ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

গাজীপুরে স্কুল ভবনে ফাটল ॥ শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে

প্রকাশিত: ০৪:৪৬, ৩০ জানুয়ারি ২০১৭

গাজীপুরে স্কুল ভবনে ফাটল ॥ শিক্ষার্থীরা  ঝুঁকিতে

স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ দায়িত্বহীনতা ও অবহেলার কারণে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। এতে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হতে চলেছে। ভোগান্তিতে পড়ছে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা। তারা নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। এলাকাবাসী, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নীলের পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করছে। এ বিদ্যালয়ে নীলের পাড়াসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রী লেখাপড়া করছে। বিদ্যালয়ের দুটি ভবনের মধ্যে একটি একতলা ভবন ও অপরটি দ্বিতল ভবন। এরমধ্যে অন্তত দু’যুগ আগে পুনঃনির্মিত দুই কক্ষবিশিষ্ট একতলা ভবনে মাত্র ৭০-৭৫ ছাত্রছাত্রী ক্লাস করতে পারে। ফলে মাত্র একটি ভবনে পাঁচ শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে পাঠদান করা কোনমতেই সম্ভব নয়। তাই ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকদের চাহিদা ও ভোগান্তির কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ওই বিদ্যালয়ের জন্য দ্বিতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব অনুমোদন করে। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক গাজীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় ১৯৯৮ সালে ওই ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট ১৯৯৯ সালে ওই ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করলে তৎকালীন স্থানীয় সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টার নবনির্মিত এ দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়ের ওই দ্বিতল ভবনটির দেয়ালে ও ছাদের ভেতরে-বাইরে বিভিন্ন স্থানে বড় বড় ফাটল সৃষ্টি হয়েছে এবং পলেস্তারা ও ইট খসে পড়ছে। এতে যে কোন সময়ে ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড় বা কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভবনটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছে শিক্ষার্থী, তাদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা। স্কুলটির বেহালদশার কথা উল্লেখ করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ইতোপূর্বে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে একাধিকবার লিখিতভাবে জানিয়েছে এবং প্রতিকারের জন্য আবেদন করেছে। কিন্তু দীর্ঘদিন পার হলেও এখন পর্যন্ত ওই আবেদনের কোন সাড়া মেলেনি। অবহেলা ও দায়িত্বহীনতার কারণে ঝুঁকিতে পড়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা। দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী। ফলে বেহাল এ ভবনে ঝুঁকি নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিদিন ক্লাস করছে। যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাছাড়া বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা প্রতি বছর ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় স্থান সঙ্কট দেখা দিয়েছে। ফলে বিদ্যালয়টির শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। নানা ভোগান্তি পোহাচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
×