ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গাছের পাতা বিক্রি করে সংসার চালান মুক্তিযোদ্ধা

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

গাছের পাতা বিক্রি করে সংসার চালান মুক্তিযোদ্ধা

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ ধামইরহাটে ভ্যান চালিয়ে, গাছের পাতা বিক্রি করে সংসার চালান মুক্তিযোদ্ধা মতিবুল ইসলাম। তবে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি। বারবার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেও বিভিন্ন কারণে তা সম্ভব হয়নি। শেষবারের মতো নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান। জানা গেছে, উপজেলার ধামইরহাট ইউনিয়নের আলতাদীঘি (জোতওসমান) গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে মতিবুল ইসলাম (৬৮) মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করলেও তার নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি। এ ব্যাপারে মুক্তিযোদ্ধা মতিবুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মেহেদীপুর ক্যাম্পে অন্য মুক্তিযোদ্ধার সঙ্গে তিনি প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাকি হানাদারবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উপজেলার চকশব্দল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা আজগর আলী মাস্টার, রফিক উদ্দিন মাস্টার ও ময়েজ উদ্দিনসহ অন্য মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে উপজেলার থানা ভবন আক্রমণ, আলতাদীঘি এলাকায় সংঘটিত মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি। স্বাধীনতার পর তার সহযোদ্ধা অনেকে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম লেখালেও তিনি এ বিষয়ে উদাসীন ছিলেন। তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আবেদন করলেও প্রতিহিংসার কারণে সে তালিকা থেকে তার নাম বাদ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি আলতাদীঘি শালবনের গাছের পাতা সংগ্রহ করে নিজে ভ্যান চালিয়ে উপজেলা সদরে ফেরি করে বিক্রি করে সংসার চালান। এক পুত্র ও ২ কন্যাসন্তানের জনক তিনি। নিজের জমিজমা বলতে কিছু নেই। খাস জমিতে বসতবাড়ি নির্মাণ করে কোন রকমে জীবনযাপন করছেন। নেত্রকোনায় পাগলা কুকুর আতঙ্ক ॥ প্রতিষেধক সঙ্কট নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা, ২ ফেব্রুয়ারি ॥ মদন পৌর এলাকা ও চানগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পাগলা কুকুর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। দু’দিনে পাগলা কুকুরের কামড়ে ২০ জন আহত হয়েছেন। হাসপাতালগুলোতে জলাতঙ্কের প্রতিষেধক মিলছে না। এ কারণে আহতদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। জানা গেছে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার মদন পৌর এলাকা ও চানগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পাগলা কুকুরের কামড়ে নাদিম, আছিব, হাদিকা, শাওন, রুবেল, তারিফ, আলভি, খোকন, লিমা সরকার, আনোয়ার, ইসলাম উদ্দিন ও সোহানসহ ২০ জন আহত হন। কুকুরের উপদ্রব থেকে ওই এলাকার গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগিও রেহাই পাচ্ছে না। এদিকে কুকুরের কামড়ে আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলেও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জানানো হচ্ছেÑ সেখানে জলাতঙ্কের কোন প্রতিষেধক সরবরাহ নেই।
×