ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নলকূপে বিদ্যুত সংযোগ নেই ॥ দেড়শ একর জমিতে সেচ বন্ধ

প্রকাশিত: ০৫:০৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

নলকূপে বিদ্যুত সংযোগ নেই ॥ দেড়শ একর জমিতে সেচ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ ফুলবাড়ী উপজেলার শিবনর ইউপির মধ্যসুলতানপুর এলাকায় অগভীর নলকূপে বিদ্যুতের সংযোগ না পাওয়ায় দেড়শ একর জমি সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত এলাকার কৃষক। অভিযোগ রয়েছে, বৈধ কাগজপত্র জমা দিয়ে ৭ মাস বিদ্যুত অফিসে ধর্না দিয়েও বিদ্যুতের সংযোগ মিলছে না। উপজেলার মধ্যসুলতানপুর গ্রামের মৃত জামাল উদ্দিনের পুত্র ফয়েজ উদ্দিন উপজেলা সেচ কমিটি থেকে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স অনুমোদন করেন। এরপর ফুলবাড়ী বিদ্যুত সরবরাহ অফিসে সংযোগ নেয়ার জন্য আবেদন করেন। একই সঙ্গে ব্যাংকে টাকা জমা দেন। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র থাকার পরও তিনি বিদ্যুত সংযোগ পাচ্ছেন না। এর মধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৭ মাস। ফলে ঐ এলাকার প্রায় দেড়শ একর জমিতে ইরি বোরো ধান রোপণ প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেননা সেখানে সেচের কোন ব্যবস্থা নেই। এদিকে ঐ গ্রামের মৃত মছির উদ্দিন এর পুত্র বুলবুল হোসেন আদালতে ফয়েজ উদ্দিনের বিরুদ্ধে একটি মিত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ফয়েজ উদ্দিনের অগভীর নলকূপ থেকে ৯শ’ ফিট দূরে বিএডিসির একটি গভীর নলকূপ বসানো রয়েছে। এ কারণেই ফয়েজ উদ্দিনের নতুন অগভীর নলকূপে বিদ্যুত সংযোগ দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। অথচ সেখানে বসানো বিএডিসির গভীর নলকূপটি ৫/৭ বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই গভীর নলকূপটি দীর্ঘদিন ধরে চালু না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা বাধ্য হয়ে নতুন অগভীর নলকূপ স্থাপন করেছেন। কিন্তু বিদ্যুত সংযোগ না পাওয়ায় নতুন অগভীর নলকূপটি তারা চালু করতে পারছেন না। ফয়েজ উদ্দিন জানান, আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরকারী বুলবুল হোসেন এলাকার বন্ধ থাকা গভীর নলকূপের সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত নন। তিনি মিথ্যা মামলা দিয়ে আমার অগভীর নলকূপটির নতুন বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ রেখেছেন। মামলায় বিএডিসির গভীর নলকূপটি চালু রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ফয়েজ উদ্দীন জানান, অগভীর নতুন নলকূপটিতে বিদ্যুত সংযোগ দেয়া না হলে, সেচের অভাবে চলতি বছর এলাকার শতাধিক কৃষক ইরি বোরো ধান চাষ করতে পারবেন না। সেখানে অন্য কোন নলকূপ থেকেও সেচ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই। এর ফলে এলাকার প্রায় দেড়শ একর জমি অনাবাদী হয়ে পড়ে থাকবে। কৃষকরা হবেন ক্ষতিগ্রস্ত।
×