ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

‘তবে’ বহাল রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাসের সুপারিশ

প্রকাশিত: ০৪:৫৩, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

 ‘তবে’ বহাল রেখে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন পাসের সুপারিশ

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিভিন্ন মহলের আপত্তি সত্ত্বেও ‘তবে’ বিধান বহাল রেখে বহুল আলোচিত ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন-২০১৬’ শীর্ষক বিলটি পাসের সুপারিশ করেছে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন কমিটির সভাপতি রেবেকা মোমিন। প্রতিবেদনে নারীদের পাশাপাশি পুরুষদেরও বিশেষ ক্ষেত্রে বিয়ের বয়সে ছাড় দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ডেপুটি স্পীকার এ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশনের শুরুতে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পাসের সুপারিশ করে কমিটির পক্ষ থেকে সংসদে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়। এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর সংসদে বিলটি উত্থাপন করেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। দু’দফা বৈঠকের পর বিলটি চূড়ান্ত করে কমিটি। আলোচিত ওই বিলে বিয়ের জন্য ছেলের বয়স ন্যূনতম ২১ বছর ও মেয়ের বয়স ১৮ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ বিধানের কথাও বলা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘এই আইনের অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপটে অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং বাবা-মা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে, বিধি দ্বারা নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসরণক্রমে, বিবাহ সম্পাদিত হইলে উহা এই আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে না’। সংসদে উত্থাপিত বিলের ৩ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার, বিধিমালা দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে জাতীয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি সমন্বয়ে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটি গঠন করতে পারবে। আরও বলা হয়েছে, এই আইনের বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারী কর্মকর্তারা বাল্যবিবাহ বন্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন। বিলের ৫নং ধারায় বাল্যবিবাহ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে আদালতকে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করলে অনধিক ৬ মাসের কারাদ- বা ১০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। মিথ্যা অভিযোগের জন্য একই দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। বিলে কোন নারী ও পুরুষ বাল্যবিবাহ করলে দুই বছরের কারাদ- বা অনধিক এক লাখ টাকা অর্থদ- অথবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। আর এ ধরনের বিয়েকে মা-বাবাসহ অন্যদের শাস্তি দুই বছরের কারাদ- বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দ-ের বিধান রাখা হয়েছে। একইভাবে বাল্যবিবাহ নিবন্ধনের জন্য শাস্তি ও লাইসেন্স বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। রোহিঙ্গা ইস্যুটি পররাষ্ট্রনীতির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সংসদ রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির যতগুলো চ্যালেঞ্জ রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম রোহিঙ্গা ইস্যু বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। তিনি বলেন, আমাদের ফরেন পলিসিতে (কূটনৈতিক) যতগুলো চ্যালেঞ্জ আছে তার মধ্যে অন্যতম রোহিঙ্গা ইস্যু। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে সংসদের কমিটি কক্ষের সামনে দীপু মনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। কমিটি সভাপতি ডাঃ দীপু মনির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, মুহাম্মদ ফারুক খান, সোহরাব উদ্দিন, রাজী মোহাম্মদ ফখরুল ও সেলিম উদ্দিন অংশগ্রহণ করেন।
×