ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশেই শনাক্ত সম্ভব

ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

প্রকাশিত: ০৮:৩৭, ২৩ মার্চ ২০১৭

ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশে ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। তবে গর্ভবতী নারীর শরীর পরীক্ষা করে, এখন দেশেই এ রোগ শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে। এ রোগে আক্রান্ত শিশুরা সাধারণত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হয়ে বেঁচে থাকে। তারা অন্য শিশুদের তুলনায় শারীরিক ও মানসিকভাবে দেরিতে বেড়ে ওঠে। ডাউন সিনড্রোমে আক্রান্ত শিশুরা শারীরিক জটিলতায় ভোগে। তাদের লিউকিমিয়া, থায়রয়েড সমস্যা, দৃষ্টিশক্তি ও শ্রবণ শক্তির সমস্যা, পরিপাকতন্ত্রের সমস্যা, জীবাণু সংক্রমণ, শারীরিক স্থূলতা ইত্যাদি দেখা দিতে পারে। এছাড়া ডাউন সিনড্রোম শিশুর জন্মগত হার্টের সমস্যা থাকতে পারে। বিশ্ব ডাউন সিনড্রোম দিবস উপলক্ষে বুধবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরোডিসঅর্ডার এন্ড অটিজমের (ইপনা) উদ্যোগে সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। ইপনার প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ শাহীন আকতারের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মিজানুর রহমান, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল কাদের প্রমুখ। উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডাঃ মোঃ শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, ডাউন সিনড্রোম সম্পর্কে অনেক মানুষ জানে না। এ বিষয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। উপযুক্ত সময়ে বিবাহ নিশ্চিত করা, একই পরিবার বা বংশের মধ্যে বিবাহ কমিয়ে আনতে পারলে এ সমস্যা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। সেমিনারে বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, বিশ্বে প্রতিবছর ৭শ’ জনে একজন শিশু এ সমস্যা নিয়ে জন্মায়। বাংলাদেশে এ সমস্যায় অক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। বছরে প্রায় ৭ হাজার বা দিনে ১৫ শিশু ডাউন সিনড্রোম সমস্যা নিয়ে জন্ম নেয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, বেশি বয়সী মায়ের ক্ষেত্রে এ সন্তান জন্মের হার বেশি। ট্রাইজমি-২১ ও মোজাইক এ দুই ধরনের ডাউন সিনড্রোমের ক্ষেত্রে বেশি বয়সী মায়ের গর্ভধারণের যোগসূত্র রয়েছে।
×