কুয়াকাটায় পাঁচ বছর ধরে ফেরি বন্ধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, কলাপাড়া, ২২ ফেব্রুয়ারি ॥ কলাপাড়া-কুয়াকাটা বিকল্প সড়কের বালিয়াতলীর ফেরি পারাপার চার বছর ধরে বন্ধ হয়ে আছে। ফেরিটি চরে আটকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে বিকল্প পথে কুয়াকাটায় পর্যটকের গাড়ি নিয়ে চলাচল বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন ফেরিটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় যন্ত্রপাতি পর্যন্ত চুরি হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া ফেরিঘাটের পন্টুন, গ্যাংওয়ে খেয়াঘাটের ইজারাদার তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করছে। উপজেলা পরিষদ নিয়ন্ত্রিত এ ফেরিটি চালুর কোন উদ্যোগ নেই। জানা গেছে, এলজিইডির পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প-২৫ এর আওতায় দেশী কারিগরি সহযোগিতায় তৈরি মেকানাইজড ফেরিটি বালিয়াতলী পয়েন্টে আন্ধারমানিক নদীর শেষ প্রান্তে স্থাপন করা হয়। ফেরিটি ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর উপজেলা পরিষদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর ব্যবস্থাপনাও তাদের হাতে ন্যস্ত করা হয়। উপজেলা পরিষদ বাংলা ১৪১৬ সালের জন্য ২৬ হাজার টাকায় ইজারা প্রদান করে। ফেরিটি চালু হওয়ার পরে পর্যটকরা স্বাচ্ছন্দ্যে বিকল্প এ সড়কে গাড়ি নিয়ে পর্যটন সমৃদ্ধ কুয়াকাটা ছাড়াও গঙ্গামতি কাউয়ারচরসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্পট দেখার সুযোগ পায়। এছাড়া এ পথে চলাচলকারী বালিয়াতলী, ধুলাসার, লালুয়া, মিঠাগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়। লাঘব হয় দুর্ভোগ। কিন্তু কিছুদিন যেতেই ফেরিটির ইঞ্জিন গ্যাংওয়ে, পন্টুন বিকল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনের একটি পাখা ভেঙ্গে তিন বছর পারাপার বন্ধ থাকে। এরপর কয়েক দিনের জন্য চালু হয়ে ফের বন্ধ হয়ে গেছে। এরপর আর চালু হয়নি। প্রায় পাঁচটি বছর ফেরিটি চরে কাদার ওপরে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বহু লোহা-লক্কর যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। ফলে চারটি ইউনিয়নের এক লাখ সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, পর্যটক সবাই দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। আর এ সুযোগে খেয়ার ইজারাদার খুশিমতো ভাড়া নিচ্ছে যাত্রীদের কাছ থেকে। স্থানীয়রা জানায়, অনেক আগেই ফেরির টন পাইপ ও পাখার সঙ্গে রড বেঁধে দেয়ায় পাখা ভেঙ্গে গেছে। বহু মালামাল চুরি হয়ে গেছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।