ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কোন বক্তব্য থাকলে আদালতে পেশ করার আহ্বান আইনমন্ত্রীর

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ১ মার্চ ২০১৭

কোন বক্তব্য থাকলে আদালতে পেশ করার আহ্বান আইনমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিুসল হক বলেছেন, রাজন-রাকিব হত্যা মামলার পর কুনিও হোশি হত্যা মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির মাধ্যমে সারাদেশে দ্রুত বিচারের দৃষ্টান্ত তৈরি হচ্ছে। জাপানী নাগরিক কুনিও হোশিকে হত্যার দায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি দল জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ জঙ্গীর ফাঁসির রায়ের পর মঙ্গলবার সচিবালয়ের নিজ দফতরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। জনসাধারণকে কষ্ট না দিয়ে কোন বক্তব্য থাকলে তা আদালতে উপস্থাপন করতে ধর্মঘটী পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী। ‘জনগণকে কষ্ট না দিয়ে বক্তব্য থাকলে সেটা স্পষ্ট করেন, যদি সেটা যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহলে আমি বলতে পারি, এটা দেখা হবে। কিন্তু যদি অযৌক্তিক হয়, তাহলে এটা দেখা হবে না।’ আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘এটাও কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে একটা খুনের মামলা শেষ করার অত্যন্ত উজ্জ্বল উদাহরণ। যে গতি বিচারিক আদালতে এসেছে, এই গতি ধরে রাখলে নতুন করে মামলা জট হবে না। এ রকমভাবে আগে দেখেছেন, রাজন-রাকিব হত্যা মামলা অত্যন্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে সকল আইনানুগ প্রক্রিয়াসম্পন্ন করে বিচারিক কাজ শেষ করেছিলাম। ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘কুনিও হোশির ঘটনার পর আরও কিছু ঘটনা আমরা দেখেছি। তিনজন বিদেশির ঘটনা খুব তাড়াতাড়ি ঘটে। এরপর যখন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যখন ব্যবস্থা নিতে শুরু করে, তখন এসব ঘটনা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।’ হলি আর্টিজানের পরেও অনেকে বলেছে, বাংলাদেশ এই ধাক্কা সামলে উঠতে পারবে না। কিন্তু আমরা দেখেছি, ওই ঘটনার পরও বাংলাদেশ ওই ধকল সামলে উঠেছে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপনারা দেখেছেন, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ক্রিকেট টিমের সঙ্গে খেলেছে। সেখানে কোন সমস্যা হয় নাই। তারপরও কেন কানাডা তার হকি টিমকে আসতে দেয় নাইÑ সেটা আমি জানি না। তারা সিদ্ধান্ত কিসের ভিত্তিতে নেন, সেটা আমাদের জানা নাই। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও বলেন, আমি মনে করি, রায়ের প্রেক্ষাপটে ধর্মঘট দুঃখজনক। যারা ধর্মঘট করছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমি কেবল এইটুকু বলতে চাই, আপনাদের যদি কোন বক্তব্য থাকে, আপনারা যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন, তাহলে আদালতের সামনে আপনাদের বক্তব্য উপস্থাপন করতে পারেন। আইনে সেই বিধান আছে। জনগণকে কষ্ট না দিয়ে বক্তব্য থাকলে সেটা স্পষ্ট করেন, যদি সেটা যুক্তিসঙ্গত হয়, তাহলে আমি বলতে পারি, এটা দেখা হবে। কিন্তু যদি অযৌক্তিক হয়, তাহলে এটা দেখা হবে না। এক প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, এটা আদালত অবমাননা কি না, সেটা নির্ভর করে, আদালত এটাকে কীভাবে গ্রহণ করবে তার ওপর। অবমাননার ব্যাপারটা আদালতের বিবেচ্য। আদালত যদি মনে করে, আমি এটা ধর্তব্যের মধ্যে ধরব না, তাহলে এটা অবমাননা মনে করবেন না। এটাই আইন। আর যদি তিনি অবমাননা মনে করেন, তাহলে এটা অবমাননা হিসেবে নেয়া যাবে।
×