ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনাই স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার কমিটি গঠন করেন

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২৯ জানুয়ারি ২০১৭

শেখ হাসিনাই স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার কমিটি গঠন করেন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বর্তমান সরকার দেশের সকল নাগরিকের মানবাধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই জনগণের মানবাধিকার ও মর্যাদা রক্ষায় সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শনিবার সকালে ঢাকায় সোনারগাঁও প্যান প্যাসিফিক হোটেলে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আয়োজিত এক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ভারতীয় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি ডি এল দত্ত, বিশিষ্ট আইনজীবী ব্যারিস্টার এম আমির-উল ইসলাম, ইউএনডিপির কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান বিচারপতি আমিরুল কবির চৌধুরী এবং কমিশনের সর্বক্ষণিক সদস্য মোঃ নজরুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন। আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার মানবাধিকার রক্ষায় শক্তিশালী আইন প্রণয়নের পাশাপাশি মানবাধিকার বিষয়ক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে এবং দেশের এনজিও ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে মানবাধিকারের বিষয়ে কাজ করতে উৎসাহিত করছে। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পরপরই স্বাধীন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করেন। তার সরকারের আন্তরিকতায় ও সহযোগিতায় বর্তমানে এ কমিশনের সক্ষমতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এ কমিশন অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ও স্বাধীনভাবে মানবাধিকার সুরক্ষায় ও উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশের সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী হলেও দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিক অসচ্ছলতা ও অন্যান্য কারণে তাদের এই অধিকার থেকে বঞ্চিত হতেন। তাদের এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেছে এবং এই আইনের অধীন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা গঠন করা হয়েছে। বর্তমানে এই সংস্থা বিনাখরচে দরিদ্র ও অসহায় মানুষকে আইনী সহায়তা প্রদান করে তাদের আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকার প্রতিষ্ঠা করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটছে। এক্ষেত্রে বিচার বিভাগেরও অবদান রয়েছে। আইনমন্ত্রী বলেন, এত কিছুর পরও মানবাধিকার ইস্যুতে কিছুটা চ্যালেঞ্জ রয়েছে সরকারের প্রতি। বিশেষ করে মানবপাচার ও শিশু নিয়ে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক অবস্থা রয়েছে। মানবাধিকার সুরক্ষায় সরকার কিছু সমস্যা মোকাবেলা করলেও সবার সহযোগিতায় তা অতিক্রম করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
×