ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

চান্দিমালের ব্যাটে পাল্টা জবাব পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:৩২, ৪ মার্চ ২০১৭

চান্দিমালের ব্যাটে পাল্টা জবাব পেল বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ব্যতিক্রম কিছু না ঘটলে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচ সাধারণত ড্রই হয়ে থাকে। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রেসিডেন্টস একাদশের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তামিম ইকবালের দারুণ সেঞ্চুরি (১৩৬), এরপর মুমিনুল হক (৭৩) ও লিটন দাসের (৫৭*) দুটি হাফ সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩৯১/৭-এ প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেন টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম। অতিথিদের ফুরফুরে ভাবটা মিইয়ে যেতে সময় লাগেনি। আনকোরা আর শিক্ষানবিস সব ক্রিকেটার নিয়ে গড়া প্রতিপক্ষ শিবিরে একমাত্র বড় নাম দীনেশ চান্দিমাল। তাতেই জবুথুবু বাংলাদেশী বোলিং। সেনাপতি চান্দিমালের অপরাজিত ১৯০ রানে জবাবটা ভালই পেল টাইগাররা। দ্বিতীয়দিন নির্ধারিত ৯০ ওভারে ৭ উইকেটে ৪০৩ রান তুলে দাপটের সঙ্গে ড্র করল স্বাগতিকরা। মূল লড়াইয়ের আগে মুশফিকদের জন্য এটা হতে পারে বড় সঙ্কেত। মঙ্গলবার গলে শুরু দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। অথচ মুস্তাফিজুর রহমান ও তাসকিন আহমেদের ছন্দময় বোলিংয়ে শুক্রবার দ্বিতীয়দিনে টাইগারদের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। ১২তম ওভারেই টপ-অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেন দু’জনে। এরপর নিয়মিত উইকেট পড়লেও একপ্রান্তে অতিথি বোলারদের সমানে শাসন করে গেছেন চান্দিমাল। ২৫৩ বলে ২১ চার ও ৭ ছক্কায় ১৯০ রানে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন। নয় নম্বরে নামা ছামিকা করুনারতেœও ছিলেন আক্রমণাত্মক (৪২ বলে অপরাজিত ৫০, ৭ চার ২ ছক্কা)। তাসকিন ৪১ রান দিয়ে ৩টি, মুস্তাফিজ ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২টি উইকেট। তবে মুস্তাফিজের ওপর ছিল বিশেষ দৃষ্টি। কারণ ইনজুরি থেকে সেরে ওঠার পর নিউজিল্যান্ড সফরে সব ম্যাচে খেলা হয়নি। ছিলেন না আলোচিত ভারত সফরের একমাত্র টেস্টেও। নিজেকে ফিরে পেতে ২১ বছর বয়সী পেসার খেলেন ঘরোয়া বিসিএলের দুটি রাউন্ডে। শ্রীলঙ্কায় প্রস্তুতি ম্যাচে ভাল কিছুর ইঙ্গিতই দিয়েছেন কাটার মাস্টার। প্রথম সেশনে দুই স্পেলে ৬ ওভার বল করেন মুস্তাফিজ। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ১টি মেডেনসহ ৯ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। দ্বিতীয় স্পেলে ২ ওভার ১ মেডেনে ২ রান ১ উইকেট। সবমিলিয়ে ১২ ওভারে ৪টি মেডেনসহ ২৮ রানে ২ উইকেট। তার আগে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে তামিমের সেঞ্চুরিটা গুরুত্বপূর্ণ, ‘সিরিজ শুরুর আগে আমার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা সেঞ্চুরি ছিল। নতুন কোন সিরিজের আগে কিছু রান করা সবসময়ই ভাল। আমার লক্ষ্য ছিল উইকেটে যত বেশি সময় কাটানো যায়। আমি সেটা করতে পেরেছি। আমার তৃপ্তিটা হলো ৫০-৬০ ওভার পর্যন্ত ব্যাটিং করতে পেরেছি।’ বলেন তিনি। স্কোর ॥ বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস ৩৯১/৭ ডিক্লেঃ (৯০ ওভার; তামিম ১৩৬ অবসর, সৌম্য ৯, মুমিনুল ৭৩ অবসর, মুশফিক ২১, সাকিব ৩০, মাহমুদুল্লাহ ৪৩, লিটন ৫৭*, মিরাজ ১, তাইজুল ৪*; করুনারতেœ ৩/৬১, সামারাকুন ১/৭০, বুদ্দিকা ০/৬৮, জয়াবিক্রম ০/৫১, সামারাসুরিয়া ০/২২, আম্বুলডেনিয়া ১/৫৭, হাসারাঙ্গা ০/৫১)। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট প্রেসিডেন্টস একাদশ ৪০৩/৭ (৯০ ওভার; চন্দ্রগুপ্ত ২০, ফার্নান্ডো ৩, চান্দিমাল ১৯০*, সিলভা ৩৮, বুদ্দিকা ৩২, ফ্রান্সিসকো ২৭, ডি সিলভা ৩২, করুনারতেœ ৫০*; মুস্তাফিজ ২/২৮, তাসকিন ৩/৪১, মিরাজ ১/৬৮, সৌম্য ১/৫৩, সাকিব ০/৪৯)। ফল ॥ ম্যাচ ড্র।
×