ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১০ মার্চ ২০১৭

উবাচ

অপ্রাসঙ্গিক দল! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্ধু হিসেবে অনেকেই বিএনপিকে সাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন। সম্প্রতি বরেণ্য এক আইনজীবী বিএনপিকে একই পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু বিএনপি সে কথা শোনেনি। বরং বিএনপি নেতারা উল্টো প্রশ্ন করছেন, কেন তাদের ত্যাগ করতে হবে? সম্প্রতি এ প্রশ্নের উত্তর মিলেছে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায়। যারা এতদিন ভাবতেন কি হয় ওরা থাকলে তাদের জন্য মন্ত্রী বলেছেনÑ এমন করলে বিএনপি একদিন অপ্রাসঙ্গিক দলে পরিণত হবে। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসী দলের তকমা লেগেছে বিএনপির গায়ে। তাও আবার বিদেশের আদালতে। গণতন্ত্র উদ্ধারের নামে সারাদেশে মানুষ পুড়িয়ে মেরে দলটি প্রমাণ করেছে কতটা জনদরদী তারা। এর পর আর কোন আন্দোলনেই বিএনপি জনগণের সমর্থন পায়নি। বিএনপির অনেক নেতা তো বলেই আসছেন, বিএনপির আড়ালে থেকে জামায়াত সেই নাশকতা চালিয়েছে। কিন্তু এর পরও বিএনপি তাদের ছাড়তে পারেনি। ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বিএনপির মধ্যে ভাল লোক এক ফখরুল সাহেব। তিনি গুলশানের চাপে ও টেনশনে কিছু কথা বলেন, যা শুনলে মাঝে মাঝে শিহরণ জাগে। তিনি বলেছেন, আমরা নাকি ভয় দেখিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে চাই। কী কারণে, আমাদের দরকারটা কী? বিএনপি নিজের প্রয়োজনে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে আসবে। আরেকটা নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপির অস্তিত্ব ঝুঁকিতে পড়ে যাবে। অতিরিক্ত মহাসচিব! স্টাফ রিপোর্টার ॥ পর পর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন বাতিল হয়ে যাবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) বিষয়টির স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। বিএনপি বিগত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। এবার নির্বাচনে অংশ নেবে কি নেবে না, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কিছু বলছে না। সরকার পক্ষ আরপিওর বাধ্যবাধকতা তুলে ধরে বলছে নির্বাচনে আসতেই হবে। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন ‘বিএনপি নিজের প্রয়োজনে, নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে নির্বাচনে আসবে।’ তবে তার এই বক্তব্যে মাইন্ড করেছেন বিএনপি নেতারা। বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক জানতেও চেয়েছেনÑ ওবায়দুল কাদের কি বিএনপির অতিরিক্ত মহাসচিব হয়েছেন কিনা? ফারুক বলেছেন, বিএনপি যাতে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে সে জন্য সরকার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে প্রমাণিত তারা বিএনপির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তিনি কি আমাদের দলের অতিরিক্ত মহাসচিব হয়েছেন যে আমাদের দলের ভেতরের সিদ্ধান্তও তিনি আগাম বলে দিচ্ছেন? চাপ চাপ খেলা স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাদশ জাতীয় নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে বিএনপি ততই নির্বাচনের নানা ইস্যুতে চাপ দিচ্ছে। কখনও বলছে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নয় আবার কখনও অন্য কোন সরকার গঠনের সূত্রের আভাস দিচ্ছে। কিন্তু কোন চাপ সৃষ্টি করে লাভ হবে না জানিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীকে উদ্দেশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, ‘চাপ চাপ খেলা বাদ দিয়ে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হোন।’ তিনি বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যে নির্বাচন হবে। সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনা মনে করলে নির্বাচন আগেও হতে পারে। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন হবে। কোন ফর্মুলায়, কোন নসিহতে কোন কাজ হবে না। নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নাসিম বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি; কোন্ দলের সময় সার্চ কমিটির মাধ্যমে কমিশন গঠিত হয়েছে? ৪১ বছরে কোন দৃষ্টান্ত নেই যেখানে সার্চ কমিটি গঠন করে, নির্বাচন কমিশন গঠন করে শিক্ষক-সাংবাদিক-বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। নির্বাচন করা না করা আপনার (খালেদা জিয়া) ইচ্ছা। কিয়ামত পর্যন্ত করবেন না? তিনি বলেন, নির্বাচন ঠিকমতো হবে এবং বিএনপি নির্বাচন করবে। এরা চাপ সৃষ্টি করতে চায়। চাপ সৃষ্টির আর সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ আর যাই হোক জনগণ ছাড়া কোন দলের কাছে নতি স্বীকার করে না, করবে না।
×