়ন ও শিল্পায়নের ফলে ঢাকায় আজ ময়লার পরিমাণ বাড়ছে। কারণ গ্রামের বেশিরভাগ মানুষ কাজের সন্ধানে শহরের দিকে পা বাড়াচ্ছে। এতে শহরের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর জনসংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শহরের ময়লা-আবর্জনাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা ছাড়া শিল্প-কারখানাগুলো উৎপাদন কাজে অনেক কাঁচামাল ব্যবহার করছে। আর সেই উৎপাদন কাজে ব্যবহৃত কাঁচামালের পরিত্যক্ত অংশ না পুড়িয়ে তা কারখানার বাইরে রাস্তার ধারে স্তূপাকারে জমা করে রাখা হচ্ছে। যা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এ ছাড়া রাস্তার ধারের দোকানগুলো রাস্তার ওপরে অনেক ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। অনেক কাঁচা সবজির ব্যবসায়ী ও মাংস বিক্রেতারা রাস্তার ধারে ময়লা ফেলে রাখছে। যা পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং ময়লা-আবর্জনায় পরিণত হচ্ছে। রাস্তার ধারের হোটেল ও রেস্টুরেন্টের ময়লা-আবর্জনাও রাস্তার কাছে স্তূপ করে রাখা হয়। তারপর আমাদের শহরের পয়ঃনিষ্কাশনও ভাল নয়। ড্রেনগুলোতে প্রতিদিন অনেক ময়লা জমা হয়ে থাকে। কিন্তু তা পরিষ্কার করা হয় না। যারা পরিষ্কার কর্মী তারা রাস্তার আবর্জনাগুলো না তুলে ড্রেনের পাশে জড়ো করে রাখে। যা পরবর্তীতে বাতাসে উড়ে গিয়ে ড্রেনে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায়, পচনশীল জীব-জন্তুর মৃতদেহ ড্রেনে পড়ে থাকে। যা পানি প্রবাহের বাধা হয়ে দাঁড়ায়। তাই বৃষ্টি হলে পানি কোনদিকে যেতে না পেরে রাস্তায় জমাট বাঁধে। যার কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় জনসাধারণকে এবং নতুন এক নদীর সৃষ্টি হয় যার নাম ‘ঢাকা নদী’। এ পরিস্থিতি থেকে রক্ষা পেতে চাইলে সর্বপ্রথমে আমাদের জনসাধারণকে সচেতন করে তুলতে হবে। শহরের শিক্ষিত ব্যক্তিদের বিবেকবোধ জাগ্রত করতে হবে। শিক্ষিত জনসমষ্টি সচেতন হলে অন্যরাও সচেতন হবে। নটর ডেম কলেজ, ঢাকা থেকে
×