ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গোয়েটজে- হিরো থেকে জিরো

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৪ মার্চ ২০১৭

গোয়েটজে- হিরো থেকে জিরো

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বছর পাঁচ-ছয় আগে মারিও গোয়েটজেকে নিয়ে জার্মানিতে রীতিমোত হৈচৈ পড়ে যায়। এ্যাটাকিং এই মিডফিল্ডারের মধ্যে ভবিষ্যতের ‘মেসি’র ছায়া খুঁজে পেয়েছিল জার্মান মিডিয়া। জার্মান বুন্দেসলিগায় ২০১২ সালে শিরোপা জয় করে বরুসিয়া ডর্টমুন্ড। ওই শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন গোয়েটজে। চোখ ধাঁধানো ধারাবাহিক নৈপুণ্যের কারণে চার বছর আগেই জার্মান দলের অন্যতম প্রধান ভরসা হয়ে উঠেন। শুধু তাই নয়, ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপেও শোয়াইনস্টাইগার, গোমেজ, মুলার, ওজিলদের মতো তারকার ভিড়ে জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর তরূপের তাস হন ২৪ বছর বয়সী গোয়েটজে। এরপরও ‘সুপার সাব’ হিসেবেই যেন নিজের নামটি প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেছেন গোয়েটজে। তরুণ এই তারকা কি ক্লাব কি জাতীয় দল সবখানেই একই ভূমিকা রাখেন। ২০১৩ সালে মিউনিখে আসার পর বেয়ার্ন মিউনিখেও অন্য তারকদের ভিড়ে প্রথম একাদশে নামা হয়নি খুব একটা। তবে বদলি হিসেবে নেমেও চিনিয়েছেন নিজের জাত। ধারাবাহিক গোল করে দলের জয়ে অবদান রেখেছেন। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালেও আরেকবার সে স্বাক্ষর রাখেন। ৮৮ মিনিটে মিরোসøাভ ক্লোসার বদলি হিসেবে নেমে দৃষ্টিনন্দন গোল করে দেশকে দুই যুগ পর শিরোপা জিতিয়েছেন। অথচ সেই গোয়েটজের এখন নিদারুণ দুঃসময়। ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ছিলেন মাঠের বাইরে। যে কারণে নিয়মিত খেলতে পারেননি সাবেক দল বেয়ার্নের হয়ে। ২০১৬ সালে খেলেছেন হাতেগোনা মিনিট। তৎকালীণ বেয়ার্ন কোচ পেপ গার্ডিওলারও তেমন আগ্রহ ছিল না তাকে নিয়ে। একেবারেই ব্রাত্য হয়ে গোয়েটজে গত বছর ফের ফেরেন পুরনো ক্লাব বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে। কিন্তু এখানেও এসেও হয়ে আছেন নিজের ছায়া। যে কারণে অনেকেই মনে করছেনÑ হিরো থেকে জিরো বনে গেছেন গোয়েটজে। বরুসিয়ার হয়েও এখন খেলার সুযোগ হচ্ছে না গোয়েটজের। প্রায় প্রতি ম্যাচেই সাইডবেঞ্চে বসে থাকতে হয়। সবশেষ কয়েকটি ম্যাচে বদলি হিসেবেও সুযোগ হয়নি। যে কারণে তক্তবিরক্তিও তিনি। গোয়েটজে বলেন, আসলে যে অবস্থার মধ্যে আছি সেটা মেনে নেয়া কঠিন। আমি চেষ্টা করছি দ্রুত নিজেকে সঠিক জায়গায় আনতে। একটা সময় সবার প্রশংসায় ভেসেছেন গোয়েটজে। ব্রাজিল বিশ্বকাপের ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর রাতারাতি তারকা বনে যান। এরও আগে আগামীর এই তারকার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে জার্মান কোচ জোয়াকিম লো বলেছিলেন, গোয়েটজে বেশিদিন হয়নি জার্মান দলের সঙ্গে আছে। কিন্তু তার খেলা দেখে মনে হয় সে একজন পরিপক্ব ও পরিপূর্ণ খেলোয়াড়। আর দীর্ঘদিন ধরেই যেন সে জার্মানির হয়ে খেলছে। গোয়েটজে জার্মানির ফুটবল ইতিহাসের দ্বিতীয় তরুণতম ফুটবলার। অভিষেকের পর থেকেই তরুণ এ প্রতিভা নিজেকে জার্মান দলের আক্রমণের অন্যতম স্তম্ভ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তবে বর্তমানে তার সময়টা যাচ্ছে নিদারুণ মন্দ।
×