ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মাছের ঘেরের কারণে নৌ চলাচলে বাধা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ২৭ জানুয়ারি ২০১৭

মাছের ঘেরের কারণে নৌ চলাচলে বাধা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী, ২৬ জানুয়ারি ॥ মাছের ঘেরের কারণে মেঘনা, হাড়িধোয়া, আড়িয়াল খাঁ ও পুরনো ব্রহ্মপুত্র নদের স্বাভাবিক স্রোতধারায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে। নদের মাঝে গাছগাছালির ডালপালা, বাঁশ ও কচুরিপানা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শ’ শ’ ঘের। স্থানীয়ভাবে এই ঘের ‘খেও’ বা খাইর নামে পরিচিত। এসব ঘের মেঘনা, হাড়িধোয়া আড়িয়ালখাঁ ও ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনাসহ মূল মেঘনা শাখাসমূহে ছোট বড় অসংখ্য ডুবোচরের সৃষ্টি করেছে। ফলে কয়েক দশকে নদনদীর মূল স্রোত বাধাগ্রস্ত এবং ভরাট হয়ে মরা নদে পরিণত হয়েছে। ভরাট হয়ে গেছে মেঘনার কয়েকটি শাখা। গতিপথ পরিবর্তিত করেছে মূল মেঘনাও। শুষ্ক মৌসুমে মূল মেঘনায় নৌযান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শাখাসমূহে কোন নৌযান চলাচল করতে পারছে না, দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে নদী পাড়ের হাজার হাজার মানুষ। জানা গেছে নদ নদীতে এসব মাছের ঘের তৈরির আইনগত কোন ভিত্তি নেই। সম্পূর্ণ বেআইনীভাবে তৈরি এসব মাছের ঘের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির অর্থ আয়ের উৎস। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই ঘের তৈরি করে নদীর পানিকে দূষণ ঘটাচ্ছে। অথচ জেলা প্রশাসন রহস্যজনক নীরবতায় বেআইনী মাছের ঘের উচ্ছেদে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। মেঘনা তীরবর্তী মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক সময়ে জেলে সম্প্রদায়ের লোকজন মাছের ঘের তৈরি করত। এখন ঘেরের মালিকানা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাতে। ভাদ্র আশ্বিন মাসে মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, হাড়িধোয়া, ব্রহ্মপুত্র নদের মোহনাসহ মূল মেঘনা ও শাখাসমূহে ঘের স্থাপনের কাজ শুরু হয়। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফাজ উদ্দীন আহমেদ জানান, নদীর গতিপথ বন্ধ করা মৎস্য আইনে সুস্পট শাস্তিযোগ্য বিধান আছে। ইতোপূর্বে বেশ কয়েকটা বাঁধ বা খেও অপসারণ করা হয়েছে। তবে নদীতে এ ধরনের বাধ যদি আরও কোথাও থাকে তা হলে অপসারণ করা হবে। এভাবে নদীর গতিপথ ও মাছের গতি পথ বন্ধ করতে কেউ পারে না এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
×