ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

কলেজ জাতীয়করণ

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ১৮ বছরেও বাস্তবায়ন হয়নি

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২২ জানুয়ারি ২০১৭

 প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি  ১৮ বছরেও  বাস্তবায়ন হয়নি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২১ জানুয়ারি ॥ সুজানগর উপজেলার ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠিত সাতবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি দীর্ঘ ১৮ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও প্রাচীন এ কলেজটি জাতীয়করণ না হওয়ায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সব শ্রেণী-পেশার মানুষ কলেজটি জাতীয়করণের দাবিতে মানববন্ধন, সমাবেশসহ প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পাঠিয়েছে। সুজানগর উপজেলার পদ্মাতীরবর্তী সাতবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ উপজেলার শিক্ষা প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালের ৬ আগস্ট সাতবাড়িয়া ডিগ্রী কলেজ মাঠে পাবনা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য আহম্মদ তফিজ উদ্দিনের স্মরণসভায় লাখো জনতার সমাবেশে কলেজটি জাতীয়করণের প্রতিশ্রুতি দেন। জাতীয়করণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়। গত ২১ আগস্ট ৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক পত্রে কলেজটি জাতীয়করণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শিক্ষা সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলীকে নির্দেশ দেন। এরপর ক্ষমতার পালাবদল হলে কলেজটি জাতীয়করণের প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান সরকার বেসরকারী কলেজ জাতীয়করণের পদক্ষেপ নিলেও এ কলেজটি অজ্ঞাত কারণে তালিকা থেকে বাদ পড়ে যায়। কলেজ গবর্নিং বডির সভাপতি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ফজলুল হক জানিয়েছেন, সরকার কলেজ জাতীয়করণের সিন্ধান্ত নেয়ায় আমাদের প্রত্যাশা ছিল এ কলেজটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে জাতীয়করণ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতির পরও কলেজটি জাতীয়করণ না করায় আমরা ব্যথিত। সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা শামছুল আলম জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত এ কলেজটি জাতীয়করণ এখন এলাকার প্রাণের দাবি। কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পাবনা-২ আসনের এমপি মরহুম আহম্মদ তফিজ উদ্দিনের জ্যেষ্ঠ পুত্র সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আহম্মদ ফিরোজ কবির কলেজটি জাতীয়করণে প্রধানমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
×