ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে বিল পাস

ক্যাডেট কলেজ আইন ৪৫ বছর পর পাকিস্তান মুক্ত হলো

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৩১ জানুয়ারি ২০১৭

ক্যাডেট কলেজ আইন ৪৫ বছর পর পাকিস্তান মুক্ত হলো

সংসদ রিপোর্টার ॥ অধ্যাদেশ প্রণয়নের বায়ান্ন বছর ও স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর ‘পাকিস্তান’ মুক্ত হলো ক্যাডেট কলেজ আইন। ১৯৬৪ সালে প্রণীত ক্যাডেট কলেজ অর্ডিন্যান্স সংশোধন করে বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজ বিল ২০১৭ পাস করেছে জাতীয় সংসদ। ফলে বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীনসত্তার সঙ্গে অসঙ্গতি পূর্ণ অধ্যাদেশের ‘পূর্ব পাকিস্তান ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান’, শব্দাবলী মুক্ত স্বাধীন দেশের উপযোগী এই আইনটি গৃহীত হয়। ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সোমবার কতিপয় সংশোধনীসহ কণ্ঠভোটে বিলটি পাস হয়। এর আগে বিলটি পাস করার জন্য প্রস্তাব করেন সংসদকার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। জাতীয় পার্টির কয়েকজন সংসদ সদস্য বিলটি জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। আইনে সরকারী প্রজ্ঞাপন দ্বারা ক্যাডেট কলেজ প্রতিষ্ঠা, সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান হিসেবে কলেজ পরিচালনা পদ্ধতি, জাতীয় পাঠ্যক্রমের পাশাপাশি কলেজ কর্তৃক উপযুক্ত বিষয়ে পাঠদানসহ ক্যাডেটদের প্রাথমিক সামরিক প্রশিক্ষণ প্রদানের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্যাডেট কলেজ অর্ডিন্যান্স ১৯৬৪ দ্বারা বাংলাদেশ ক্যাডেট কলেজসমূহ পরিচালিত হচ্ছে। অর্ডিন্যান্সের মুখবন্ধে ‘পূর্ব পাকিস্তান ও ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তান’, শব্দাবলীর উল্লেখ এখনও বলবৎ রয়েছে, যা বাংলাদেশের সংবিধান ও স্বাধীনসত্তার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। বাংলাদেশ (এডাপটেশন অব এক্সিসটিং ল’স) অর্ডার ১৯৭২ এবং বাংলাদেশ ল’স (রিভিশন এ্যান্ড ডিক্লারেশন) এ্যাক্ট ১৯৭৩ দ্বারা বিদ্যমান সকল আইনের প্রয়োজনীয় অভিজোন হওয়া সত্ত্বেও উল্লেখিত অধ্যাদেশে পূর্ব পাকিস্তান ও পাকিস্তান নামীয় অভিব্যক্তিসমূহ অপরিবর্তিত রয়ে গেছে। বর্ণিত কারণে এবং হাল নাগাদকরণের প্রয়োজনে অধ্যাদেশটি দ্রুত বাংলায় পুনঃপ্রণয়নের প্রয়োজন অনুভূত হয়। ২০ মার্চ ২০১৬ তারিখে আইনের খসড়া চূড়ান্ত হয়। এ সময় ক্যাডেট কলেজ কেন্দ্রীয় পরিষদ ও ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদ কাঠামো পুনর্গঠন করা হয়। নতুন দুটি বিল উত্থাপন ॥ এছাড়াও সোমবার সংসদে নতুন দুটি বিল উত্থাপন করা হয়েছে। উত্থাপিত বিল দুটি হচ্ছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৭ এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বিল, ২০১৭। বিল দুটি উত্থাপন করেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। স্পীকার বিল দুটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা সংসদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে প্রেরণ করেছেন।
×