ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

উবাচ

ওভারলোডেড স্টাফ রিপোর্টার ॥ আর পারছেন না ওবায়দুল কাদের! আগে শুধু মন্ত্রণালয় সামলাতে হতো এখন কাঁধে দলের বড় দায়িত্ব। তিনি নিজেই বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার আগে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ দেখতে দেড় শতাধিকবার গিয়েছি। ভোর সাড়ে পাঁচটা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত টেলিফোনে, সামনা-সামনি কিংবা অফিসে যে কাজ করতাম তারপর আর কাজ খুঁজে পেতাম না। এখন দলের সেক্রেটারি হয়ে কাজ বেড়ে গেছে। আগে আমাকে জনসভায় ডাকত, কিন্তু আমি যেতাম না। এখন দলের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় আমাকে যেতে হয়। আই এ্যাম ওভারলোডেড। তিনি আরও বলেন ‘আমি সহজে প্রোগ্রাম শিডিউল দেই না। যদি কোন শিডিউল দিয়ে থাকি, তবে সেখানে আমি মন্ত্রীর ব্যস্ততা নিয়ে উপস্থিত থাকি না। মন্ত্রীরা কোন অনুষ্ঠানে গেলেই উদ্যোক্তারা মাইকে বলতে থাকেন, মন্ত্রী সাহেব শত ব্যস্ততার মাঝে এসেছেন। ‘ব্যস্ত মন্ত্রী’ শুনতে আমার ভাল লাগে না। মন্ত্রী হয়েছি ব্যস্ত থাকার জন্য। ব্যস্ত না থাকলে আবার মন্ত্রী কী? মন্ত্রী কি শুয়ে বসে সময় কাটাবে? আমি মন্ত্রী হয়েছি তাই মঞ্চে বসে থাকব, ঘরে ঘুমিয়ে থাকব এমন মন্ত্রিত্ব দরকার নাই। তিনি বলেন ‘একটি হাসির নাটক দেখতাম, সেখানে ব্যস্ত ডাক্তার নামে একজন নায়ক ছিল। বাংলাদেশে ‘ব্যস্ত মন্ত্রী’ নামে একটা নাটক হওয়া দরকার। সরে যান! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথমে বিএনপি বলল তাদের পছন্দের হয়নি সার্চ কমিটি। ফলে এই কমিটি তাদের প্রত্যাশার নির্বাচন কমিশন দিতে পারবে না। এবার যখনই রাজনৈতিক দলের কাছে নাম চাইল বিএনপি তার মিত্রদের সঙ্গে ডে-নাইট বৈঠক করে নাম ধাম দিয়ে এলো। এবার সার্চ কমিটি বিএনপির তালিকায় থাকা ব্যক্তিদের নামও সুপারিশ করলেন। তাদের একজন নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বও পেলেন। কিন্তু শুরু হলো প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে। একজন মানুষ দায়িত্ব নিতে পারলেন না, তিনি কেমন কাজ করবেন তাও দেখলেনও না, আগেই বলছে না না এটা হবে না ওটা চলবে না। এ কেমন রাজনীতি! দলটির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, এখন যাকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার করা হয়েছে তিনি জনতার মঞ্চের লোক ছিলেন বলে আমরা চারদিক থেকে খবর পাচ্ছি। যদিও তিনি বলছেন, তিনি ছিলেন না। তখন তিনি একটি জেলার ডিসি ছিলেন। জেলাগুলোতেও তখন জনতার মঞ্চ হয়েছে, সেখানেও আমলা বিদ্রোহ হয়েছিল তখনকার সরকারের বিরুদ্ধে। যারা একবার ডিসিপ্লিন ব্রেক করে, শৃঙ্খলা ব্রেক করে, বিদ্রোহ করে তাদের পক্ষে নিরপেক্ষভাবে কোন কাজ করা কঠিন। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়েছে এবং মানুষের মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, এ কারণে তাকে বাছাই করা হয়েছে। নরক? স্টাফ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি সাড়ে ছয় এর উপরে। বিগত কয়েক বছর ধরেই অর্থনৈতিক উন্নয়নের এই চিত্র দেখে প্রশংসায় ভাষাচ্ছে উন্নয়ন আর দাতা সংস্থার প্রধানরা। বিশ্বব্যাংক বলল তারা পদ্মা সেতু নির্মাণে আর ঋণ দিতে চায় না। বাংলাদেশ বলল দরকার নেই। আমাদের টাকা দিয়েই আমরা পদ্মা সেতু করব। এমন নজির এর আগে আর কোন দিন বাংলাদেশে দেখা যায়নি। এর মধ্যে বড় বড় বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে এলএনজি টার্মিনাল। এসবই বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের প্রকল্প। আজকের বাংলাদেশ যে স্বপ্ন দেখছে তা গত দশ বছর আগে কেউ কি কোন দিন দেখেছিল? বুকে হাত দিয়ে সত্য কথা বললে বলতে হবে না দেখেনি। সামগ্রিকভাবে এই অর্জনের অংশীদারিত্ব রয়েছে প্রতিজন বাংলাদেশীর। জনগণের সহায়তা না পেলে উন্নয়নের এই গতি থমকে যেত। বিএনপি মহাসচিব অবশ্য বলছেন, প্রতিদিন খবরের কাগজ খুলে দেখবেন, আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্ব, এ ওকে গুলি করছে, এ ওকে মারছে। কী নিয়ে দ্বন্দ্ব? লুটের বখরা নিয়ে। সমাজকে তারা এমন একটা জায়গায় নিয়ে চলে গেছে, যেখানে কোন কিছুর কোন জবাবদিহিতা নেই, যেখানে কোন কিছুর নিশ্চয়তা নেই, জনগণের স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নাই, মা-বোনের ইজ্জতের কোন গ্যারান্টি নেই, শিশুরাও রক্ষা পায় না। আজকে এই সরকার গোটা বাংলাদেশকে নরকে পরিণত করেছে। যদিই সত্যি দেশটা নরক হয়ে যায়, তাহলে নরকের আবার এত উন্নয়ন হয় কি করে!
×