ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

খননের অভাবে মরে যাচ্ছে ২০ খাল

প্রকাশিত: ০৪:৫৬, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

খননের অভাবে মরে যাচ্ছে ২০ খাল

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ২৪ ফেব্রুয়ারি ॥ বাউফল উপজেলার অভ্যন্তরে ছোট বড় ২০ খাল এখন মৃতপ্রায়। খননের অভাবে ওই সব খালে পানি প্রবাহ কমে গিয়ে নৌ চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। সেচের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কাজ। বাউফলের পূর্ব-উত্তরে তেঁতুলিয়া ও পশ্চিমে লোহালিয়া নদী থেকে এসব খালের উৎপত্তি হয়। প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষি জমিতে পানি সেচ এবং পণ্য পরিবহনের কাজে খালগুলো ব্যবহার হয়ে আসছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এসব খাল পুনঃখনন এবং সংস্কার না করার কারণে তলদেশ ভরাট হয়ে মরে যাচ্ছে। ফলে পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় খালগুলো এখন সরু শুকনো নালায় পরিণত হয়েছে। বাউফল-কালাইয়া খাল দিয়ে এক সময়ে ছোট বড় নানা ধরনের নৌযান চলাচল করত। এই খালটির বর্তমান অবস্থা এতটাই শোচনীয় ভাটার সময় বিন্দু পরিমাণ পানি থাকে না। এই খাল দিয়ে বাউফল এবং পার্শ¦বর্তী দশমিনা উপজেলার সাধারণ মানুষ পণ্য পরিবহন করত। কৃষিকরা জমিতে সেচ দিত। কালাইয়া-বাউফল ও বগা খালটিই ছিল সারাদেশের সঙ্গে অভ্যন্তরীণ নৌ যোগাযোগের একমাত্র রুট। বরিশাল, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এই খাল দিয়ে পণ্য আনা নেয়ার কাজ করত স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এই খালটির বিভিন্ন স্থানে পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে পণ্য পরিবহনের কাজ। বাউফল-নওমালা খালটি ১০ বছর ছিল উপজেলা সদরের সঙ্গে ওই ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। কিন্তু সময়ে বিবর্তনে পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে এই খালটি দিয়ে পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন। মৃতপ্রায় এই খালটিতে শুকনো মৌসুমে একটুও পানি থাকে না। এছাড়াও গোলাবাড়ি-নুরাইনপুর খাল, আলুলতার খাল, মদনপুরা ইউনিয়নের দরগা বাড়ির খাল, আলকি খাল, সোনামুদ্দিন-কনকদিয়ার খালসহ ছোট বড় ২০টি খালে পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা এখন মৃতপ্রায়। জরুরী ভিত্তিতে এসব খাল খনন করা না হলে অচিরেই খালগুলোর অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে। বিপর্যয় ঘটবে কৃষি ক্ষেত্রে। এ ব্যাপারে পটুয়াখালী জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হাসানুজ্জামান বলেন, অনেক খালই আমাদের ফোল্ডারভুক্ত নয়। যে সব খাল আমাদের ফোল্ডারভুক্ত নয় সেই সব খাল ফোল্ডারভুক্ত করার কাজ চলছে এবং তার পাশাপাশি বেশ কিছু খাল খননের জন্য প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। বাউফল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, পলি জমে ভরাট হয়ে যাওয়া খালগুলোকে খনন করা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনে আমরা ১৬টি খাল খননের জন্য প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি।
×