ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কোহলিদের সুযোগ দেবে না অসিরা

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১৪ মার্চ ২০১৭

কোহলিদের সুযোগ দেবে না অসিরা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ঘরের মাটিতে ভারত ভয়ঙ্কর। গত কয়েক বছর প্রতিটি দল সেটি দেখে এসেছে। এবার ফেবারিট না হয়েও প্রথম টেস্ট জিতে এগিয়ে গিয়েছিল অসিরা। ব্যাঙ্গালুরুতেই পরের ম্যাচেই আহত সিংহের থাবায় ছিন্নভিন্ন অতিথিরা। দ্বিতীয় টেস্টের অভিজ্ঞতা থেকে অস্ট্রেলিয়া উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ম্যাথু ওয়েড বলেছেন, বিরাট কোহলিদের এবার আর এতটুকু সুযোগ দেয়া যাবে না, তবেই ওরা চেপে বসবে, তাদের সব পরিকল্পনা ভ-ুল করে দিতে হবে। ‘ওরা বরাবরই আগ্রাসী। প্রথম টেস্টে বাজে হারের পর ব্যাঙ্গালুরুর দ্বিতীয় ম্যাচে ওদের পরিবর্তনটাই আমাদের বেশ ধাক্কা দিয়েছিল। কোহলিদের যদি এতটুকু সুযোগ দেয়া হয়, তাহলে তারা সেটার পূর্ণ ব্যবহারে ভুল করে না। ম্যাচের কোন সময়েই ওদের এগোতে দেয়া যাবে না। তাহলেই এতটা আগ্রাসী হয়ে উঠবে যে আমাদের স্বাভাবিক ছন্দটাই নষ্ট করে দেবে। আমরা সেই সুযোগটা আর দেব না।’ বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাচিতে শুরু তৃতীয় টেস্ট। ১-১এ চলমান চার ম্যাচের সিরিজে এগিয়ে যেতে দু’দলের জন্যে তৃতীয় টেস্টটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘরের মাটিতে টানা ১৯ টেস্টে অপরাজিত, সবমিলিয়ে জয় টানা ৬ সিরিজে, র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে ভারত। হটফেবারিট হিসেবে সিরিজ শুরু করেও প্রথম ম্যাচে ৩৩৩ রানের লজ্জার হারে থমকে যায় কোহলিবাহিনী। তবে ব্যাঙ্গালুরুতে দাপুটে জয়ে (৭৫ রান) ঘুরে দাঁড়ায় তারা। দ্বিতীয় টেস্টে কোহলিদের দেখে ওয়েডদের নাকি মনে হয়েছিল ‘খাঁচায় আটকানো সিংহ’। পুনের প্রথম ম্যাচে যতটা না তারচেয়ে ঢের বেশি আগ্রাসী। রাচিতে তাই অসিরা এতটুকু ঝুঁকি নিতে চায় না। ম্যাচের শুরু থেকেই আগ্রাসী হয়ে প্রতিপক্ষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চায়, যেমনটা তারা করেছিল প্রথম টেস্টে। পাল্টা আক্রমণ হানতে তৈরি স্টিভেন স্মিথের দল। ওয়েড বলেন, ‘আমরা সবকিছুর জন্য তৈরি। প্রয়েজানে সেøজিংও।’ প্রথম টেস্টে জয়ের পর অধিনায়ক স্মিথ বলেছিলেন, ‘এই জয়ে আমাদের কাজটা আরও কঠিন হয়ে গেল। কারণ আমরা জানি ভারত আমাদের সহজে ছেড়ে দেবে না।’ ব্যাঙ্গালুরুতে সেটিই হয়েছে। এ কারণেই রাচিতে নামার আগে সতর্ক অতিথিরা। ওয়েড বলেন, ‘খেলার বাইরে যেসব ঘটনা চলছে, আমরা তা মাথায় রাখতে চাই না। ভাল ক্রিকেট খেলে, নিজেদের দক্ষতা দিয়েই ওদের হারাতে চাই। কারণ আমরা জানি, আবেগ দিয়ে ক্রিকেট হয় না। তবে প্রয়োজন পড়লে দু’চার কথা শুনিয়ে দিতে ছাড়বেন না বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘বয়স বাড়ছে, তাই এসব এখন আর ভাল লাগে না। তবে প্রতিপক্ষ মাত্রা ছাড়িয়ে গেলে কখন পাল্টা দিতে হবে, সেটি আমরা আগে থেকেই জানি। প্রয়োজন পড়লে কাজে লাগাব।’ সিরিজে কোহলি-স্মিথ, পিটার হ্যান্ডসকম্ব-ইশান্ত শর্মাদের বাকযুদ্ধও বেশ আলোচিত। মাঠে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে যেন যুদ্ধংদেহী মনোভাব। ব্যাঙ্গালুরু টেস্টের চতুর্থদিনে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন স্মিথ। তবে রিভিউ নেবেন কিনা এই বিষয়ে দোটানায় ছিলেন তিনি। ড্রেসিং রুমের দিকে তাকিয়ে ছিলেন অধিনায়ক। বিষয়টি আইসিসির ‘কোড অব কন্ডাক্টে’র সম্পূর্ণ বিরোধী। এরপরে ভারত দলপতি বিরাট কোহলিও স্মিথের সঙ্গে বাকবিত ায় জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু আইসিসি তাদের কারও বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে কাউকেই শাস্তি পেতে হয়নি।
×