ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

জনগণ এখন আর হাওয়া ভবনের রাজনীতি চায় না ॥ নাসিম

প্রকাশিত: ০৫:২৮, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

জনগণ এখন আর হাওয়া ভবনের রাজনীতি চায় না ॥ নাসিম

স্টাফ রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ ॥ বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, এ দেশের জনগণ এখন আর হাওয়া ভবনের রাজনীতি চায় না। রাজনীতি করতে হলে রাস্তায় নামতে হবে, মার খেতে হবে। নির্বাচন ছাড়া বিএনপির কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০১৯ সালে খালেদা জিয়াকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচনে আসতে হবে। সেই নির্বাচনে উন্নয়ন ও জনগণের ভালবাসা নিয়ে আওয়ামী লীগ ফের ক্ষমতায় আসবে। শেখ হাসিনাই হবেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুক্রবার বিকেলে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে এক বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল হকের সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজী ম. ম আমজাদ হোসেন মিলন এমপি ও মন্ত্রীপতœী বেগম লায়লা নাসিম। এ ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান, তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কুমার কর্মকার, উল্লাপাড়া পৌর মেয়র মারুফ বিন হাবিব, রায়গঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুল্লাহ আল পাঠান, জেলা আওয়ামী লীগের আব্দুস সামাদ তালুকদার, হাজী ইসহাক আলী, দানিউল হক দানী, আব্দুল হাকিম জিহাদ আল ইসলাম প্রমুখ জনসভায় উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়ামের সদস্য নির্বাচিত হবার পর মোহাম্মদ নাসিম তাড়াশে এলে তাড়াশ-রায়গঞ্জ নির্বাচনী এলাকার মানুষ দুপুর থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে মিছিল সহকারে তাড়াশ ডিগ্রী কলেজ মাঠে এসে সমবেত হন। বিকেল তিনটার মধ্যেই তাড়াশ কলেজ মাঠ কানায় কানায় ভরে ওঠে। মোহাম্মদ নাসিম ঠিক বিকেল সাড়ে চারটায় কলেজ মাঠের জনসভাস্থলে পৌঁছান। গগনবিদারী সেøাগান এবং ফুল ছিটিয়ে জনসভায় নেতাকর্মীরা মোহাম্মদ নাসিমকে বরণ করে নেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহধর্মিণী বেগম লায়লা নাসিম। তাঁকেও নেতাকর্মীরা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম জঙ্গী দমন এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার সফলতার কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা খালি মাঠে গোল দিতে চাই না। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এ নির্বাচনেও জনগণ আবারও আওয়ামী লীগকেই ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালের নির্বাচনী মাঠে বিএনপির সঙ্গে মোকাবিলা করে জনগণের ভোটে আমরা জয়ী হবো। নৌকার বিজয় হবে, ধানের শীষ হারবে। মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সার্চ কমিটি গঠন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা বলে তা করেছেন। যাদের নাম সার্চ কমিটিতে আছে তারা সবাই খ্যাতিমান ব্যক্তি। ‘বিচারকরা কোন দল করেন না। কোন শিক্ষক কি দল করেন? তারা পেশায় আছেন তাদের নিজেদের যোগ্যতা বলে। তারা সবাই বাংলাদেশের মানুষের কাছে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তারা নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য পাঁচজন ব্যক্তির নাম ঠিক করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠাবেন। রাষ্ট্রপতির গঠিত সার্চ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বিএনপিকে নির্বাচন করতে হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মাঝেমধ্যে উল্টাপাল্টা কথা বলে দাম বাড়াচ্ছেন। নির্বাচন না করলে ধানের শীষ আর খুঁজে পাওয়া যাবে না। কোন অজুহাত দেখিয়ে মিথ্যা আন্দোলনের ধুয়া তুলে লাভ নাই। বিএনপির আন্দোলন কি তা জনগণ দেখেছে। শেখ হাসিনা উন্নয়নের নেত্রী উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব বাংলাদেশের উন্নয়নে প্রশংসা করেছে। ছিটমহল উদ্ধার, পদ্মা সেতু নির্মাণ, বিদ্যুত উৎপাদনসহ সকল ক্ষেত্রেই উন্নয়নের মডেল এখন বাংলাদেশ। তাড়াশের জনসভা শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম মহিষলুটিতে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
×