ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

দেশের কোন ঘরই অন্ধকারে থাকবে না

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ২ মার্চ ২০১৭

দেশের কোন ঘরই অন্ধকারে থাকবে না

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন দেশের কোন ঘরই অন্ধকারে থাকবে না। ঘরে ঘরে আলো জ্বালার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করছে তাঁর সরকার। বুধবার সকালে গণভবনে ৮টি বিদ্যুত কেন্দ্র উদ্বোধন এবং ১০টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষণার সময় শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তির টাকা বিতরণ ছাড়াও সাবমেরিন কেবলের ল্যান্ডিং স্টেশন উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা হিসেবে আমরা গড়ে তুলব।’ প্রধানমন্ত্রী এ সময় বিদ্যুত সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন। উদ্বোধন করা বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোতে মোট ১ হাজার ৩৭৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন হবে। এতে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ নিশ্চিত হবে। প্রকল্পগুলোর মধ্যে সদ্য নির্মিত আটটি বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র, একটি সাবস্টেশন এবং একটি সঞ্চালন লাইনও রয়েছে। অনুষ্ঠানে বিদ্যুত বিভাগের সচিব ড. আহমেদ কায়কাউস পাওয়ার পয়েন্ট পেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিদ্যুত কেন্দ্রগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে একটি ভিডিও ক্লিপিংসও প্রদর্শন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যুত ও জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুত ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুসহ মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য এবং উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। যে দশটি উপজেলা শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে গণ্য হচ্ছে সেগুলো হলো ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও সাভার উপজেলা, মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীপাড়া উপজেলা, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর উপজেলা, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা, ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচড় উপজেলা, মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা এবং নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলা, পার্বত্য এলাকায় বান্দরবনের থানচি উপজেলা। সদ্য নির্মিত আটটি বিদ্যুত কেন্দ্র হলো- শাহজিবাজার ৩৩০ মেগওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, খুলনার ২২৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, আশুগঞ্জ ৪৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, মানিকগঞ্জের ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, নবাবগঞ্জের ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, জামালপুরের ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র, বরিশালের ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র এবং মদনগঞ্জ ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন কেন্দ্র। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে তিনটি বড় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছে সরকারী কোম্পানি। কেন্দ্রগুলো থেকে মোট এক হাজার ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত পাওয়া যাবে। যদিও চারটি বিদ্যুত কেন্দ্রই কম্বাইন্ড সাইকেল এবং চলার কথা গ্যাসে। কিন্তু এর মধ্যে একটি বিদ্যুত কেন্দ্র তরল জ্বালানিতে চলছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে সব থেকে বড় ৪৫০ মেগাওয়াটের কেন্দ্রটি নির্মাণ করেছে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড। বাংলাদেশ বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড শাহাজিবাজারে একটি ৩৩০ মেগাওয়াটের বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। এর বাইরে নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি খুলনাতে একটি ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। এর বাইরে সামিট পাওয়ার বরিশালে এবং নারায়ণগঞ্জে দুটি বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করছে। কেন্দ্র দুটি চলছে তরল জ্বালানিতে। এর মধ্যে বরিশাল কেন্দ্রটি ১১০ মেগাওয়াট এবং নারায়ণগঞ্জ কেন্দ্রটি ৫৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত জাতীয় গ্রিডে যোগ করেছে। এছাড়া জামালপুরে পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা ৯৫ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণ করছে। ঢাকার পাশেই নবাবগঞ্জ এবং মানিকগঞ্জে দুটি কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। ঢাকা নর্দান পাওয়ার জেনারেশন ও ঢাকা সাউদার্ন পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি কেন্দ্র দুটি নির্মাণ করছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি মতবিনিময় করেন- গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়া, মেহেরপুরের মুজিবনগর, টাঙ্গাইলের ভুয়াপুর, নীলফামারীর সৈয়দপুর, জামালপুরের সরকারী আশেক মাহমুদ কলেজ প্রান্ত, বান্দরবনের থানচি উপজেলাবাসী, গাজীপুরের কালিয়াকৌরবাসীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য আমরা চেষ্টা করেছি, যার সুফলটা এখন দেশের মানুষ পাচ্ছেন। তিনি বলেন, অতীতে বিদ্যুত নিয়ে হাহাকার অবস্থা ছিল। আমরা বিদ্যুত প্রকল্পের বহুমুখীকরণের এবং বেসরকারী খাতে বিদ্যুত উৎপাদনের উদ্যোগ নেই। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী বিদ্যুত দিতে না পারলেও দিয়েছিল খাম্বা। কারণ তার ছেলে খাম্বা ইন্ডাস্ট্রি করেছিল। তারা বিদ্যুত উৎপাদন তো বাড়ায়নি বরং কমিয়ে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সততা ও দক্ষতার সাহায্যে উৎপাদন বৃদ্ধি করে বর্তমানে আমরা ১৫ হাজার ৩শ’ ৫১ মে. ও. বিদ্যুত উৎপাদন সম্ভব করেছি। শতকরা ৮০ ভাগ মানুষের ঘরে আমরা বিদ্যুত পৌঁছে দিতে সক্ষম হয়েছি। আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করলে দেশের মান যে উন্নত করা যায় তা আমরা প্রমাণ করেছি। প্রধানমন্ত্রী পার্বত্য চট্টগ্রামের অধিবাসীদের উদ্দেশে বলেন, দীর্ঘদিন এখানে একটি অশান্ত পরিবেশ ছিল। আমি প্রথমবার সরকারে আসার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করি এবং এরপর সেখানে সত্যিই শান্তি ফিরে আসে এবং সার্বিক উন্নয়নের ব্যাপক কর্মসূচী আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। যেটা সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেই রাস্তাঘাট, পুল ব্রিজ আমরা করে দিচ্ছি। পাশাপাশি এখানে কোন মোবাইল নেটওয়ার্ক ছিল না, আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর সেখানে যেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারে সেই নেটওয়ার্ক আমরা করে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দিলাম। পাশাপাশি গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য ইতোমধ্যে ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। সমগ্র এলাকায় বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করা হবে। যেসব জায়গায় গ্রীড লাইন যাওয়া কষ্টকর সেখানে সোলার প্যানেল দিচ্ছি। এখানে ৪৬ হাজার সোলার হোম করা হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ঐ এলাকার মানুষ যেন আর দরিদ্র না থাকে, সেজন্য সকল ধরনের উদ্যোগ তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, থানছিসহ বিভিন্ন এলাকার স্কুলগুলোকে আবাসিক স্কুল করে দেয়ারও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার লক্ষ্য দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করে গড়ে তোলা।’ প্রধানমন্ত্রী বক্তৃতার শুরুতেই ১লা মার্চ, স্বাধীনতার মাসের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহীদ এবং সম্ভ্রমহারা ২ লাখ মা-বোনের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা পার্বতীপুর থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্বতীপুরে মোবাইলে উপবৃত্তির অর্থ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদের হলরুমে ভিডিও কনফারেন্স শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সেটি শুরু হয় ১০টা ৫৫ মিনিটে। এ সময় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক মীর খায়রুল আলম, উপজেলার সরকারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন বাবু, চান্দেরডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক রূপালী বেগম টেলি কনফারেন্সে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষিত হয়েছে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা। বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর গণভবন থেকে যে ১০টি উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত হিসাবে ঘোষণা দেন তন্মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের এই উপজেলাটি। প্রধানমন্ত্রী দুপুরে গণভবন থেকে যখন বিদ্যুতায়িত ১০টি উপজেলার নাম ঘোষণা করেন তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, পটিয়া আসনের এমপি শামসুল হক চৌধুরী, বিভাগীয় কমিশনার রুহুল আমিন এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. সামসুল আরেফিন। চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলা শিল্পসমৃদ্ধ একটি উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে বেশ ক’টি রাষ্ট্রায়ত্ত স্থাপনাও। কর্ণফুলী টানেলকে সামনে রেখে ওই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। উন্নয়ন সম্ভাবনা দেখে বেসরকারী খাতও এগিয়ে এসেছে। আনোয়ারায় প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে চীনা ইকোনমিক জোন। টার্নেল নির্মিত হলে কর্ণফুলী উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হয়ে যাবে। সার্বিক বিবেচনায় কর্ণফুলীকে ঘিরে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে। এ উপজেলায় ১৮৫ কিলোমিটারেরও বেশি লাইন নির্মিত হয়েছে। পল্লী বিদ্যুত সমিতি বিদ্যুতায়নের কাজ করছে। সেখানে স্থাপন করা হয়েছে দুটি বিদ্যুত উপকেন্দ্র। ২৮ কোটি টাকায় বাস্তবায়ন করা বিদ্যুত লাইনের অধীনে এর মধ্যেই ২২ হাজার ৯৯৭টি সংযোগ দেয়া হয়েছে। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা হবিগঞ্জ থেকে জানান, বুধবার দুপুরে হবিগঞ্জের শাহজিবাজার ৩৩০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুত কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রায় ২৮ কোটি ৪৩ লাখ ৭২ হাজার ২৭১ টাকা ব্যায়ে এবং ১৬ দশমিক ৬৩ একর ভূমির ওপর নির্মিত হবিগঞ্জের উপজেলা মাধবপুরের শাহজিবাজার ও বাঘাসুরা নামক স্থানে প্রাকৃতিক গ্যাস চালিত এই বিদ্যুত কেন্দ্রটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে সরাসরি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় জেলা প্রশাসক সাবিনা আলমের সভাপতিত্বে সংশ্লিষ্ট সভা কক্ষে উপস্থিত থেকে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আলহাজ এ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ-৪ আসনের এমপি এ্যাডভোকেট মাহবুব আলী, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক উপ-সচিব মোঃ সফিউল আলম, এসপি জয়দেব কুমার ভদ্র প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, জামালপুর আশেক মাহমুদ সরকারী কলেজ মাঠে স্থাপিত মঞ্চে দশ সহস্রাধিক জনতার সামনে বুধবার দুপুরে ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিদ্যুত কেন্দ্রটি উদ্বোধন করেন। জামালপুর আশেক মাহমুদ কলেজ মাঠে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্স মঞ্চে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরা, সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহ উদ্দিন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট বাকী বিল্লাহ, পুলিশ সুপার ভারপ্রাপ্ত রওনক জাহান প্রমুখ। জামালপুরের ভিডিও কনফারেন্স মঞ্চ থেকে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পাওয়ার প্যাক মুতিয়ারা জামালপুরের ৯৫ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্র শুভ উদ্বোধনের জন্য জামালপুরবাসীর পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা জামালপুর থেকে জানান, টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শতভাগ বিদ্যুতায়ন ঘোষণা উপলক্ষে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য খন্দকার আসাদুজ্জামান ও জেলা প্রশাসক মাহবুব হোসেন। এ সময় টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, পুলিশ সুপার মাহবুব আলমসহ সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা, বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দ্রুততম সময়ের মধ্যে পুরো টাঙ্গাইল জেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে সারা উপজেলায় উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। উপজেলা পরিষদ চত্বর বর্ণিল সাজে সাজানো হয়। উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করায় আনন্দিত এলাকাবাসী। স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, শেখ হাসিনার উদ্যোগ- ঘরে ঘরে বিদ্যুত স্লোগানে জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার দুপুরে কার্যক্রমটির উদ্বোধন করেন তিনি। কার্যক্রমটির উদ্বোধন উপলক্ষে টঙ্গীবাড়ী উপজেলা মিলনায়তনে বিদ্যুত ও জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শায়লা ফারজানা। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক, শিক্ষা ও আইসিটি) হারুন-অর-রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ লুৎফর রহমান, টঙ্গীবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শহিদুল হক পাটোয়ারী, পল্লী বিদ্যুত সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মাহবুবুর রহমান, পল্লী বিদ্যুত সমিতির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মোল্লা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জগলুল হাওলাদার ভুতু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যন রাহাত খান রুবেল, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যন এমিলি পারভীন, ইউপি চেয়ারম্যান লিটন মাঝি, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির টঙ্গীবাড়ী উপজেলা ডিজিএম আবু আশরাফ মোঃ সালেহ, এজিএম মোঃ শফিকুল ইসলামসহ উপজেলার অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল থেকে জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার দুপুরে বরিশালের সামিট ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। বরিশাল বিদ্যুত বিভাগ, বিদ্যুত ও জ্বালানি খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সামিট ১১০ মেগাওয়াট বিদ্যুত কেন্দ্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান। স্টাফ রিপোর্টার, যশোর থেকে জানান, মেহেরপুরের মুজিবনগরকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করছেন। এ সময় মেহেরপুরের এক সুবিধাভোগী প্রধানমন্ত্রীকে মুজিবনগরে আসার আমন্ত্রণ জানান। প্রধানমন্ত্রীও আশ্বাস দেন এখানে আসার। মুজিবনগর উপজেলা চত্বরে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গোপালগঞ্জ থেকে নিজস্ব সংবাদদাতা জানান, জেলার কোটালীপাড়া উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। বুধবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে বসে কোটালীপাড়া শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে এক ভিডিও-কনফারেন্সের মাধ্যমে এ কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেছেন।
×