ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চিতলমারীতে শত বছরের পুকুরও দখলে

প্রকাশিত: ০৪:৩৬, ১৭ মার্চ ২০১৭

চিতলমারীতে শত বছরের পুকুরও দখলে

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ বাগেরহাটের চিতলমারী সদর বাজারের শত বছরের পুরনো এসএম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালের পুকুরটি এখন দখলদারদের কবলে পড়ে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। আশপাশের কতিপয় ব্যক্তি বেড়া দিয়ে ময়লা-আবর্জনা ফেলে পুকুরের জায়গা ভরাট করে দখল নিচ্ছে। ফলে জনভোগান্তি ও পরিবেশ দূষণ বাড়ছে। তীব্র পানির সংকটে শত শত মানুষ এ পুকুরের ওপর নির্ভরশীল। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই। দ্রুত পুকুরটি দখলদারদের কবল থেকে রক্ষার আর্তি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসী জানান, সদর বাজারের এসএম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পুকুরের পানি এলাকার লোকজনের ব্যবহার ও গোসল করার জন্য একমাত্র অবলম্বন। শত বছরের এই পুরনো পুকুর থেকে প্রতিদিন শত শত পরিবারে পানির চাহিদা পূরণ হয়। এছাড়া গোসলসহ এলাকার হোটেল, রেস্টুরেন্ট, চায়ের দোকানসহ দৈনন্দিন কাজে এই পুকুরের পানি ব্যবহার করা হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ আশপাশের লোকজনের এটি রক্ষার দায়িত্ব থাকলেও কতিপয় ব্যক্তি এখন ভক্ষক হয়ে হয়েছে। রাতারাতি বেড়া নির্মাণ করে ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভরাট করার মাধ্যমে দখল করে নিচ্ছে তারা। আবার কালো কাপড় টাঙ্গিয়ে ভেতরে মাটি ও আবর্জনা ফেলেও দখল করছে কেউ কেউ। বিষয়টি যেন দেখার নেই। রহস্যজনক কারণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসীন। এ ব্যাপারে সদর বাজারের বাসিন্দা অলিপ সাহা কালা, লিটন বড়ালসহ অনেকে অভিযোগ করে জানান, এভাবে পুকুরটি দখল করে নিলে এলাকার লোকজনের চরম পানির সঙ্কট সৃষ্টি হবে। সদর বাজার ও আশপাশের লোকজনের জন্য একমাত্র এই পুকুরটি ভরসা। এছাড়া গ্রীষ্ম মৌসুমে এলাকায় দারুণ পানির সঙ্কট দেখা দেয়। এই পুকুরের পানি দিয়ে জরুরী চাহিদা মেটে। এ অবস্থায় পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় জরুরীভাবে শত বছরের এই পুকুরটি রক্ষার দাবি করেন তারা। এসএম মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রমেন্দ্র নাথ মল্লিক জানান, পুকুরটি রক্ষা করা খুবই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বারবার বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। দখলদাররা রাতারাতি দখল করে নিচ্ছে পুকুরটি। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার পারভেজ জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×