ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

আট গোলের ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় ম্যানসিটির

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

আট গোলের ম্যাচে রোমাঞ্চকর জয় ম্যানসিটির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আট গোলের রোমাঞ্চকর ম্যাচ জিতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলের কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব ম্যানসিটি ৫-৩ গোলে হারিয়েছে ফরাসী ক্লাব মোনাকোকে। ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের ইতিহাদ স্টেডিয়ামে পুরো ম্যাচ জুড়েই ছিল দারুণ উত্তেজনা, রোমাঞ্চ আর নাটকীয়তা। শেষ পর্যন্ত বিজয়ীর হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে পেপ গার্ডিওলার দল। সিটির জয়ে জোড়া গোল করেন আর্জেন্টাইন তারকা সার্জিও এ্যাগুয়েরো। এর মধ্য দিয়ে তিনি সেরা একাদশে সুযোগ না পাওয়ার দাঁতভাঙ্গা জবাব দিয়েছেন। সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাজিলিয়ান তারকা গ্যাব্রিয়েল জেসুসের উত্থানে জায়গা নড়বড়ে হয়ে গেছে এ্যাগুয়েরোর। কিন্তু ইনজুরির কারণে জেসুস মাঠের বাইরে থাকায় এ ম্যাচে সেরা একাদশে ঠাঁই পান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। সুযোগ পেয়েই বাজিমাত করেছেন তিনি। সিটির হয়ে অপর গোলগুলো করেন রাহিম স্টার্লিং, জন স্টোনস ও লিরয় সানে। মোনাকোর হয়েও জোড়া গোল করেন রাদামেল ফ্যালকাও। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পরাজিত দলেই থাকতে হয়েছে উরুগুইয়ান এই ফরোয়ার্ডকে। দু’দলের ফিরতি লেগের ম্যাচটি হবে আগামী ১৫ মার্চ মোনাকোর মাঠে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগে এই প্রথম ম্যানচেস্টার সিটির বিরুদ্ধে খেলল মোনাকো। প্রথম ম্যাচেই ইংলিশ জায়ান্টদের ঘাড় চেপে ধরেছিল ফরাসী ক্লাবটি। তবে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে দুইবার পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। স্কোরলাইন ম্যাচের ঠিক আবহ ফুটিয়ে তুলতে পারছে না, কারণ দুই দফায় গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল মোনাকো। আর দুইবারই সিটির রক্ষাকর্তা হিসেবে এগিয়ে এসে দলকে বিপদমুক্ত করেন এ্যাগুয়েরো। নিজেদের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে সিটি। ফল আসে প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সময়ে। ২৬ মিনিটে ইংলিশ মিডফিল্ডার রাহিম স্টার্লিং গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে সিটিকে খুব বেশিক্ষণ স্বস্তিতে থাকতে দেননি রাদামেল ফ্যালকাও। দারুণ এক হেড করে দলকে সমতায় ফেরান এই তারকা স্ট্রাইকার। গোলটি করেন তিনি ৩২ মিনিট। ম্যাচের প্রথমার্ধেই লিড নেয় সফরকারীরা। ৪০ মিনিটে কিলিয়ান বাপের কোনাকুনি শট সিটির জালে জড়িয়ে গেলে এগিয়ে যায় মোনাকো। বিরতির পর ৫৮ মিনিটে সিটিকে সমতায় ফেরান এ্যাগুয়েরো। সমতা ফিরিয়েও স্বস্তি পায়নি স্বাগতিকরা। তিন মিনিট পর আবারও এগিয়ে যায় মোনাকো। ফ্যালকাওয়ের দারুণ গোলে সিটিকে চাপে ফেলে দেয় ফরাসী ক্লাবটি। ৭১ মিনিটে সিটিকে বিপদমুক্ত করেন এ্যাগুয়েরো। ডেভিড সিলভার দারুণ কর্নার থেকে বল পেয়ে গোল করেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তবে শেষদিকে এসে খেই হারিয়ে ফেলে মোনাকো। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে দুই গোল করে দারুণ রোমাঞ্চকর জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিটি। ৭৭ মিনিটে সিটিকে এগিয়ে দেন জন স্টোনস। আর ৮২ মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার সানের গোলে ব্যবধান আরও বাড়ে। এই ম্যাচর আগে সবধরনের টুর্নামেন্টে সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে দুই দলেরই চারটি করে জয় একটি করে ড্র ছিল। ফর্ম বিচার করে তাই কোন দলকে এগিয়ে রাখা কঠিন ছিল। মাঠের লড়াইয়েও এ প্রমাণ মিলেছে। লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। চ্যাম্পিয়ন্স লীগের অভিজ্ঞতা সিটির চেয়ে মোনাকোরই বেশি। সিটি সর্বোচ্চ সেমিফাইনালে খেলেছে, সেটাও মাত্র গত মৌসুমেই। এর আগে কখনও শেষ ষোলোই পেরোতে পারেনি। মোনাকো ২০০৩-০৪ মৌসুমেই ফাইনাল খেলে হেরেছে পোর্তোর কাছে। এর বাইরেও সেমিফাইনাল খেলেছে আরও দুবার। কিন্তু অভিজ্ঞতা বেশি থাকলেও এবার গার্ডিওলার অভিজ্ঞতার কাছে হারতে হয়েছে মোনাকোকে।
×