ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

পুরান ঢাকায় অবৈধ রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান

প্রকাশিত: ০৪:৪৭, ১৩ মার্চ ২০১৭

পুরান ঢাকায় অবৈধ রাসায়নিক কারখানার বিরুদ্ধে অভিযান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর পুরান ঢাকার অবৈধ রাসায়নিক কারখানা ও গুদামের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)। ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনকে সাথে নিয়ে এ অভিযান পরিচালিত হয়। রবিবার লালবাগের শহীদনগর এলাকায় মেয়র সাঈদ খোকনের উপস্থিতিতে সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এ অভিযান শুরু করে। বেলা সাড়ে ১২টায় অভিযানের শুরুতে একটি কারখানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং দুটি কারখানাকে সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেয়া হয়। অভিযানে ফায়ার সার্ভিস, বিস্ফোরক অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। অভিযানের শুরুতে লালবাগের শহীদনগরের ১ নম্বর গলির ইউনিক পলিমারের কারখানায় যায় ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্লাস্টিক পণ্যের জন্য অনুমোদন নিলেও কারখানাটিতে তরল দাহ্য রাসায়নিক পদার্থ মজুদ ছিল। এসব রাসায়নিক দিয়ে জুতা তৈরির আঠাসহ বিভিন্ন দ্রব্য তৈরি করা হতো। অভিযানের খবর পেয়ে কারখানাটির মালিক আবদুল করিম সেন্টু পালিয়ে যান। সে সময় কারখানায় কোবাদ আলী নামের এক শ্রমিক ছিলেন। পরে আদালত ওই কারখানাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করে। অনাদায়ে কারখানার কর্মচারী কোবাদ আলীকে ৬ মাসের কারাদ- দেয় আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানকবির বলেন, এ কারখানায় অগ্নি প্রতিরোধের কোন ব্যবস্থা নেই। প্লাস্টিকের জন্য লাইসেন্স নেয়া হলেও তরল কেমিক্যাল মজুদ করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালের ৩ জুন রাতে পুরান ঢাকার নিমতলী এলাকার আগামাসি লেনের কায়েতটুলির সাপ মন্দির রোডে একটি প্লাস্টিক কারখানায় আগুন লেগে ১ ’শ ২৫ জনের মৃত্যু হয়। এলাকাবাসীর বক্তব্য, এলাকার বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য রান্নার সময় ঘটনাস্থলের ট্রান্সফরমার বিস্ফোরিত হয়। পরে আগুন আশপাশে কাগজের দোকান, জুতা ও প্লাস্টিক সামগ্রীর কারখানার দাহ্য পদার্থে লেগে ছড়িয়ে পড়ে।
×