ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গৃহবধূ ধর্ষণ মামলা

লক্ষ্মীপুরে চারজনের ফাঁসি

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ৩০ মার্চ ২০১৭

লক্ষ্মীপুরে চারজনের ফাঁসি

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৯ মার্চ ॥ কমলনগরের গৃহবধূ রহিমা খাতুন গণধর্ষণ মামলায় বুধবার দুপুরে চারজন আসামির বিরুদ্ধে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে দ-প্রাপ্ত প্রত্যেক আসামির বিশ হাজার টাকার জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারক। নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় অপর একজনকে বেকসুর দেয়া হয়। ফাঁসির দ-প্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে রয়েছেÑ জেলার কমলনগর উপজেলার চরবসু গ্রামের ছানা উল্যা (৩৫), একই উপজেলার চরকালকিনির চরসামছুদ্দিন গ্রামের হারুন (৩০), এবং চরকালকিনি গ্রামের আবুল কাসেম প্রকাশ কাসেম মাঝি (৩০) এবং মৃত্যুদ-প্রাপ্ত অপর ২নং আসামি নোয়াখালী সদর সুধারাম থানার আন্ডারচর গ্রামের রহিম (২৫)। রায় ঘোষণার সময় দ-প্রাপ্ত আসামিরা সবাই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বুধবার দুপুরে প্রায় ১টার দিকে (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. এ কে এম আবুল কাসেম সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত করে জনাকীর্ণ লোকের উপস্থিতিতে আসামিদের বিরুদ্ধে এ রায় দেন। সাক্ষ্যপ্রমাণে নির্দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর আসামি আনার উল্যাকে (৪৫) বেকসুর খালাসের আদেশ দেয় আদালত। মামলায় নয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বিজ্ঞ বিচারক রায়ে ঘোষণা করেন, ফাঁসির রশিতে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দেন। তবে দ-প্রাপ্ত আসামিগণ রায়ের বিরুদ্ধে ৭ দিনের ভেতরে উচ্চাদালতে আপীল করতে পারবেন। পরে আসামিদের জেলহাজতে পাঠিয়ে দেয়া হয়। এ সময় দ-প্রাপ্ত আসামিদর স্বজনরা হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাত আড়াইটার দিকে মামলা, ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ পূর্বক ১০ বছরের শিশুকন্যার সামনে রহিমা খাতুনকে পালাক্রমে গণধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তার যৌনাঙ্গে ২১ ইঞ্চির একটি লাঠির (গরুর) খুটা ঢুকিয়ে দিয়ে গুরুতরভাবে আহত করে। এলাকাবাসী ও স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে সরকারী হাসপাতালে ভর্তির পর পাঁচ দিন পর তার জ্ঞান ফিরে আসে। নীলফামারীতে কবিরাজের দুই বছরের কারাদ- স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মামলায় কবিরাজ সুকুমার রায়কে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদ-ের রায় দিয়েছে আদালত। বুধবার নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সেলিনা বেগম ওই রায় দেন। উল্লেখ্য, নীলফামারী সদরের খোকশাবাড়ি গ্রামের বিশ্বেশ্বর রায়ের স্ত্রী বীণা রানী রায় জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এ অবস্থায় ওই কবিরাজের কাছে চিকিৎসা শুরু করে বীণা রানী। কিন্তু রোগী সুস্থ হয়নি। এ অবস্থায় কবিরাজ রোগীর বাড়িতে এসে রোগীকে সুস্থ করতে এক লাখ টাকা দাবি করে। রোগীপক্ষ এত টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করলে ভ- করিবাজ রোগীর বাড়ি থেকে বাজাজ মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে পালিয়ে যায়। মোটরসাইকেল উদ্ধারে কবিরাজের বাড়ি গেলে কবিরাজ ও তার লোকজন উল্টো তাদের মারধর করে তাড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় বিশ্বেশ্বর রায় বাদী হয়ে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মামলা করে। সিরাজগঞ্জে ৩০ ডাকাতের সাত বছরের কারাদ- স্টাফ রিপোর্টার সিরাজগঞ্জ থেকে জানান, ডাকাতির চেষ্টার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় ৩০ ডাকাতকে ৭ বছর করে কারাদ- দেয়া হয়েছে। বুধবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালত ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় দেন। দ-প্রাপ্তরা হলোÑ শাহ আলম, রঞ্জু খাঁ, নাসির আলী শেখ, কামরুল হাসান সাজু মিয়া, আমজাদ হোসেন বাপ্পী, জাহাঙ্গীর আলম গাজী, আলামিন মোল্লা, লিটন হোসেন, আলামিন, সবুজ হোসেন, ফজলুর রহমান, মোহর আলী, স্বপন আলী, সাগর আলী, সবুজ বিশ্বাস, আল-আমিন, শামীম হোসেন, শফিকুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, আলামিন, ওয়ারিশ ব্যাপারী, ইকতিয়ার রহমান, বাবুল, সোহেল রানা, সুমন ইসলাম, বশির মোল্লা, মিলন হোসেন, মিলন প্রামাণিক ও আবদুর মান্নান খান। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যার দিকে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের শ্যামলীপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় একটি বাসে যাত্রী তুলে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এ সময় এলাকাবাসী ২৫ ডাকাতকে আটক করে থানায় খবর দেয়।
×